স্টার জলসায় আসছে নতুন ধারাবাহিক জল থই থই ভালোবাসা। ২৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা এই ধারাবাহিকের। ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। পর্দায় তাঁর নাম কোজাগরী বসু। বয়স বাড়লেও কিভাবে বয়সের তোয়াক্কা না করে কিভাবে ভালো থাকা যায়, আর ভালোভাবে বাঁচা যায় সেই নিয়েই সিরিয়াল। শুধু কি তাই সেলফি তোলা এমনকি, লাইভ করা সব এটাই দারুন উৎসাহ কোজাগরী বসুর। ধারাবাহিকের সম্প্রচারে এসে এবার অপরাজিতা জানালেন তাঁর জীবনের কোজাগরী কে।
নতুন ধারাবাহিকের প্রচারে এসে অভিনেত্রী অপরাজিতা বলেন, “কোজাগরী বসুকে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। কারণ আমার শাশুড়ি মা একজন কোজাগরী বসু। কারণ তিনি অসম্ভব স্মার্ট মহিলা। বহুদিন চাকরি করেছেন। উঁচু পদে চাকরি করতেন। অবসরগ্রহণের পর ঘরে বসে গিয়েছেন”। তিনি আরোও বলেন, “ওনার একটা ছোট ফোন ছিল। একদিন আমি মাকে স্মার্ট ফোন এনে দিলাম। সেটা দেখে আমার বর প্রথমেই বলল, মা এগুলো ব্যবহার করতে পারে নাকি। কিন্তু, ঠিক একদিনের মধ্যেই আমার শাশুড়ি মা সেই স্মার্ট ফোনের ব্যবহারটা শিখে ফেলেন”।
শাশুড়ি মায়ের প্রশংসা করে পর্দার কোজাগরী বলেন, “একদিন শাশুড়ি মা আমাকে আবদার করে বলেন আমি একটু বিদেশ ঘুরতে যেতে চাই। কিন্তু, শ্বশুরমশাই তো শুনেই বলল দু লাইন ইংরাজি জানে না, বিদেশ যাবে কী করে।”। অপরাজিতার মনে করেন, “আসলে আমরা যাঁরা ইংরাজি জানি না তাঁদের সকলে অশিক্ষিত ভাবে। কিন্তু, বিষয়টা মোটেই সেইরকম নয়। ওই কথাটা আমাকে খুব দুঃ দিয়েছিল। উনি একজন উচ্চশিক্ষিত মহিলা। আমার তো ইচ্ছে মা আর শাশুড়ি মাকে নিয়ে একটা বই লিখব।”
কারণ ব্যাখ্যা করে পর্দার কোজাগরী বলেন, “বরের বারণ উপেক্ষা করেই আমি শাশুড়ি মাকে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার টিকিট কেটে দিই। উনি একাই যান। সেখানে গিয়ে ছবি তোলেন। সেই ছবি দেখে যদিও আমার বর বলেছিলে সিংহকে দেখে মনে হচ্ছে পাখি”। তাঁর কথায়, “যে ভিডিয়োগুলে তুলেছেন সেগুলো আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি। দেখে মনে হচ্ছে যেন কোনও প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের তলা ছবি। বাঘ -সিংহ-হাতি-চিতা বাঘের এতটা কাছে গিয়ে ছবি তুলেছেন সেটাই তো অনেক”।
অপরাজিতা বলেন, “ওগুলো পোস্ট করে আমি বলেছিলাম এবার ভ্লগে করা শিখিয়ে দেব। এরপরই দেখলাম উনি নিজেই পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে সেটা করেছেন। আমি তো একবারে অবাক। আসলে প্রত্যেকের বাড়িতেই কোজাগরী বসু আছে।”
