টলিউড

‘ভুলটা ভুলই, সে যেই হোক, শোধরানো দরকার’! কাকে ইঙ্গিত করে এই কথা বললেন সাংসদ অভিনেতা? তবে কী নিজের দলের কর্মীদের উপরেই বিরক্ত হচ্ছেন সাংসদ?

দেব, বাংলা অভিনয়ের জগতের অন্যতম জনপ্রিয় তথা মহানায়ক পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা তিনি। তবে শুধু অভিনয় জগতে অভিনয়কে নিয়ে আটকে নেই, তিনি এগিয়েছেন প্রযোজনার স্থানেও। প্রযোজক হিসেবে হাত পাকিয়ে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিচ্ছেন দর্শককে। তবে শুধু তাও নয়, তিনি পা বাড়িয়েছেন রাজনীতির জগতেও। বর্তমানে তিনি একজন সংসদ। সুতরাং তাঁর কাজের জগত অভিনয় থেকে ছড়িয়েছে রাজনীতিতেও।

এরই মধ্যে দেবের নতুন সিনেমা ‘প্রজাপতি’ ২৫ দিন পূর্ণ করল। যদিও অভিনয় আর রাজনীতি মিলেমিশে গিয়ে নতুন সিনেমা ‘প্রজাপতি’-র মুক্তির আগে থেকেই শুরু হয়েছে নানান রকম বিতর্ক। ‘প্রজাপতি’-র ২৫ দিন উদযাপনেও এর অন্যথা হয়নি। তবে এই দিন অভিনেতা যেমন একজন অভিনেতা হিসেবে যেমন কথা বললেন, তেমনই সেদিন তাঁকে বলতে শোনা গেল একজন সংসদ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কিছু বক্তব্য।

সম্প্রতি নিজের দলীয় কর্মীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের সাগরগিরিতে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন, ‘লোভ সংবরণ করুন। কারোর কাছ থেকে কিছু নিয়ে থাকলে সেটা ফেরত দিয়ে দিন। বারবার ক্ষমা চাইলে মানুষ ঠিকই ক্ষমা করে দেবেন’। এদিন দলের নেত্রীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই ঘাটালের সংসদও বলেন, ‘আমি তো দু’দিন আগেই বলেছিলাম, যেটা ভুল, সেটা ভুল। এখনও বলছি যদি ভুল কাজ আমিও করে থাকি, দল করে থাকে কিংবা অন্য দলও করে থাকে, সেটা ভুল। আমার মনে হয় ভুল হতেই পারে, তবে সেটা মেনে নিয়ে কীভাবে শোধরানো যায়, সেটাই বড় বিষয়’। এছাড়াও দেব আরো বলেন ভালোবাসা দিলেই ভালোবাসা পাওয়া যায়। কাউকে আক্রমণ করে কোনো লাভ হয় না। আর কোনমতে তিনি রাজনীতির সাথে সিনেমাকে গুলিয়ে ফেলতে চান।

প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীর ‘প্রজাপতি’ সিনেমাতে অভিনয়ের কারণে নাকি নন্দনে চান্স পাইনি ‘প্রজাপতি’-এই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। আবার মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘ফ্লপ অভিনেতা’ এবং সিনেমাতে মিঠুনকে রাখা মানে ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনয় জগতের একাংশ। চুপ থাকেননি সংসদ অভিনেতা দেবও।

এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘কুণাল দা অনেক বড়, ওঁকে কিছু বোঝাবার নেই। শুধু এটুকুই বলব, রাজনীতিটা যেমন আমার বিষয় নয়, তেমন সিনেমাটা আমার বিষয়। ওটা আমার উপরই ছেড়ে দিন, বুঝে নেব। সিনেমা নিয়ে কোনও টিপ্পনি করবেন না’। এছাড়াও দেবের সংযোজন, ‘ছোটবেলা থেকেই সাহস আমার বেশি। রাজনীতি, সৌজন্য, ছবি তিনটে আলাদা জিনিস। সৌজন্য বিষয়টা ছোটবেলা থেকে শিখেছি। রাজনীতি মানে আমার কাছে মানুষের ভালো করা, আর সিনেমাটা মানুষের বিনোদনের জন্য।’

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh