বাংলা সিরিয়াল

‘দর্শক আমাকে নিয়ে ট্রোল করছে মানেই দর্শক আমার ধারাবাহিকটা দেখছেন! ট্রোলিং নিয়ে তাই আমি মাথা ঘামায় না’, মাথা ন্যাড়ার কারণে ট্রোল হওয়া নিয়ে বললেন পল্লবী শর্মা!

স্টার জলসার ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে জবা চরিত্রে অভিনয় করে ঠিক যতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, বর্তমানে ঠিক ততটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন পল্লবী ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের পর্ণা চরিত্রে অভিনয় করে, তবে তিনি জবা হোন অথবা পর্না ট্রোলিং কিন্তু তার পিছু ছাড়ে নি। ধারাবাহিকে আসার পর এই ট্রোলিংকে কীভাবে দেখেন অভিনেত্রী? সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পল্লবী বলেন, তিনি খুব পজিটিভ ভাবেই পুরো বিষয়টা দেখেন। পল্লবীর কথায়, “মানুষের জীবনে তো প্রচুর কাজ।

যখন দেখি মানুষ আমায় নিয়ে ট্রোল করছে, মানুষ আমায় নিয়ে ভাবছে, ট্রোল করছে, আমি তাতেই ভীষণ খুশি। বরাবরই পজেটিভভাবেই দেখে এসেছি ট্রোলিং-কে। কারণ আমি চর্চায় আছি মানেই আমায় নিয়ে সবাই ভাবছে। এটা আমার সিরিয়াল লোকে দেখে বলেই ঘটছে। তাই জানতে পারছে আমি সিরিয়ালে কী করছি না করছি এবং আমি দর্শকের থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। যাঁরা ট্রোল করেন আমি তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমায় এতোটা ভালবাসা দেয়। আমার সিরিয়ালকে এতোটা ভালবাসা দেয়।”

একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী কে জিজ্ঞেস করা হয় যে কোন দৃশ্যে অভিনয় করবার সময় ট্রোলিং এর বিষয়টা তার মাথায় ঘোরে না? সেক্ষেত্রে ভীষণ পজেটিভ ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী, পল্লবী বলেন,“দর্শকেরা মন দিয়ে দেখছেন বলেই তো দৃশ্য ধরে ধরে ট্রোল করছেন।” বর্তমানে কোন ধারাবাহিক টিকে থাকবে কি থাকবে না তা নির্ভর করে সেই ধারাবাহিকের টিআরপির ওপর। এই টিআরপি নিয়ে কতটা মাথাব্যথা অনুভব করেন অভিনেত্রী? সেই প্রসঙ্গে পল্লবী বলেন,“আমি না কখনও এভাবে ভাবি না।

আমি শুধু আমার কাজটুকু করব। আমি মনে করি একটা সিরিয়াল হিট হওয়ার পিছনে, একটা গল্পের অবদান সব থেকে বেশি। দর্শক হয়তো আমায় দেখে টিভিটা খুলছে, কিন্তু গল্পটাকে তো ধরে রাখতে হবে। দর্শকদের ভাল লাগতে হবে। নয়তো আমার মুখ তাঁরা চার-পাঁচদিন দেখবে। নয়তো যখনই একঘেয়ে লাগবে তাঁদের, অপর চ্যানেলে কী ধারাবাহিক হচ্ছে, সেখানে চলে যাবে। এখন মানুষের কাছে অপশন এতো বেশী,রিমোর্টের একটা বটন টিপলে ১০টা অপশন। কেন দেখবেন তারা যেটা তাদের ভাল লাগছে না? আগের চরিত্রকেই বলুন আর এই চরিত্রকেই বলুন, অবশ্যই দর্শক যে আমাকে এতটা ভালবাসা দিয়েছেন, এটা আমার কাছে আশীর্বাদ।”

কিন্তু আজ যে ট্রোলিংকে খুব সহজভাবে ইতিবাচক ভাবে নিচ্ছেন, অভিনয় জীবনের শুরু থেকেও কি সেই ট্রোলিংকে এতটা সহজভাবে নিতে পেরেছিলেন? এই প্রসঙ্গে পল্লবীর সপাট উত্তর,
“সত্যি বলতে কি কখনই আমি এতোটা ভাবিনি। আর ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের পর তো আর ভাবতেই হয়নি। জবা চরিত্রটাকে দর্শক এতো ভালবাসা গিয়েছেন, আমি কখনও ভাবিনি যে আমায় টিআরপি নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ সব সময় মনে হতো দর্শক পাশে রয়েছে। আমি খুব নিশ্চিন্তে থাকতাম। সত্যি বলতে এখন আমরা অনেক বেশি টিআরপি নিয়ে মাথা ঘামাই, আগে এটা ছিল না। কখনও লিস্টই দেখতাম না। আমরা এখনও এই বিষয় ভাবি না। এটা চ্যানেলের ভাবনা কারণ এটা ব্যবসা।”

পল্লবী নিজের কাজটা আন্তরিকতার সাথে, ভালোবাসার সাথে করেন। তিনি মনে করেন, দর্শক সব সময় তার পাশে আছেন। কারণ দর্শকের সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্ক,ব্যবসার নয়।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh