ডাক্তারি না পড়ে গান শিখলে কাজ দিতো তাহলে ক্রিটিকাল অবস্থায় গান গেয়ে মিরাক্কেল ঘটানো যেত-গুড্ডি ও সাহেবের চিঠি ধারাবাহিকের ট্র্যাক দেখে বলছেন দর্শক!

যে কোনো ধারাবাহিক শুরুও হয় একটি বিষয় নিয়ে আর তারপর গল্পের মধ্যে বিভিন্ন অন্যান্য বিষয় দেখানো হতে শুরু করে। এমন অনেক বিষয় দেখানো হয় যার সাথে লজিকের কোন মিল থাকে না তাই এই সকল বিষয়গুলিকে গাঁজাখুরি বলা হয়। কিন্তু এইসব গাঁজাখুরি বিষয় দেখিয়ে দেখিয়েই ধারাবাহিককে টিআরপি তুঙ্গে উঠে যায়। কোন ধারাবাহিককে টিআরপি কমে গেলে বা কোন ধারাবাহিকের টিআরপি টানটান রাখার জন্য এই রকম গাঁজাখুরি সব গল্প দেখানো হয়।
যেমন এখন স্টার জলসার দুটি ধারাবাহিক সাহেবের চিঠি এবং গুড্ডিতে এরকম গাঁজাখুরি গল্প দেখানো হচ্ছে। এই ধারাবাহিক গুলি যারা দেখেন, তারা জানেন, অনুজের গায়ে গুলি লেগেছে তাই সে অসুস্থ। তার ক্রিটিকাল অবস্থা, সে হাসপাতালে ভর্তি আছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে, মাঝেমধ্যে খালি গুড্ডির নাম করছে।
অজ্ঞান অবস্থায় সে গুড্ডির নাম করছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুড্ডিকে ডেকে আনে এবং গুড্ডিকে গান গাইতে বলে ডাক্তার। ডাক্তার বলে গুড্ডির গান শুনেই হয়তো অনুজ ক্রিটিক্যাল অবস্থা থেকে ফিরে আসবে। এরপর গুড্ডি গান গাইতে থাকে এবং অনুজ রেসপন্স করে
একই গল্প দেখানো হয় স্টার জলসার অপর ধারাবাহিক সাহেবের চিঠিতে। এই সাহেবের চিঠিতে দেখানো হয় যে সাহেব যখন অসুস্থ অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে পড়ে রয়েছে তখন চিঠি গান গাইতে থাকে এবং চিঠির গান শুনে সাহেবের জ্ঞান ফিরে আসে, তখন ডাক্তাররা বলে ওঠে ‘মিরাক্কেল’।
এইসব এপিসোড দেখবার পরে দর্শকদের একাংশ বলছেন, সত্যি এখন মনে হয় ডাক্তারি না পড়ে গান শিখলে কাজের কাজ হতো, তাহলে ক্রিটিকাল অবস্থায় গান গেয়ে মিরাক্কেল ঘটানো যেত।