‘আমার মুখটা নেগেটিভ নয়, বরং পজিটিভ চরিত্রে অভিনয় করার মত’, পর্দায় ফিরতে চাইছেন তিথি বসু, তার আগেই বোমা ফাটালেন অভিনেত্রী
সময়টা ২০০৪ সাল। টিভির পর্দায় সমস্ত ধারাবাহিককে টেক্কা দিচ্ছে স্টার জলসার(Star Jalsha) এক এবং অদ্বিতীয় ধারাবাহিক মা(Maa)। ‘তোমায় ছাড়া ঘুম আসেনা মা’ যে গানটি আজও বাঙালি ভুলতে পারেনি। এখনো মাঝেমধ্যে গুনগুন করে গিয়ে ওঠে কেউ কেউ। দীর্ঘ পাঁচ বছর টেলিভিশন জগতের সব থেকে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের গল্প গান সবকিছুই এখনো ভীষণ তরতাজা দর্শকদের মনে।
আর ধারাবাহিকে ঝিলিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিথি বসু(Tithi Basu)। কিন্তু সেদিনের সেই ছোট্ট মেয়ে আজ আর ছোট্ট নেই। বরং এখন সে যুবতী। সদ্য কলেজ পাশ করেছেন তিনি। তবে ধারাবাহিকে বিশেষ দেখা যায় না তাকে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের জগতে বেশ সক্রিয় তিনি।
মাঝেমধ্যেই নিজেকে মেলে ধরেন খোলামেলা পোশাকে। আর সেই সব সাহসী পোশাক পরার জন্য চরম কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাকে। এবার সেই নিয়েই মুখ খুলেছেন এই তরুণী অভিনেত্রী। জানিয়েছেন স্বল্পবসনা হওয়ার কারণে কেউ কেউ ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তাকে। কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন,’ রেপের হুমকি পাওয়ার পর ভয় পেতাম। প্রথম প্রথম মানসিক চাপ আসতো। কমেন্ট ডিলিট করতাম। তারপর বুঝলাম যে এটা তাদের কুরুচিকর মানসিকতা। তারপর বিষয়টা নিয়ে এত ভাবা বন্ধ করলাম’।
অভিনেত্রীর কথা স্পষ্ট তিনি পজিটিভ ভাবে ব্যাপারটা কি নিতে শুরু করেছেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন ট্রোল তারাই হয় যারা ফেমাস হয়। পাশাপাশি ব্যক্তি জীবন নিয়েও কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় নি তাকে। তিনি জানান প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কম ট্রোল করেননি নেটিজেনরা। তার কথায়,’ আমাদের সম্পর্ক দুদিনের ভালোবাসা নয়। সেটা হয়নি। টেকাতে পারিনি কোন কারনে’। যদিও ব্রেকআপের যথার্থ কারণ তিনি এখনো বলেননি। শুধু এইটুকু বলেছেন পারিবারিক হস্তক্ষেপে কিছু জিনিস চাপের হয়ে যায় তবে কিছু জিনিস গোপন থাকা ভালো। তাদের ব্রেকআপ হয়েছে তিন মাস আগে। আপাতত কারো সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত লকডাউনের পর থেকেই সে ভাবে আর ছোট পর্দায় দেখা যায়নি তিথিকে। সদ্য স্নাতক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তবে আবার অভিনয় জগতে ফিরতে চান। কিন্তু নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ এলো তিনি করতে চান না। তিনি বিশ্বাস করেন তার মুখটা নেগেটিভ নয়।
