বাংলা সিরিয়াল

কোকো সত্যিই কোজাগরির যোগ্য উত্তরসূরী! জল থৈ থৈ দেখে বলছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো ‘জল থৈথৈ ভালোবাসা’। এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে, কোকোর আশীর্বাদ সবাই কোকোর জন্য সোনার গয়না কিনেছে কিন্তু কোজাগরী কোকোর জন্য ঠিক সেই জিনিসটাই এনেছে যেটা কোকোর প্রয়োজন। সেটা হলো গান শুনবার একটি মেশিন যেটা দেখে খুব খুশি হয়েছে যে তার কাকিমা তাকে চেনে বলেই তাকে এটা দিয়েছে কিন্তু এই উপহারটি সে যখন সবার সামনে কোকোকে দেয় তখন শাশুড়ি জিজ্ঞেস করে তুমি কি গয়না বিক্রি করে এটা কিনেছো? কোজাগরী বলে, যদি সে এটা করেও থাকে তবুও তার বাপের বাড়ির গয়না কারোর কিছু বলার নেই।

এরপর উদ্যলোকবাবু যখন বলে, তুমি তো আমাকে একবার বলতে পারতে, তখন কোজাগরী মুখ খোলে যে, এটা তার হোটেলের রোজগারের টাকা থেকে কেনা। নিজের পয়সায় কিনেছে তাই কাউকে কৈফিয়ত দিতে তার মন চায় নি। অন্যদিকে কোজাগরীর কেনা এই উপহার মাথায় তুলে নেয় কোকো যা দেখে দর্শক বলছেন কোজাগরীর যোগ্য উত্তরসূরী কোকো।

আরও পড়ুন : রবিবাসরীয় টলিউডের পিকনিকে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন টলি তারকারা !

অন্যদিকে সকলের সামনে শাশুড়ি মা কোজাগরীকে যেভাবে অপমান করেন এবং ছোট দেখানোর চেষ্টা করেন সেই আচরণ দেখে দর্শক বিরক্ত। একই সাথে কোজাগরীর শাশুড়ি মা আসমান সম্পর্কে যে ধরনের বক্তব্য করেন সেটিও মানতে পারেনি দর্শক। অন্যদিকে রূপ তোতার কাছে ফিরে এলে কোজাগরী এবং তোতা দুজনে মিলে বুঝিয়ে দেয়, তাদের জীবনে রূপের আর কোন জায়গা নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“কোকো সত্যি ই কোজাগরী র যোগ্য উত্তরসুরি।

আজ কোজাগরী প্রথমবার নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে কোকোর জন্য কোকোর পছন্দের উপহার টাই কিনে দিয়েছে।যার জন্য কারোর কাছে জবাবদিহি করবার কোনো প্রয়োজনই নেই।আর কোকো তাঁর প্রিয় কাকিমার দেওয়া উপহার টা সেরা উপহার বলে মাথায় তুলে নিল।

কোজাগরী র জয়ের পতাকা উড়ানো আজ থেকে শুরু হয়ে গেলো। এর পর থেকে শুধু কোজাগরীর উপরে ওঠার দিন,আর পেছন ফিরে তাকাবার দরকার হবে না

শাঁশুমা আজ তার কথার মাধ্যমে শুধু আসমানকে ছোটো করেন নি নিজেকেও ছোটো করেছেন।তাঁর কথার মাধ্যমে তিনি নিজে একজন শিক্ষিত হয়ে ও
অশিক্ষিত বলে ই প্রমাণ করলেন। বয়সে বড়ো হলেও তিনি যে মানুষ চিনতে পারেন না তা আজ প্রমান হলো আসমানের হাতটান আছে এই কথাটা প্রকাশ করে।

আরও পড়ুন : বলিউডে নায়িকাদের মধ্যে ‘ধন-কুবের’ কে?

কোজাগরী আসমানকে সঠিক ভাবে চিনতে পেরেছে বলেই তাঁর উপর হেঁসেলের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিত হতে পারে।এখানেই কোজাগরী আর শাঁশুমার পার্থক্য।ভবিষ্যতে এই পার্থক্য আরো প্রবল ভাবে সবার সামনে প্রকাশ ঘটবে।কোজাগরী যে কতো বড়ো মাপের মানুষ তা সঠিক বলে প্রমাণিত হবে

আর রুপের কাছে তোতার আর ফিরবার জায়গাটাই নেই। এই জন্য ই বলে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবি ও না। যা একবার হাত থেকে বেড়িয়ে যায় তা ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।আর এই জন্য ই মানুষকে কিছু বলার আগে দুবার ভাবতে হয়।মুখ থেকে একবার কথা বেড়িয়ে গেলে তা আর ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh