বাংলা সিরিয়াল

বিপদের মধ্যেও বসু মল্লিক পরিবার হাসছে নন্দিনীর কারণে! সবাই মিলে চেষ্টা করছে কমলিকার বিরুদ্ধে মাথা তুলে উঠে দাঁড়ানোর? তাদের এই প্রয়াস কি সফল হবে?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নবাব নন্দিনীকে দেখা যাচ্ছে নবাব ও নন্দিনীর কেমিস্ট্রি রীতিমতো জমে উঠেছে। দুদিন আগেই দেখা গিয়েছিল যে নবাব অষ্টমঙ্গলায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নন্দিনীর কাকিমা গীতা কে রীতিমতো জব্দ করেছে তাকে হেনস্তা করার জন্য। এখানেই শেষ নয় নবাবের আরও একটা অভ্যাস দেখতে পেয়েছে নন্দিনী তা হল ঘুমের ঘোরে ফুটবল খেলা। হ্যাঁ নবাব ঘুমের ঘোরে গোল দিতে গিয়ে নন্দিনীকে খাট থেকে ফেলে দেয়।

এইসব হাসি মজার এপিসোড মিটতে না মিটতেই দেখা যায় যে, কমলিকা বসু মল্লিক পরিবারের সকলকে পান্তা ভাত লঙ্কা আর নুন খেতে দিয়েছে। এরপর নবাবের বাবা হাই প্রেসার এর জন্য পান্তা ভাত কাঁচা নুন দিয়ে খেয়ে রাত্রে বেলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর দেখা যায় যে, নবাব নন্দিনী সমস্ত খবর পেয়ে চলে আসে এবং ডাক্তারকে খবর ‌ দিয়ে নিয়ে আসে এবং নবাবের বাবা একটু সুস্থ হয়ে ওঠে।

এরপর নন্দিনী সবার সামনে স্বীকার করে যে, নবাবের দুই লাখ টাকা বড় বৌদি কমলিকা তাকে দিয়ে চুরি করিয়েছিলো। কমলিকা এরপর রেগে গিয়ে বলে যে গোটা বসুমল্লিক পরিবারকে খাওয়াতে তার অনেক খরচ হয় তাই এক সপ্তাহের মধ্যে বসুমল্লিক পরিবার যেন তার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয় খাওয়ার খরচ হিসেবে না হলে আর তাদেরকে খাওয়ানোর দায়িত্ব কমলিকা নেবে না। এরপর গোটা পরিবারের মাথায় হাত পড়ে যায়।

সবাই যখন ভাবছে কিভাবে এই বিপুল অংকের টাকার জোগাড় হবে তখন নন্দিনীর মাথায় একটা বুদ্ধি আসে নন্দিনী বলে নবাবের বাবার যে দোকানটা ছিল গীতবিতান সেই বাদ্যযন্ত্রের দোকানটা যদি আবার নতুন করে খোলা যায়? সবাই তখন বলে যে অনেক চেষ্টা করেও বাবা ওই দোকানটাকে আর দাঁড় করাতে পারেনি। নন্দিনী তখন বলে সবাই মিলে একবার চেষ্টা করে দেখি না বাবা একা যেটা পারেনি সবাই মিলে হয়তো পারবো। এরপর এই দোকান পরিষ্কার করতে গিয়ে গোটা বসু মল্লিক পরিবারের মধ্যে কিছু হাসি ঠাট্টা মজা হয় তাই দেখে নন্দিনী বলে বিপদের দিনেও সবাই হাসছে মজা করছে কারণ সবাই একসাথে আছে বলে।একার দ্বারা যা সম্ভব নয় সবাই মিলে সেটা ঠিকই সম্ভব।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh