‘মানুষ টিভিতে সিরিয়াল না দেখে ওটিটিতে ধারাবাহিক দেখছে বলে টিআরপি হচ্ছে না’! রাধিকা চরিত্রে অভিনয় করলেও রাধিকার মতো স্পষ্টবাদী নয়, বরং সম্পূর্ণ বিপরীত মানুষ সোনামণি সাহা, তবে অভিমানী তিনি! অকপটে জানালেন মনের কথা

সিরিয়াল (Bengali Serial)জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ সোনামণি সাহা(Sonamoni Saha)। তার প্রথম ধারাবাহিক দেবী চৌধুরানী। সেখানে ডাকাত রানী প্রফুল্লের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিল মালদার মেয়ে সোনামণি সাহা। তারপর তার কেরিয়ারে আসে আরেকটি মারাত্মক জনপ্রিয় ধারাবাহিক, মোহর। শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত টিআরপির তালিকাতে নিজের সেরার জায়গা ধরে রেখেছিল এই ধারাবাহিক।
তবে এখন তিনি এক্কাদোক্কার(EkkaDokka) রাধিকা। সেখানে পোখরাজ এবং রাধিকার কেমিস্ট্রি সর্বত্র আলোচিত। রাধিকা ভীষণ স্পষ্ট বক্তা এবং উচিত কথা বলা মানুষ। ভয় কি জিনিস সেটা সে জানেই না। নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য কিডনি পাচার কাণ্ডে যে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছিল তার জন্য প্রমাণ জোগাড় করেছে একাই। তার পরিবর্তে যদিও চোর অপবাদ নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাকে। তাতেও কোন সমস্যা নেই। তবে অভিনয় জীবনে যেমনই হোক না কেন বাস্তবে সোনামণি ঠিক কতখানি রাধিকার মত? সম্প্রতি টিভি নাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলা মনে ধরলে নিজেকে।
তার কাছে প্রথম প্রশ্ন রাখা হয়েছিল রাধিকা এবং সোনামনির মিল কতখানি? উত্তরে জানান একেবারেই বিপরীত। কারণ সোনামণি সাহসী হলেও রাধিকার মত স্পষ্ট বক্তা নন। মাঝেমধ্যে উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করতে পারেনা। তাই এটা একটা আক্ষেপ। উচিত কথা উচিত সময় বলতে পারেননা। এর মধ্যে চেপে রেখে দেন। তবে পরে ভাবেন উচিত কথা সময় বলে দিলেই হয়তো ভালো হতো।
তাহলে রাধিকার থেকে কি কি শিখলেন সোনামণি? জানিয়েছেন উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করতে শিখেছে সোনামণি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেটা কাজে করে উঠতে পারেননি। পাশাপাশি জানালেন সপ্তর্ষি এবং তার কেমিস্ট্রি ঠিক কতটা অন্যরকম। একটা নতুন ফ্লেভার আছে তাদের সম্পর্কে এটা তিনিও মানেন।
প্রসঙ্গত চন্দন সেন সম্পর্কে যখন প্রশ্ন করা হয় যে তার বাবার চরিত্রে তিনি কতটা ঠিক। সোনামণি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন ফ্লোরে যখন তিনি আসেন এবং অভিনয় করেন সবাই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। মাঝেমধ্যে কোন কথা বলার প্রয়োজন হয় না। শুধু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং চোখের চাহনি দিয়ে যে অভিনয়টা তিনি করেন। তাতেই মুগ্ধ সোনামনি।
তবে বেশ অভিমান জমে রয়েছে অভিনেত্রীর মনে। টিআরপিতে সেই ভাবে জায়গা পাচ্ছে না। অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী,’ বেশিরভাগ মানুষ হটস্টারে দেখে ফেলেন বলেই গন্ডগোল হচ্ছে। তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে এটা সেটার সঙ্গে হটস্টার বিনা পয়সায় পাওয়া যায়। জি এর ক্ষেত্রে সেটা হয় না। রিচার্জ করতে গেলে হেভি অ্যামাউন্ট খরচ করতে হয়। তাই উপায় না পেয়ে অনেকেই টিভিতে দেখেন। আর আমরা টিআরপি কাউন্টিং-এ পিছিয়ে থাকি’।
কিন্তু মেনে নিলেন ভালো জিনিস হচ্ছে বলেই লোকে তর সইতে না পেরে হটস্টারে উপভোগ করছেন আগেভাগে। কিন্তু যেহেতু স্টারের ব্যবসা টিআরপি থেকেই আসে তাই সে ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব শিল্পীদের ওপরেও পড়ে তা মেনে নিলেন তিনি।