অজ্ঞান হওয়া অবস্থায় অনামিকাকে কোলে করে বাড়ি নিয়ে এল বিক্রম, অনামিকার অজ্ঞান হওয়া থেকে বন্ধ ঘরের রহস্য, হাওয়াই মেলানো লোক! সব মিলিয়ে ক্রমশ রহস্যজনক হয়ে উঠছে লালকুঠি!
দিন কয়েক আগে ছোটপর্দায় এসেছে রহস্য-রোমাঞ্চ ধারাবাহিক লালকুঠি। ধারাবাহিকের প্রধান দুই চরিত্র অনামিকা ও বিক্রমের মধ্যে টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্কের রসায়ন ইতিমধ্যেই দর্শকদের নজর কেড়েছে। ধারাবাহিকের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে লালকুঠির বাড়িকে ঘিরে একটি রহস্য ক্রমশ ঘনিয়ে উঠছে। ১২ বছর আগে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল লালকুঠিতে, সেই দুর্ঘটনায় নিজের কাছের মানুষকে হারানোর শোক আজও ভুলতে পারেনি বিক্রম। সম্প্রতি দেখা গেল কাছাকাছি এসেছে অনামিকা বিক্রম।
বিক্রমদের অফিসে জুয়েলারি ডিজাইনার হিসেবে সদ্য জয়েন করেছে বিদেশ ফেরত অনামিকা। কিন্তু বিক্রমের তাকে একেবারেই না পসন্দ। অনামিকার কোন কথায় সে ঠিকমত শুনতে চাই না, এরই মধ্যে দেখা গেলো অনামিকাকে কোলে করে ঘরে ঢুকছে বিক্রম! ভাবছেন তো এরই মধ্যে প্রেম শুরু? নাহ আসলে জুয়েলারি ডিজাইন করে বিক্রমের কাছে পৌঁছে অনামিকা দেখেছি সিনিয়ার ডিজাইনার তার ডিজাইন সাবমিট করেছে এবং সেটিই বিক্রমের পছন্দ হয়েছে। সিনিয়র ডিজাইনারের ডিজাইন দেখে অনামিকা বুঝে যায় এটা বিদেশে একটি কোম্পানির থেকে চুরি করা, এই কথাটি সে যখন বিক্রমকে বলতে যাবে তখন দেখে বিক্রম অফিস থেকে বাড়ি চলে গেছে।
এরপর অফিসের লম্বা করিডর ধরে লালকুঠিতে পৌঁছতে গিয়ে রহস্যজনক কিছুর মুখোমুখি হয় অনামিকা, ভয় পেয়ে জ্ঞান হারায় সে। বিক্রম তার চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে যায়, এরপর অজ্ঞান অনামিকাকে কোলে করে বাড়ি ঢোকে সে। এরপর দেখা যায়, অনামিকার চোখেমুখে জল দিলে বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করে ওঠে সে। অনামিকা জানায় কেউ তাকে ফলো করেছিল এবং একসময় তাকে মাথায় মারে, বিক্রম গিয়ে দেখতে পায় একটা স্ট্যাচু পরে আছে, যদিও অনামিকার স্থির বিশ্বাস সেখানে কেউ ছিল, কিন্তু কাউকে বিশ্বাস করাতে পারে না সে। পুরো ঘটনাটাকেই মনোযোগ আকর্ষণের উপায় বলে দাবি করেন বিক্রম। এবার দুজনের ঝগড়া লাগে, চাকরি ছেড়ে যাওয়ার আগে সিনিয়র ডিজাইনার রিচার কথা বিক্রমকে বলে সে চলে যায়। এরপর অনুতপ্ত বিক্রম অনামিকার ফিরিয়ে আনে আবার লালকুটির অফিসে কাজ করতে শুরু করে অনামিকা।
অফিসে নতুন করে জয়েন করতে যাওয়ার সময় রাস্তাতেও অনামিকা দেখে এয়ারপোর্ট ও গঙ্গার ঘাটে তাকে ফলো করা লোকটি তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পরক্ষনেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় সে। অন্যদিকে অফিসের ষ্টোর রুমে কেউ একজন জাপ্টে ধরে অনামিকাকে, আবারও দেবদূতের মত বাঁচায় বিক্রম কিন্তু হাতে চোট পায় অনামিকা। কিন্তু এসবের মধ্যে ও রহস্য আরো দানা বাঁধছে!
কে সেই লোক যে সর্বক্ষণ অনামিকা কে ফলো করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, লালকুঠির ঘরে কাকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে যার নিখোঁজ হওয়াই সকলে অস্থির! লালকুঠির বাড়ির ছোট্ট ছেলেটি বিক্রমকে বলেছিল রাত্রে তার সাথে আরো কেউ একজন ঘুরে বেড়ায় কে সে? বিক্রমের ছোটবেলার সেই বলটা শুধু শুধুই কেন এই ঘর থেকে ও-ঘরে ঘুরে বেড়ায় আর কেন অনামিকার মনে হয় হাসিখুশি এই পরিবারের মধ্যে কিছু একটা রহস্য লুকিয়ে আছে? সব মিলিয়ে লালকুঠিতে কি আছে ভূত না রহস্য- জানতে হলে চোখ রাখতেই হবে!