‘এ যুগে বাড়ির বধূরা তাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার নিজেরাই করতে পারে!’ বন্য মেয়ে মাধবীলতার মুখে নারীবাদী সংলাপ শুনে ধন্য ধন্য করেছেন নেটিজেনরা!

স্টার জলসায় সদ্য শুরু হওয়া নতুন ধারাবাহিক ‘মাধবীলতা’। এই ধারাবাহিকে একটি বন্য মেয়ের গল্প দেখানো হয়েছে, জঙ্গল যার প্রাণ, গাছ যার মা। এই ধারাবাহিকে শ্রাবণী ভূঁইয়া আর সুস্মিত মুখার্জি অভিনয় করছেন মুখ্য ভূমিকায়। ধারাবাহিকের শ্রাবণীর নাম মাধবীলতা আর সুস্মিতের নাম সবুজ। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় প্রথম থেকে যে, সবুজ মাধবীলতাকে ভালোবাসে, কিন্তু মাধবীলতা বলে যে, তার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে তবেই সে বিয়ে করবে সবুজকে।
মাধবীলতার সাথে চির শত্রুতা রয়েছে গাছের চোরাকারবারীদের ব্যবসায়ী পুষ্পরঞ্জনের। পুষ্প রঞ্জনের ছেলে সবুজ। মাধবীলতা জানে না সবুজের পিতৃপরিচয় কি! অন্যদিকে সবুজ জানেনা তার বাবার সাথে মাধবীলতার ঝামেলা রয়েছে। পুষ্পরঞ্জনও জানে না তার ছেলে সবুজ আসলে মাধবীলতা কে ভালবাসে। পুষ্প রঞ্জন সবুজকে বলে মাধবীলতা কে বিয়ে করে আনতে, সবুজ মাধবীর বিশ্বাস অর্জন করে মাধবীলতা কে বিয়ে করে আনে।
বিয়ের পর গ্রাম ছেড়ে জঙ্গল ছেড়ে মাধবীলতা শশুর বাড়ি যায় কিন্তু শ্বশুরবাড়ির কেউই তাকে গ্রহণ করে না কারণ মাধবীলতার স্ট্যান্ডার্ড নেই বড় বাড়ির বউ হওয়ার। তাই সবাই মিলে তাকে অপমান করতে থাকে এবং বধূবরণ করতে অস্বীকার করে। এরপর সবুজ নিজে নিজের স্ত্রীকে বধূবরণ করতে থাকে কিন্তু সেই বধূবরণ মাঝপথে এসে থামিয়ে দেয় সবুজের বাড়ির এক সদস্য সে সিকিউরিটি গার্ড ডেকে মাধবীকে বাড়ির বাইরে বার করে দিতে চায়।
মাধবীলতা তখন বলে রামায়ণের সময় বাড়ির বউ এর অপমান হয়েছিল রামচন্দ্র রাবণকে শাস্তি দিয়েছিলেন, মহাভারতের সময় বাড়ির বউ এর অপমান হয়েছিল পাণ্ডবরা শাস্তি দিয়েছিলেন কৌরবদের। এ যুগেও বাড়ির বউদের অসম্মান হয় কিন্তু এ যুগে রাম কেও লাগবে না পাণ্ডব কেও লাগবেনা। এই যুগে বাড়ির বউরা নিজে অপরাধীদের শাস্তি দেবে, এই বলে সিকিউরিটি গার্ডদেরকে সে ঠাঁটিয়ে একটা চড় কষায়। সবাই চমকে যায় এই দৃশ্য দেখে।