বাংলা সিরিয়াল

এই প্রথম বাংলার কোনো রিয়েলিটি শোতে যোগদান করলেন ট্রান্সজেন্ডার প্রতিযোগী, স্টার জলসার ‘সুপার সিঙ্গার’ এর মঞ্চে আসছে অন্বেষা

বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহকামী মানুষদের অপমানিত হতে হয়। এমনকি নিজেদের অভিভাবকের সন্তানদের পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করেন চাকরি জায়গায় হোক বা শৌচাগার সব জায়গাতেই তাদের জন্য যেন একটা নিষেধাজ্ঞা প্রথম থেকেই রয়েছে। ট্রেনে বাসে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে তাদের অনেক সময় অপমানিত হতে হয় মানুষ তাদের এমন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে যেন তারা মানুষ নয়।

তবে এবারে মানুষের সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে স্টার জলসার রিয়েলিটি শো সুপার সিঙ্গার। সম্প্রতি সুপার সিঙ্গার এর মঞ্চে উপস্থিত হয়েছে অন্বেষা। সুপার সিঙ্গার এর চতুর্থ সিজনে প্রথম রূপান্তরকামী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন অন্বেষা। ৩০ বছর বয়সী অন্বেষা বাউল গানে বিরাট পারদর্শী।

ছোটো থেকেই গানের জগতের সঙ্গে যুক্ত অন্বেষা। গান বাজনা নিয়েই থাকতে ভালবাসে। ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় গিটার শিখতে শুরু করে। পাঁচবছর গিটার শেখার পর রূপক ভট্টাচার্যের কাছে গান গাইতে শুরু করে। তখন থেকে লোকসঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর থেকেইবাউলের আখড়ায় গিয়ে গান শোনার পাশাপাশি গান শিখতেও শুরু করেন অন্বেষা। তাঁর মতে, বাউলদের আখড়ায় নিজের উপলব্ধিগুলো মেলে ধরার সাহস পেয়েছিলেন তিনি। তবে তার চলার পথ এতটাও সহজ ছিল না। অনেক বাঁধা এসেছে।

অন্বেষার পরিবারের তরফ থেকে এসেছে অনেক বাঁধা। তার মা বাবা এই কাজ একেবারেই সমর্থন করতেন না। অন্বেষার মা-বাবা ভাবতেন, তিনি রাস্তায় অর্থ উপার্জন করতে বেরোচ্ছেন। সেই কঠিন সময় গুলোতে অন্বেষাকে সাহস যোগাত বাউলের আখড়া। বিভিন্ন জায়গায় গানের শো করতেন অন্বেষা। মূলত কলকাতায় অন্বেষা শো করলেও পরবর্তী কালে তাঁর হাতে কাজ অনেকটাই কমে যেতে থাকে। অনেকে তাকে দেখার পর কাজ দিতেও চাইতেন না। এমনকি অর্থ উপার্জনের জন্য বিহারে হিন্দি গানের সাথে নাচ করতে হয়েছে অন্বেষাকে। সেখানে গিয়ে যথেষ্ট খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিলেন অন্বেষাকে।

তবে অন্বেষা চেষ্টা করে গিয়েছে, থামেনি। একসময় অন্বেষা ভাবত রিয়েলিটি শো গুলিতে হয়তো টাকা নেয়। কিন্তু ‘সুপার সিঙ্গার’-এর মঞ্চে এসে তাঁর এইসব ধারণা বদলে গিয়েছে। শোয়ের বিচারক মোনালি ঠাকুর, শান, রূপম ইসলাম -এর ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এমনকি উপার্জনের জন্য অন্বেষা কিছুদিন কল সেন্টারে কাজ করেছিলেন। এরপর যোগ দিয়েছিলেন ম্যান পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাজে। করেছেন বিজনেস কনসালট‍্যান্টের কাজও।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh