বাংলা সিরিয়াল

একসময়ের টেলিভিশনের দাপুটে অভিনেতার জুটছে না দুবেলা খাওয়ার, সেই সময়ের মহিষাসুর এর আজ অর্থনৈতিক অবস্থার বেহাল দশা

মহালয়া মানেই যেকোনো বাঙালির কাছে একটা অন্যরকম আবেগ। মহালয়ার ভোরে সকলেই নয় রেডিও নয়তো টেলিভিশনের পর্দায় মহালয়া দেখে থাকেন বা শুনে থাকেন। এটাই ওই একটা দিন ভোরের রুটিন। যে বছর প্রথম টেলিভিশনের পর্দায় মহালয়া দেখানো শুরু হলো সেই বছর থেকেই ছোটো থেকে বড় সকলের মাঝেই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করলো সেই অনুষ্ঠান।

আর তখন টেলিভিশনের পর্দায় মহিষাসুর কে দেখে সকলেই ভয়ে আড়ষ্ঠ হয়ে থাকতো। ‘ডিডি বাংলা’র পর্দায় এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল ‘মহালয়া’। জনপ্রিয় ছিলেন অনুষ্ঠানের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অমল চৌধুরী। যিনি নিজের এলাকা অশোক নগরে ‘অমল অসুর’ নামে পরিচিত ছিলেন। এক ডাকে সকলে চিনতেন তাকে। পাড়ার বাচ্চারা তার নাম শুনলেই ভয়তে কাঁপতে শুরু করত।

‘মহালয়া’ ছাড়াও বহু বাংলা সিনেমায় খলনায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অমল চৌধুরীকে। এখনও অশোক নগরেই থাকেন তিনি। কিন্তু আজ তিনি অবহেলিত। দু’বেলা ভাত খাওয়ার‌ টাকাও নেই তার‌ কাছে। কচুর শাক সেদ্ধ আর থোর ভাজা খেয়ে খিদে মেটাতে হয় তাকে। বিশেষ করে দিদি’র মৃত্যুর পর অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অমল চৌধুরী নিজের জীবনের এই খারাপ অবস্থার কথা জানিয়েছেন। তিনি সকলের কাছে আবেদন করেছেন যাতে সকলে তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু তারপরও কেউ তাকে সাহায্য করেনি।

এমনকি ইন্ডাস্ট্রি থেকেও সাহায্য পাননি। সরকারের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন। এর আগে যদিও তার এলাকার বিধায়ক তাকে সাহায্য করেছেন। তার পাশে রয়েছেন এলাকাবাসীরা তারাই বিধায়কের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, অমল বাবুর জন্য একটি আঁকার স্কুল তৈরি করে দেওয়ার। যাতে শিশুদের আঁকা শিখিয়ে টাকা রোজগার করতে পারে তিনি।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh