‘মোদক পরিবারের সংকটে মিঠাই রাতারাতি কোন ডান্সার সিঙ্গার বা মডেল হয়ে যায়নি!সে যা পারে তাই করছে, মিষ্টি বিক্রি, এখানেই মিঠাই অনান্য ধারাবাহিকের থেকে আলাদা’বলছেন নেটিজেনদের এক অংশ!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। এই ধারাবাহিকে মিঠাই একজন মিষ্টির কারিগর, যে বাড়ি বাড়ি বেরিয়ে মিষ্টি বিক্রি করে। এই ধারাবাহিককে দেখা যায় পরবর্তীকালে সে মোদক বাড়ির বউ হয়ে যায়। মোদক পরিবারের সদস্য সিদ্ধার্থের সাথে তার বিয়ে হয়। সিদ্ধার্থ আর মিঠাইয়ের রসায়ন রীতিমত জমে ওঠে। যে সিদ্ধার্থ একদিন মিঠাইকে পছন্দ করতো না সেই এখন মিঠাই অন্ত প্রাণ হয়ে যায়। সিদ্ধার্থ একসময় অন্য একটি চাকরি করত কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রী মিঠাইয়ের কথা শুনে সে পারিবারিক মিষ্টান্ন ব্যবসাতে যোগ দেয়।
ধারাবাহিকের বিভিন্ন ট্রাকের মধ্যে বর্তমানে একটি ট্রাক এসেছে যেখানে দেখানো হচ্ছে মিঠাই পরিবারে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে তাদেরকে মোদক পরিবারের বাইরে বের হতে হয়েছে। কিন্তু পরিবারের ক্রাইসিসের সময় অন্যান্য ধারাবাহিকে যেমন দেখা যায় যে, নায়িকা মডেলিং করে বা অন্য কোন একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রচুর পয়সা রোজগার করছে এবং পরিবারকে সংকটের থেকে উদ্ধার করছে, মিঠাই ধারাবাহিকে সেই রকম কিছু হয় না। মিঠাই ধারাবাহিকে দেখা যায় পারিবারিক সংকটের মুহূর্তে মিঠাই যাতে অভিজ্ঞ সে সেই তাই করছে সে মাথায় হাঁড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে মিষ্টি বিক্রি করতে।
এই গল্প অনেক বেশি বাস্তবোচিত লেগেছে দর্শকের কাছে। কারণ দর্শক মনে করেন কোন মানুষই রাতারাতি একটি বিষয়ে অংশগ্রহণ করে পারদর্শী হয়ে বিজেতা হয়ে উঠতে পারে না বাস্তবে এটা সম্ভব নয়। যে মানুষ যা পারে সে সেই কাজটা ভালোমতো করতে পারে। মিঠাই তে সেটাই দেখানো হয়েছে। মিষ্টির কারিগর কে মিষ্টি বিক্রি করবার পরিবর্তে রাতারাতি যদি মডেল হিসেবে বা কোনো বিউটি কন্টেস্টে দেখানো হতো তাহলে সেটা অনেক বেশি হাস্যকর হতো বলে মনে করছেন দর্শকদের একাংশ।
একজন নেটিজেন যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “MITHAI মিষ্টি কেন্দ্রিক সিরিয়াল।এবং তার মুখ্য চরিত্রে নায়িকা একজন ময়রা। অসাধারণ মিষ্টি তৈরী করার প্রতিভা তার। সে পড়াশোনা সেভাবে না জানলেও নাচ, গান, রান্নাতেও সে পারদর্শী। অসাধারণ ব্যাবসায়িক বুদ্ধি দিয়ে যেমন সে একহাতে ব্যাবসা সামলায় তেমনই সততা, ভালোবাসা দিয়ে সবার মন জয় করতে পারে সে।
তবে মিঠাই সিরিয়ালের সবথেকে পজিটিভ দিক হলো মিঠাই প্রথম দিনে যা ছিল একজন সৎ, প্রতিভাসম্পন্ন, ময়রা এবং মিষ্টি ব্যাবসায়ী এখনও সে তাই আছে। হঠাৎ করে সে কোনো ড্যান্সার বা সিঙ্গার হয়ে যায়নি।পরিবারের খারাপ সময়ে সে বেরিয়ে পড়েছে মনোহরার হাঁড়ি নিয়ে ,ব্যাবসার হাল ধরতে। সিরিয়ালের নাম MITHAI দেওয়াটা স্বার্থক। অনেক ধন্যবাদ ডিরেক্টর স্যার এবং লেখিকা ম্যাম কে আমাদের এরকম একটা সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য। ”