সংসারের হাল ধরতে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করে খড়ি! ঋদ্ধির সামনে চলে এলো খড়ির আসল সত্যি, সকলের সামনে দ্যুতি ফাঁস করে দিলো সেই তথ্য
ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসছে ঋদ্ধি এবং খড়ি। বউয়ের মান ভাঙাতে এবং সিংহ রায় বাড়িতে বউকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সবরকম চেষ্টা করছে ঋদ্ধিমান। তার জন্য নিজের গরীব মধ্যবিত্ত শ্বশুর বাড়িতে এসেও দিন কাটাচ্ছে সে, সঙ্গে রয়েছে তার ভাই কুনাল। এমনকি খড়ির মন রাখতে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অংশগ্রহণ করেছে সে। নৃত্যনাট্যে প্রথমবার খড়ির মন জয় করে নিয়েছে ঋদ্ধি। খড়ি যে মনে মনে ঋদ্ধি কে একটু একটু পছন্দ করছে তা তার মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু সিংহ রায় বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি নন খড়ি। কারণ তার মনে হচ্ছে ঋদ্ধিমান তাদের বাড়ি বাঁচিয়ে সেই শর্তেই খড়ি কে তার সাথে করে নিয়ে যেতে চাইছে। কিন্তু খড়ি ভুল ভাঙ্গিয়ে ঋদ্ধিমান স্পষ্ট জানিয়ে দেয় খড়ি দের বাঁচি সে দয়া করেনি। বরং খড়ি কে সে টাকাটা ধার দিয়েছে। খড়ি কে সময় মত কাজ করে ঋদ্ধিমান কি সেই টাকাটা শোধ করে দিতে হবে। যাতে খড়ির আত্মসম্মানের না লাগে তাই ঋদ্ধিমান এই কাজ করেছে।
যথারীতি মান অভিমানে পর্ব শেষে খড়ি অবশেষে ঋদ্ধিমান এর সঙ্গে সিংহ রায় বাড়িতে ফিরে যায়। ধীরে ধীরে তাদের কেমিস্ট্রি এগোতে থাকে। কিন্তু পুরোপুরি ভাবে মন গলেনি কারোরই সেটা আগামী পর্বে হয়তো দেখা যাবে। তবে এরই মধ্যে ঘটে যায় একটি অদ্ভুত ঘটনা। রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানের শেষে খড়ির জন্য এক ঝুড়ি উপহার আসে এক আগন্তুক এর থেকে। আগন্তুক নিজের নাম লুকিয়ে খড়ির ভক্ত হিসেবে খড়ি কে দামি দামি পারফিউম এবং চকলেট পাঠায়। সেগুলো দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে ঋদ্ধিমান।
মনে মনে হিংসা করতে থাকে সে। জানতে চায় কে এগুলো খড়ি কে পাঠিয়েছে। খড়ির কোনো পুরনো বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা। কিন্তু বনি স্পষ্ট জানিয়ে যে খড়ির কোন বয়-ফ্রেন্ড নেই কিন্তু ঋদ্ধিমান যদি এভাবেই খড়ি কে এড়িয়ে চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে হলেও হতে পারে। আর এই ঘটনায় ঋদ্ধিমান তো বেশ রেগে যায়। সেও মরিয়া হয়ে ওঠে নিজের বউয়ের মন জয় করে নিতে। এবং অবশেষে রাজি করিয়ে সিংহ রায় বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ঋদ্ধিমান।
এরইমধ্যে সামনে এসেছে ধারাবাহিকের আগামী দিনের একটি ভিডিও ক্লিপ। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে ঋদ্ধিমানের বাড়িতে ঋদ্ধির এক্সিবিশন সফল হওয়ার কারণে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সেই পার্টিতে উপস্থিত রয়েছে খড়ি। আর দ্যুতি সেই পার্টিতে নিজের বোন কে অসম্মান করতে বলে ওঠে খড়ি নিজের সংসারের হাল ধরতে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে নিজের সব সখ-আহ্লাদ পড়াশোনায় জলাঞ্জলি দিয়েছে।
এমনকি ক্লাস টুয়েলভ এর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করে। আর এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় ঋদ্ধিমান। সে এসে জিজ্ঞাসা করে ‘আমি জানতাম আপনি বেশি দূর পড়াশোনা করেনি কিন্তু আপনি সামান্য হায়ার স্টাডি টুকুও পাশ করেননি?’ আর ঋদ্ধিমান মুখে এই কথা শুনে খড়ি একেবারে চুপ হয়ে গিয়ে বলে এই কথা সত্যি। এবার আগামী দিনে কি হতে চলেছে সেটাই দেখার অপেক্ষা। এই সত্যিটা জানার পর ঋদ্ধি কি করবে খড়ি কে নিয়ে? আবার একটি খড়ির প্রতি অন্যায় অবিচার করবে, নাকি খড়িকে সুযোগ করে দেবে খুব সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার।?
View this post on Instagram