বাংলা সিরিয়াল

‘শেষ হোক ক্ষতি নেই, মেয়েবেলাকে ভালো কনটেন্ট হিসেবে মানুষ মনে রাখুক’অহেতুক নেগেটিভিটি মেয়েবেলাতে দেখতে চান না দর্শক!

মেয়েবেলা ধারাবাহিকটি সত্যি অন্যরকম, তাই এই ধারাবাহিকে নায়কের প্রাক্তন প্রেমিকাকে গ্রে শেড দেওয়া হতে থাকলে দর্শকদের মন খারাপ হয়ে যায় আবার যখন দেখা যায় যে, চাঁদনী নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়েছে এবং সে বুঝতে পেরেছে যে বীথি মাসি এবং তার বাবা কিভাবে তার বোকামোর সুযোগ নিয়ে তাকে ব্যবহার করেছে, সে যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে তখন নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সে নির্ঝর এবং মৌ এর জীবন থেকে দূরে সরে যাবে, সে শহর ছেড়ে চলে যাবে। চাঁদনী চরিত্রের এই বিবর্তন দেখে খুশি দর্শক তারাও চেয়েছিলেন এই চরিত্রটি যেন শেষ অবধি আদর্শবাদী থাকে।

আসলে স্টার জলসার মেয়েবেলা ধারাবাহিকটি দর্শকদের প্রথম থেকেই একটা অন্যরকম গল্প প্রেজেন্ট করেছে যে কারণে এই ধারাবাহিকের প্রতি দর্শকদের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। তাই মেয়েবেলা তে দর্শক প্রথম থেকেই একটা অন্যরকম গল্প দেখতে চেয়েছিলেন এবং চাঁদনীকে যখন নেগেটিভ করে দেখানো হয় তখন দর্শক হতাশ হতে শুরু করেন। তবে এইবার চাঁদনী চরিত্রের বিবর্তন দেখে দর্শক খুশি। ধারাবাহিকের ১৫ই জুন লাস্ট স্যুট শুনেও দর্শক বলছেন শেষ হয়ে যাক কিন্তু ধারাবাহিকের মধ্যে অহেতুক নেগেটিভিটি এনে হজবরল যেন না করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজকের এপিসোড অসাধারণ। শুরু থেকেই চাইনি চাঁদনীর মতো আদর্শবাদী একটা চরিত্র নেগেটিভ হয়ে যাক। আজ বোধহয় ওর চরিত্রটা যথার্থভাবে স্বীকৃতি পেলো। চাঁদনী আর নির্ঝরের বন্ধুত্বটাও খুব সরল, সুন্দর রঙে তুলে ধরা হলো সকলের কাছে।

ছোটবেলায় জোশ বলে একটা সিরিয়াল দেখেছিলাম। খুব quality কন্টেন্ট ছিলো, অহেতুক বাড়ানো হয়নি, বেশিদিন চলেনি। মেয়েবেলার ১৫ তারিখ লাস্ট শুটিং শুনেও ওটার কথাই মনে পড়লো। বেশিদিন নাহয় নাই টানা হলো, নাই চলল। আমি চাই গল্পটা একটা সুন্দর পরিণতি পাক। সবটুকু গুছিয়ে খুব সুন্দর করে শেষ হোক। অল্প সময়ের জন্য চলা সিরিয়াল হলেও মেয়েবেলাকে একটা quality কন্টেন্ট বলে মানুষ যেন আজীবন মনে রাখতে পারে, সেভাবেই গল্পটাকে পরিণতি দেওয়া হোক, এইটুকুই চাই আর কি!,”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh