‘দেবাদিদেব মহাদেব কিনা হাত জোড় করে কাঁদছেন! প্রোমো দেখে আর মহালয়া দেখতে ইচ্ছে করছে না!’ কালার্স বাংলার অতিরঞ্জিত মহালয়া বয়কটের ডাক নেটিজেনদের!

দক্ষযজ্ঞতে শিবের তাণ্ডব বা দেবাদিদেবের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে মা কালীর রাগ শান্ত হওয়ার মতো ঘটনার সাথে আমরা কম বেশি প্রত্যেকেই পরিচিত। তাই পর্দায় যখন এই সমস্ত সিন গুলি আমরা দেখতে পায়, তখন আমাদের বেশ ভালো লাগে কারণ কাহিনী গুলো আমাদের জানা আমরা জানি এগুলি অতিরঞ্জিত কাহিনী নয়। কিন্তু কখনো ধারাবাহিকের মতো যদি দেবদেবীর জীবন নিয়ে অতিরঞ্জিত কিছু দেখানো হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সেটা মেনে নিতে পারেন না কারণ সেটা মানুষের ধর্মে এবং ভাবাবেগে আঘাত লাগে। ঠিক যেমনটা হয়েছে সাম্প্রতিক কালের কালার্স বাংলার মহালয়ার প্রোমো দেখার পর।
কালার্স বাংলার মহালয়ায় দেবী দুর্গার ভূমিকায় রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে সম্রাট মুখার্জিকে। কালার্স বাংলায় আরও একটি প্রোমো দিয়েছে সম্প্রতি সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, দক্ষযজ্ঞে যাওয়ার অনুমতি চাইছেন সতী। তখন দেবাদিদেব মহাদেব বলছেন আমি যদি অনুমতি না দিই? দেবী তখন বলছেন তুমি কি ভুলে গেলে আমার প্রকৃত রূপ? এই বলে নিজের দশমহাবিদ্যা রূপকে তিনি দেখাচ্ছেন। এই কাহিনী সকলের জানা।
কিন্তু এই প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে যে দেবীর দশমহাবিদ্যা রূপ দেখে মহাদেব এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছেন যে তিনি জোড় হাত করে কাঁদছেন। এই বিষয়টা দর্শকরা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি, তারা বলছেন এইভাবে দেবাদিদেব মহাদেব কে ছোট করা যায় না। যিনি মহাকাল যিনি সমগ্র জগত কে রক্ষা করেন তিনি কিনা ভয় পাচ্ছেন আবার কেঁদে ফেলছেন বিষয়টা একটু অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে না?
এই বিষয়টার প্রতিবাদ করে সকলেই লিখেছেন যে এই প্রোমো দেখে আর কালার্স বাংলার মহালয়া দেখার ইচ্ছা নাই। কেউ আবার দেবাদিদেব রূপে সম্রাট মুখার্জির হাত জোড় করা ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, আমি আর ঋতুপর্ণা শিব পার্বতী হওয়ার জন্য সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
View this post on Instagram