“লোকের কথা শুনে দাঁতে ক্লিপ করাইনি”, নিজের বাঁকা দাঁতের ছবি পোস্ট করে অকপট শ্রুতি
গায়ের রং শ্যামলা বলে বহু লোকজনের থেকে বহু কথা শুনতে হয়েছে টলি পারার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাসকে। কিন্তু এত কিছুর পরেও সব সময়ের জন্য আত্মবিশ্বাসী তিনি। অভিনয় জগতে আসার পর গায়ের রং নিয়ে কতই না কটাক্ষ সহ্য করেছেন এতদিন ধরে।
তবে এই সমস্ত বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে না নিয়ে, বরং সাহসী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। রাঙা বউ ধারাবাহিকের এই নায়িকা এবার হাসিমুখে এক ছবি পোস্ট করলেন।
মায়ের থেকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার শিক্ষা পেয়েছেন শ্রুতি। তাইতো নিজের এই খুঁত সকলের সামনে পোস্ট করে শ্রুতি লিখলেন,”ভাগ্যিস আমি ছোটবেলায় লোকের কথা শুনে দাঁতে ক্লিপ করাইনি। মা বলে ঠোঁট চেপে হাসবি না মুখ খুলে হাসবি প্রাণ খুলে একদম দাঁত বের করে।
View this post on Instagram
তুই সব দিক থেকে সুন্দর”। তাঁর আরোও সংযোজন,”সবাই বলে,এতো মানুষ তোমার উইলঅপাওয়ার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে তাও তুমি এতো স্ট্রং কিকরে দিদি?” এর উত্তর দিয়েছেন আহরুটি।
শ্রুতি লেখেন,”কারণ আমার মা আমায় কখনও বুঝতেই দেয়নি যে আমি কোনো অংশে দুর্বল। আমার কোনো খুঁত থেকে থাকলেও বুঝিয়ে এসেছে চাঁদের গায়েও কলঙ্ক আছে। তাই মা জানলার পাশ থেকে আসা চাঁদের আলোয় এখনও আমার ঘুমন্ত মুখ দেখে আর শান্তিতে আদরে বুকে টেনে নেয় আবার চুপিচুপি আদরও করে।
আমি কিন্তু টের পাইনা। আমি অনেক পরে জেনেছি। এটা নাকি মায়ের অভ্যেস। কারণ আমার মা সারাদিন বাবু বাবু মেয়ে মেয়ে করে না খালি দুই বোনের মতো ঝগড়া মান অভিমান খুনসুটি চলে। তবে এই বেশ ভালো আছি”।
দাঁতের গঠন ঠিক না হলে নাকি মুখের সৌন্দর্য মানায় না। কারো দাঁত উঁচু নিচু হয় আবার কিছু মানুষের দাঁতের মাঝে ফাঁকা থাকে জন্ম থেকেই। এই নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগের অনেকেই। তাই ছোট থেকেই দাঁতে ক্লিক করিয়ে রাখার জন্য ডাক্তাররা নিদান দেন। তবে শ্রুতি দাসের মা তাকে এই সমস্ত চর্চা থেকে ছোটবেলায় দূরে রেখেছিলেন। সেই জন্যই এত স্ট্রং তিনি।