গুড্ডি আর যুধাজিতের বর্তমান সম্পর্ক বেশ পছন্দ করছেন দর্শক! এমনকি অনুজ এখন আগের থেকে অনেক বেশি পরিণত ব্যবহার করছে, কিন্তু শিরিন? এখনো একই রকম বিরক্তিকর লাগছে তাকে দর্শকের কাছে! কী বললেন দর্শক? জানুন
বাংলা ধারাবাহিকে কটাক্ষের একেবারে শীর্ষস্থানে আছে স্টার জলসার ‘গুড্ডি’। একেক সময় এমন রকম গল্প ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে তাকে নিয়ে শুরু হয় মিম থেকে ট্রলিং পর্যন্ত। নায়ক নায়িকার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, নায়িকার স্বেচ্ছাচারিতা, নায়কের খামখেয়ালী সবটাতেই বিরক্ত হয়েছেন দর্শক। যদিও এই প্রথম নন এর আগেও বহুবার এই ধারাবাহিক নিয়ে বহু সমালোচনা হয়েছে দর্শক মহলে।
তীব্র সমালোচনা হওয়ার পরেও গল্প সেই একই রকম। নায়ক নায়িকা ছাড়াও প্রেমিকা থেকে প্রেমিক সবই থাকে গল্পে। সাথেই দেখানো হয় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। যদিও লেখিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের গুড্ডি একটা আলাদাই মাত্রা নিয়েছিল। পরকীয়ার প্রো লেভেল হাজির হয়েছিল দর্শকের সামনে। গুড্ডি, অনুজ, শিরিন আর যুধাজিতের জীবনও আলাদাই মাত্রা পেয়েছে।
কিন্তু বলাই যায়, এই ধারাবাহিকের পরকীয়া দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শক। একাধিক সময় ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল দর্শকমন্ডলী থেকে। কিন্তু সেসব কোন কথাই কর্ণপাত না করে লীনা গাঙ্গুলী যেন গুড্ডিকে আরো বেশি পরকীয়ার গল্পে ভরিয়ে তুলেছেন। তবে এবার দীর্ঘ ছয় বছরের লিপ নিয়েছে এই ধারাবাহিক। এরমধ্যে দেখানো হচ্ছে শিরিন আর অনুজের ছেলে বেশ খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছে। মায়ের কাছে ভালোবাসা না পেলেও বাবা তাকে আদরে যত্নে বড় করছে। সাথেই এখন সে গুড্ডির ভালোবাসাও পাচ্ছে।
সাথেই দেখানো হচ্ছে গুড্ডি আর যুধাজিতের মধ্যে সম্পর্কটা দিন দিন ভালো হয়েছে। যুধাজিৎ সম্পূর্ণ রূপে স্বামী না হয়েও তার কর্তব্য সে পালন করছে। গুড্ডি যখন যেখানেই পোস্টিং থাকুক না কেন যুধাজিৎ তার সাথে এসে দেখা করে যায়। তবে তার মাকে এসব সে কিছুই জানায় না। তবে যুধাজিৎ মন থেকে চায় গুড্ডি আর অনুজের যেন মিল হয়ে যায়। কিন্তু গুড্ডি তাকে বলে, ‘আমার কোনও দিন যদি সংসার করতে মন চায় তাহলে আমি তোমার কাছেই আসবো’। এই বিষয়টি বেশ মনে ধরেছে দর্শকের।
প্রসঙ্গত গল্পের উন্নতি দেখে একজন নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, ‘সত্যি বলতে গল্পটা এবার সুন্দর হচ্ছে। এই ৬ বছরের লিপ-এর পর অনুজের মধ্যে ভীষণ পরিবর্তন এসেছে। সে আর আগের মতো নেই। নিজের মনের ওপর কন্ট্রোল করতে শিখে গেছে। আর ছেলের ভালো মন্দ ছাড়া কিছুই চায় না এখন আর’।
আবার শিরিনের প্রতি বিরক্তি থেকে আরেকজন লেখেন, ‘গুড্ডি কিছুটা আগের মত হলেও অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু শিরিন আগেও ইনসিকিওর ছিল আর এখনও একই আছে। ৬ বছর আগে শিরিনকে তাও সাপোর্ট করা যেত কিন্তু লিপ নেওয়ার পর ওর ইনসিকিওরিটি গুলোকে খুব একটা সাপোর্ট করা যাচ্ছে না’। এবার শুধু এটাই দেখার যে দর্শকের চাহিদা পূরণ করতে গল্পে আর ঠিক কতটা উন্নতি আনেন নির্মাতারা।