ভাগ্যের ফেরে ভালোবাসার মানুষের থেকে থাকতে হলো বহু ক্রোশ দূরে! নিয়তি ছিনিয়ে নিয়ে এসে তাকে, এবার ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর অসম্পূর্ণ অথচ পূর্ণ প্রেমের গল্প ফুটে উঠবে পর্দায়
ভালোবাসা জিতুক, এটা সবাই চায়। কিন্তু সব সময় সব ভালবাসার পরিণতি শুভ হবে এমন কোন কথা ঈশ্বর দেননি। বহু সময় বহু ভালবাসাকে হেরে যেতে হয় নিয়তির সামনে। যদিও শেষ নিশ্বাস অবধি ভালবাসা থাকলে বোধ হয় সেটা আর হারার মধ্যে পড়ে না। এমনই একটা ভালোবাসার গল্প রয়েছে ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর।
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন এবং অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী, বাংলা টেলিভিশন জগতের দুই অন্যতম পরিচিত মুখ। এই দুই তারকার মধ্যে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এটা ইন্ডাস্ট্রি থেকে দর্শক সকলেই জানতেন। তাঁদের জীবনের লড়াই দেখলে স্পষ্ট যে তাঁদের জীবনের গল্পটা যে কোন সিনেমার গল্পকে হার মানাতে পারে সহজেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় দুজনেই নিজেদের জীবনের ছোট বড় মুহূর্তের ছবি ভিডিও শেয়ার করতেন। সেটা দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবে তাঁদের মধ্যে ভালোবাসাটা ঠিক কতটা দৃঢ় ছিল।
কিন্তু হায় রে নিয়তি, এক লড়াকু মেয়ের দুর্বল ভালোবাসা বোধ হয় সহ্য হলো না তাঁর। বহুবার নিজের বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার সাথে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হারতে হলো ঐন্দ্রিলাকে। প্রেমিক সব্যসাচীকে ভিড়ের মাঝখানে একা করে দিয়ে নিজেকে চলে যেতে হল আরেক অজানা পথে। যদিও হারিয়ে যেতে হলেও কিংবা হেরে যেতে হলো এই কথাগুলো বোধহয় এই তারকা জুটির জন্য খাটে না। কারণ তাঁদের গল্পটা অমর হয়ে রইল বাংলার দর্শকের হৃদয়।
সব্যসাচীকে ছেড়ে ঐন্দ্রিলাকে চলে যেতে হলেও সব্যসাচী কখনোই কিন্তু কোন লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলার হাত ছাড়েননি। এবার তাঁদের এই হাতে হাত ধরে জীবনের পথে একসাথে চলার গল্প ফুটিয়ে তোলা হলো একটি নাটকে। সম্প্রতি ‘কোথায় খুঁজি তারে’ নামক একটি বাংলাদেশী নায়ক মুক্তি পেয়েছে ইউটিউবে। নাটকে ঐন্দ্রিলার চরিত্রে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। এবং সব্যসাচীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফারহান। বলাবাহুল্য নাটকটি দুই দেশেই বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে।
