রূপে-গুণে আল্লু অর্জুনের স্ত্রী হার মানাবে বড় বড় অভিনেত্রীদেরও, জানুন তার পরিচয়
বর্তমানে দক্ষিণী তারকারাও আমাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আল্লু অর্জুন। একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি খুব অল্প সময়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘পুষ্পা: দ্যা রাইজ’ মুক্তি পেয়েছে বড়পর্দায়, যা রীতিমতো বক্সঅফিস কাঁপিয়ে দিয়েছে। একাধিক ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। দর্শকদের মধ্যে বিপুল প্রশংসিত হয়েছে পুষ্পা। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের ক্রাশ রশ্মিকা মন্দনাকে। ছবিতে তাদের অনস্ক্রিন রসায়ন পছন্দ হয়েছে দর্শকেরও।
১৯৮৫’তে ‘বিজেতা’ ছবিতে কাকা চিরঞ্জীবীর সূত্র ধরেই অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন অভিনেতা। তখন অভিনয় তার বয়স ছিল মাত্র ২। সেই বছরেই ডেবিউ অ্যাক্টর পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বড় হওয়ার পর একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার জনপ্রিয়তা এখন আকাশছোঁয়া। উল্লেখ্য, অভিনেতার বাবা, কাকা, ঠাকুরদা সকলেই এই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত বহুদিন ধরে। এমনকি তার ছোট্ট মেয়েও বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ। অভিনেতা বাবা আল্লু অরবিন্দ দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন নামী প্রযোজক। তার ঠাকুরদা আল্লু রামালিঙ্গা এই ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা।
তবে আজ আমরা আল্লু আর্জুনের স্ত্রীকে নিয়ে জানবো। তিনি রূপে-গুণে কম যান না কারোর থেকেই। অভিনেত্রীর স্ত্রীয়ের নাম স্নেহা রেড্ডি। ২০১৬’তে হায়দ্রাবাদে একে অপরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। দুই সন্তানের অভিভাবক তারা। তাদের নাম, অল্লু আইয়ান এবং অল্লু আরহা। তবে অভিনেতার স্ত্রী স্নেহা রেড্ডি যে দুই সন্তানের মা, তা তাকে দেখে বোঝা মুশকিল। রূপে-গুণে কোন মডেল কিংবা কোন অভিনেত্রীর থেকে কম যান না স্নেহা রেড্ডি।
জানা যায়, অভিনেতার স্ত্রী দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করার পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের খাতিরে চলে যান। আমেরিকা থেকেই পড়াশোনা শেষ করেন কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে। স্নেহা রেড্ডি হায়দ্রাবাদের এক বড় ব্যবসায়ীয়ের মেয়ে। এক বন্ধুর বিয়েতে আল্লু আর্জুন ও স্নেহা রেড্ডির প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সেখান থেকেই তাদের আলাপচারিতা শুরু হয়। পরবর্তীকালে তাদের সম্পর্ক প্রেমের দিকে গড়ায় এবং তারা ২০১৬’তে একে অপরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন। বর্তমানে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অর্থাৎ টলিউডের অন্যতম চর্চিত সুখী দম্পতি তারা।