“সাদাসিধে” নয়, ঠক জোচ্চোর ভুবন বাদ্যকর! বাদামকাকুর বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ আনলেন গোপাল ঘোষ নামক এক ব্যক্তি
‘কাঁচা বাদাম’ গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরকে চেনেন না এমন মানুষ বাংলায় খুব কমই আছে। দেশ জুড়ে তো বটেই বিদেশেও জনপ্রিয় ছিল ভুবনের কাঁচা বাদাম গান। আর ভুবনের এই কাঁচা বাদাম গান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন যেন চলেই যাচ্ছে।সেই দ্বন্দ্ব যেন মিটতেই চায় না। এবার ভুবনের বিরুদ্ধে উঠলো বড়সড়ো প্রতারণা করার অভিযোগ। গোধূলি বেলা মিউজিক সংস্থার কর্ণধার গোপাল ঘোষ নিজেই সেই অভিযোগ করলেন।
২০২১ সালে কাচা বাদাম গানের স্বত্ব গোপাল ঘোষ এর কাছেই বিক্রি করে দিয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। ভুবন বাবু কোনোভাবেই সাদাসিদের লোক নন বলে জানিয়েছেন গোপাল ঘোষ।
তিনি অত্যন্ত অর্থ লোভী লক্ষ লক্ষ টাকার সাহায্য করা হয়েছিল তাঁকে। এমনকি বাইরের রাজ্যেও গান গাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ভালো অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি প্রচুর নামিদামি উপহার পেয়েছিলেন তিনি। অথচ এখন গোপাল বাবুর নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ভুবন।
আরও পড়ুন : ৯০ বছরের জন্মদিনে ভক্তদের বড় সারপ্রাইজ দেবেন আশা ভোঁসলে!
শুধুমাত্র টাকার জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে গানের কপিরাইট একাধিক সংস্থাকে বিক্রি করেছেন তিনি। ভুবন এখন যে ট্রেডমার্ক দেখাচ্ছেন সেটা গানের সত্ত্ব নয়। ১৩ কোটি টাকার জন্য যে দাবি তিনি জানিয়েছিলেন এই প্রসঙ্গে গোপাল ঘোষ বলেন, ““যে টাকা দাবি করা হচ্ছে সেই ইনকাম কোনো দিনই হয় না। এটাও একটা মিথ্যা প্রচার।”
গোপাল ঘোষের দাবি, “আমরা এই রকম বহু নামিদামি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে থাকি। কিন্তু ভুবন বাদ্যকর যেভাবে আমাদের বদনাম করে চলেছেন তা অন্য কেউ কোনদিন করেননি এবং কোথাও আমাদের এই রকম বদনাম নেই।”
তবে এই পুরো ঘটনার বিচার আদালত আর সাধারণ মানুষের ওপর ছেড়ে দিতে চান গোপালবাবু। তবে ভুবন বাবুর এই ধরনের আচরণ একেবারেই কাম্য ছিল না বলে জানান তিনি। টাকার জন্য মানুষ এত নিচে নামতে পারে? এটা যেন ধারণার বাইরে।