টলিউড

প্রথম দর্শনেই বাজিমাত! প্রত্যেকটি চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র।

অবশেষে ‘প্রফুল্ল’ রূপে ধরা দিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়! ‘রঙ্গরাজ’ রূপে নজর কাড়লেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। শীঘ্রই বঙ্কিমী উপন্যাসের প্রতিফলন ফুটে উঠবে রুপোলি পর্দায়। পরিচালক শুভ্রজিত মিত্রের হাত ধরে বড় পর্দায় রাজ করবেন “দেবী চৌধুরানী”। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে “দেবী চৌধুরানী” ছবির প্রতিটি চরিত্রের প্রথম ঝলক।

শ্রাবন্তী, অর্জুন ছাড়াও বাংলার কোন কোন শিল্পী হয়ে উঠেছেন এই ঐতিহাসিক উপন্যাসটির অংশ, চলুন দেখে নেওয়া যাক।

মুক্তির আগেই জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেছিল এই ছবির মোশন পোস্টার। চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম মহাযজ্ঞ, কান ফিল্ম ফেস্টিভালে মুক্তি পায়, শুভ্রজিৎ মিত্রের আসন্ন ছবি, ‘দেবী চৌধুরানী’র প্রথম ঝলক।

বাংলা ছবির জগতে “দেবী চৌধুরাণী” নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে একধিক বার। সেই তালিকায় রয়েছেন স্বয়ং মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ২০২৪ সালে আসন্ন ছবি “দেবী চৌধুরানী” তে নাম ভূমিকায় বড় পর্দায় উপস্থিত হবেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তি চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে এসেছে সকল চরিত্রাভিনেতাদের প্রথম ঝলক।

অভিনেত্রী শ্রাবন্তি চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের, তিনটি রূপ আপাতত এসেছে জনসমক্ষে। বলা বাহুল্য সেই তিনটি রূপ প্রফুল্ল থেকে দেবী চৌধুরানী হওয়ার প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

প্রথম ছবিতে শ্রাবন্তী ধরা দিয়েছেন নববধূ বেশে। লাল বেনারসি এবং সোনার অলঙ্কারে সেজে উঠেছেন অভিনেত্রী। তাঁর এই সাজের কাছে, চোখ ফেরানো যেন রীতিমত ‘চ্যালেঞ্জ’ এর।
উপন্যাসের কাহিনী মত, নীচু জাত হওয়ার দরুন পতিগৃহ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হতে হয় প্রফুল্লকে।

সেই ছাপও স্পষ্ট শ্রাবন্তীর দ্বিতীয় রূপে। সুতির শাড়ি এবং গলায় কালো কারে, তিনি যথার্থভাবেই প্রতিফলিত করছেন স্বামী-পরিত্যক্তা প্রফুল্লকে।
শ্রাবন্তীর তৃতীয় ঝলকটি হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রফুল্ল নয়, স্বয়ং ডাকাত রাণী দেবী চৌধুরানী হয়ে ধরা দিয়েছেন তিনি। কপালে তিলক, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, হাতে তীর ধনুক এবং তরোয়াল, পরনে লাল শাড়ি, এবং মুখে দাপট স্পষ্ট।

শ্রাবন্তীর পরেই যে চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা করতে হয়, সেটি হল রঙ্গরাজ চরিত্রটি। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। চরিত্র নির্বাচনের দিক দিয়ে একবারে ছক ভেঙেছেন ছোট পর্দার ‘গোরা’। সারা গায়ে ভস্ম মেখে, হাতে এবং কাঁধে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র। মাথায় জটা এবং লম্বা দাড়িতে তাঁকে চেনা দায়। তাঁর চাহনির মধ্যেও রয়েছে উগ্রতার ছাপ। বলা বাহুল্য, উপন্যাসের রঙ্গরাজ চরিত্রটিকে, বড় পর্দায় তিনি যথার্থভাবেই জীবন্ত করে তুলবেন।

প্রফুল্লর শ্বশুর হরবল্লভ রায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। হাতে জমিদারি লাঠি, গায়ে সোনার অলঙ্কার তাঁকে এনে দিয়েছে আভিজাত্য।
প্রফুল্লর স্বামী, ব্রজেশ্বর রায়ের চরিত্রে দেখা যাবে “হীরালাল” খ্যাত কিঞ্জল নন্দকে।
গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন বিবৃতি চ্যাটার্জী।

আরও পড়ুন : সমালোচনাকে আমল দেন না মোনালি ঠাকুর, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে উপভোগ করেন বাঁচার আনন্দ!

এই ছবিতে তিনি রয়েছেন “নিশি”র ভূমিকায়। পাটের বর্ম পরিধান করেছেন তিনি। চোখে মুখে তাঁর যোদ্ধাসুলভ তেজ স্পষ্ট।

হাতে বোনা বালুচরী এবং সাবেকি সাজে সেজে উঠেছে “সাগর” চরিত্রটি। দর্শনা বণিক রয়েছেন এই ভূমিকায়।

প্রায় সব কটি চরিত্র প্রকাশ পেলেও, এখনও একটি চরিত্র প্রকাশ পাওয়া বাকি থেকে গেছে। প্রফুল্লর, ডাকাত রাণী দেবী চৌধুরানী হওয়ার পেছনে যাঁর অবদান, সেই ভবানী পাঠকের। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন এই চরিত্রে। বলা বাহুল্য, তাঁকে এখনও পর্যন্ত না প্রকাশ করে পরিচালক দর্শকদের রাখতে চাইলেন এক দারুন ‘সাসপেন্স’ এ!
চলতি মাস থেকেই শুরু হবে ছবি নির্মাণের কাজ। আগামী বছর বড় পর্দায় মুক্তি পাবে “দেবী চৌধুরানী”।

 

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh