‘আজকাল মানুষ অতিরিক্ত জাজমেন্টাল হয়ে গেছে’, ব্যক্তি জীবন নিয়ে কথা উঠতেই বিস্ফোরক সুপারস্টার শ্রাবন্তী! খোলামেলা পোশাক পড়ে নিজে স্বাচ্ছন্দ থাকলে অন্যের কথায় পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই! স্পষ্ট বার্তা অভিনেত্রীর

মুক্তি পেয়েছে বাংলা ছবি কাবেরী অন্তর্ধান(Kaberi Antardhan)। গত ২০ শে জানুয়ারি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)পরিচালনায় এই ছবি সামনে আসার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। ভূমিকায় দেখা গিয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়(Srabanti Chatterjee) এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prasenjit Chatterjee)মত তারকাদের। পাশাপাশি চুর্নি গাঙ্গুলী ,কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন।

সম্প্রতি জি ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে খোলামেলা আড্ডা দিলেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় এই ছবিতে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার কেমন। শ্রাবন্তী জানিয়েছেন,’ ছোটবেলায় ওর সঙ্গে কাজ করেছে। মানুষটা একই আছে। উনি নিজে একজন বড় মাপের অভিনেতা। আমার চরিত্র আমায় ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার কোন সমস্যা হয়নি। আমি ভীষণ সাবলীল ছিলাম ধন্যবাদ কেজি’।

এর আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের চরিত্র দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তীকে। কিন্তু কাবেরী অন্তর্ধানে বিপরীতে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী। কোন অস্বস্তি কাজ করেছিল কি অভিনেত্রীর মধ্যে? তার উত্তরে বলেন,’ এই ছবিতে আমাদের সম্পর্কটা কি সেটা বলে থ্রিলার সাসপেন্স নষ্ট করবো না। তবে হ্যাঁ ২৫ বছর আগে আমি বুম্বাদার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। আবার এতদিন পর ওর সঙ্গে কাজ করাটা একটা স্বপ্নের মত। আমি বহুদিন চেয়েছিলাম ওর সঙ্গে কাজ করতে। কিন্তু সুযোগ হয়নি। কাবেরী অন্তর্ধান ছবিতে আমি একসঙ্গে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং বুম্বা দার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি’।

বাণিজ্যিক ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখলেও বর্তমানে আর তেমনভাবে দেখা যায় না তাকে। তবে কি অভিনয় স্বাদ বদলেছেন অভিনেত্রী? একেবারেই না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বাণিজ্যিক ছবি হোক বা অন্য ধারার ছবি যেকোনো ছবিতেই তিনি অভিনয় করতে রাজি। পর্দায় চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন ছবিতে।

কাবেরী অন্তর্ধান এমন একটা ছবি যেখানে টলিউডের একাধিক দিকপাল অভিনেতা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। তাদের সঙ্গে থেকে কতটা শিখলেন অভিনেত্রী? এটা কি একটা মাস্টার ক্লাস? শ্রাবন্তী জানিয়েছেন,’ সত্যি আমি শিখতাম। প্রায় সব কিছুই শিখেছি। আর সঙ্গে মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আমার শট না থাকলেও মনিটরের পাশে বসে কৌশিক সেন, চূর্ণী দি, বুম্বাদা,কেজির অভিনয় দেখতাম আর শিখতাম। তাদের অভিনয় থেকে তাকানো চলাফেরা থেকে স্থিরতা অনেক কিছুই শিখেছি’।

সবশেষে আসে তার উল্লেখযোগ্য সংলাপের কথায়। প্রসঙ্গত কাবেরী অন্তর্ধানে অভিনেত্রীর মুখের সংলাপ ‘ন্যুডিটি আমার কনসার্ন’ বেশ বিখ্যাত। এই প্রসঙ্গে যখন তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয় তার বাস্তব জীবন পোশাক-আশাক নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাকে। সেই ব্যাপারে তিনি কি বলতে চান? সটান উত্তর তার,’ যারা সমালোচনা করেন তাদের নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবা উচিত। তারপর অন্যকে জাজ করুক। আজকাল মানুষ অতিরিক্ত জাজমেন্টাল হয়ে গিয়েছে। ট্রোল নিয়ে আমি ভাবি না পাত্তা দিই না। যে খোলামেলা পোশাক পড়ে স্বচ্ছন্দ্য তার অন্যদের কথায় পাত্তা দেওয়া দরকার নেই। কারণ অনেকের হয়তো তাকে দেখে ভালো লাগছে। আমাদের হাতের পাঁচটা আঙ্গুল দেওয়ার সমান নয়’।