মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আনন্দের মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সম্মুখীন স্বস্তিকার পরে এবার অপরাজিতা-ইমন! ছেড়ে দিলেন না তাঁরাও, উচিত জবাব দিলেন

হেডলাইন দেখে বুঝতেই পারছেন আজকের প্রতিবেদন কি নিয়ে। প্রসঙ্গত বলি কিছুদিন আগেই আমাদের শারদ উৎসব শেষ হয়েছে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও রেড রোডে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুজো কার্নিভাল। সেই কার্নিভালে একটি বিশিষ্ট ক্লাবের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলা অভিনয় জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সেই সূত্রে তিনি নিজের ঐতিহ্যকে বজায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর চরম শুয়ে বিজয়ার প্রণাম জানান। মুখ্যমন্ত্রী ও বিজয়াতে মিষ্টি স্বরূপ অভিনেত্রীর হাতে চকলেট দেন। তবে এই নিয়েই শুরু হয় যত বিপত্তি। সেই ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশ রীতিমতো ক্ষেপে উঠে আর বিভিন্ন নোংরা কটাক্ষ করে অভিনেত্রী স্বস্তিকার বিরুদ্ধে। গত তিন দিন ধরে টানা সোশ্যাল মিডিয়ার হট কেক এ বিষয়টি।
স্বস্তিকার এই ধরনের কটাক্ষ হওয়ার পর আবার একই কটাক্ষের সম্মুখীন হলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য এবং ইমন চক্রবর্তী। নেপথ্যে এই একই কারণ। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করায় স্বস্তিকাকে বলা হয় “চটি চাটা” এবং “মেরুদণ্ডহীন” ইত্যাদি এমন অনেক কিছুই। এরকম একই উক্তি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে অপরাজিতা কে এবং ইমনকে নিয়ে। যদিও চুপ করে থাকেননি তাঁরাও। জবাব দিতে পিছপা হননি।
মুখ্যমন্ত্রী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েছিলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য এবং গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিভিন্ন ছবি। শুধু অপরাজিতা বা ইমন বলে নয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে উষা উত্থুপ, ভরত কল সহ আরো অনেকে। সকলেই এই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গায়িকা ইমন এই অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে বিজয়া সম্মিলনীতে”। এরপরই শুরু হয় এদের সাথেও ট্রলিং। একজন কমেন্ট করেন, “সবকিছু ঠিক আছে।। কিন্তু ছবির প্রথমে চটি কেন চাটলেন?”
এরকম কটাক্ষ শুনতে হয়েছে অপরাজিতা কেও। এ বিষয়ে অপরাজিতা সোজাসুজি একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “কালকে মুখ্যমন্ত্রীর একটা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই সবাই হাজির হয়েছিলাম। টলিউডের অনেকেই ওখানে ছিলেন। ওখানেই ছবি তুলেছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলা কি অন্যায়?” এর সাথে অভিনেত্রী আরো বলেন, “আর আমি তো যারা যারা ছিলেন তাঁদের অনেকের সঙ্গেই ছবি তুলেছি। সে সব ছবি পোস্টও করেছি। যাদের কোনও কাজ নেই তারা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু বলে বেড়ায়”।
অন্যদিকে গায়িকা ইমন এর বক্তব্য, “ফেসবুকে একটা জিনিস দেখে অবাক হচ্ছি। কিছু মানুষ শুধু খারাপ বলতেই জানেন। কেউ সোজা হাঁটলে বলবে বেঁকে যান। ভাল মন্দ, গান বাজনা, খেলাধুলো, রাজনীতি, চাঁদে কী হয়েছে? সমুদ্রের নিচে কী হচ্ছে, শাড়ি কেন পরলেন না, বরের সঙ্গে হেসে কেন ছবি দিলেন, এর সঙ্গে কেন ছবি তুললেন, ওঁর সঙ্গে কেন তুললেন না, আজ কেন নিরামিষ খেলেন, পাঁঠার মাংস খেলেন? প্রাণীহত্যা মহাপাপ… আরও কত কিছু…। কেন?”
শুধু এতটুকু বলেই থেমে থাকেননি গায়িকা। নীতিপুলিশদের উদ্দেশ্যে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন। বলেন, “আপনারা যাঁরা এইটা করেন বা ভাবেন, তাঁরা এইগুলো সব মেনে নিয়ে জীবন কাটাতে পারতেন?… ঘৃণা ছড়াতে চাইলে ছড়াল তাঁর দায় আমাদের মানে যাঁদের প্রতিনিয়ত টার্গেট করেন তাঁদের নয়। আর বিশ্বাস করুন দিনের পর দিন এই সব নিতে নিতে ঘরে অন্ধকারে আর বসে না থেকে ‘আলোয় ভাল’ বাঁচতে শিখে গিয়েছি। পারলে একটি যোগাভ্যাস করে নিন। টাটা”।