‘ছোট্ট রূপার কষ্ট, অসহায়তা চোখ ফুটে বেরোচ্ছে!’অনুরাগের ছোঁয়ায় ছোট্ট রূপার চরিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে সূর্যকে এতদিন ধরে লাবণ্য সেনগুপ্ত তার গোটা পরিবার এবং দীপা সবাই মিলে রূপার পরিচয় নিয়ে মিথ্যে কথা বলেছিলো তারা সবাই জানতো রূপা আসলে দীপার মেয়ে কিন্তু তারা সূর্যকে জানতে দেয় নি। হঠাৎ রূপা স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার স্কুল বুক দেখে সূর্য সমস্ত সত্যিটা জানতে পারে, এরপর দীর্ঘদিন ধরে দীপা মিথ্যে কথা বলেছে এবং রূপার মতো একটা ছোট্ট মেয়েকে দিয়েও মিথ্যে কথা বলিয়েছে এই কারণে দীপাকে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন মনে করে সূর্য। তাই সে অসুস্থ রূপা কে নিজের বাড়ি নিয়ে চলে আসে।
এরপর দীপা সেখান থেকে রূপাকে আনতে গেলে সূর্য বলে, রূপার বাবা মা না আসা পর্যন্ত রূপা এই বাড়িতেই থাকবে। দীপা যখন সূর্যকে বলে আমি তো ওর মায়ের মতো, তখন সূর্য বলে, মায়ের মতো, মা তো নও আর আমি রূপার লোকাল গার্জেন সেই কারণে আমি ওকে নিয়ে যাবো এবং ওর বাবা মা না আসা পর্যন্ত আমি ওর সমস্ত দায়িত্ব নেব।
এই পুরো পর্বে দেখা যায় দীপার কাছ থেকে যখন রূপাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে সূর্য, তখন রূপা কিছুই বলতে পারছে না কিন্তু চোখের ইশারায় সবটা বুঝিয়ে দিচ্ছে, তার মনের মধ্যে থাকা কষ্ট ,মা কে মা বলে ডাকতে না পারার অসহায়তা যেন তার চোখ ফুটে বেরোচ্ছে।
এই এপিসোড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে ,“অসাধারণ অভিনয় সৃষ্টি মজুমদার মানে আমাদের ছোট্ট রূপার। আজ সত্যি ওর অভিনয় চোখে জল এনে দিল। আজ যখন সূর্য দীপাকে বললো যে রূপার বাবা মা না আসা অবধি রূপা সূর্যদের বাড়িতেই থাকবে, তখন রূপার অসহায়ত্ব, ওর কষ্ট যেন ওর চোখে ফুটে উঠেছিল। Hat’s off to this little girl”