‘লালনের স্মৃতি ফেরাটা এতটাই অদ্ভুত হয়েছে যে ফুলের পাশে আর লালন কে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না! এর থেকে যদি দেখাতো তিতির ওষুধ খাইয়ে লালনকে দিয়ে এমনটা করিয়েছে তাহলে মানা যেত!’-ধারাবাহিকের শেষে লাল ফুলের মিল দেখতে চান না দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধুলোকণা। এই ধারাবাহিক সত্যি আর ৫ টা ধারাবাহিকের থেকে আলাদা। কারণ এই ধারাবাহিকের কাহিনী। যে কোনো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, নায়ক নায়িকার মিল হোক সেটাই সব দর্শকরা চান, কিন্তু ধুলোকনা ধারাবাহিকের শেষে নায়ক নায়িকার মিল দর্শকরা চাইছে না। যদিও প্রথম থেকে নায়ক হিসেবে লালন কে সবাই খুবই পছন্দ করতেন কিন্তু মাঝখানের কয়েকটা দিন এমনই এলোমেলো ভাবে দেখানো হয়েছে যে লালন কে এখন ফুলের পাশে কেউই মানতে পারছেন না।
আসলে লালন অনেকদিন স্মৃতি হারিয়ে তিতিরের কাছে ছিল এরপর যখন তার স্মৃতি ফিরে আসে তখন সে ফুল ঝুরির কাছে চলে যায়। এই অবধি তো সব কিছু ঠিকঠাক ছিলো, কিন্তু সমস্যাটা তৈরি হয় এরপর থেকে, ধারাবাহিকে দেখানো হয় স্মৃতি ফেরার পরেও লালন বলছে তার তিতিরের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগছে, ভালো স্মৃতি খারাপ স্মৃতি এরকম নানান রকম উদ্ভট উদ্ভট কথা বলে সে তিতিরের কাছে থেকে যায়, এই পর্যায়ে এসে ফুলঝুরি লালন কে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
এর পর লালন আর তিতিরের বিয়ে ঠিক হয়, বিয়ের সময় লালন আনন্দে নাচ ছিল, গায়ে হলুদের সময় ডাক্তারবাবু তাকে এসে বলে যে ফুলঝুরির মাথায় একটা টিউমার হয়েছে সে আর বাঁচবে না, এটা শোনার পরে লালন চরিত্রের আবার পরিবর্তন ঘটে সে জানায় যে সে এতদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলো এখন ফুলঝুরি তার জীবনের সব। লালন চরিত্রের এই পরিবর্তনটাই সবাই মানতে পারছে না।
অনেকের বক্তব্য যে স্মৃতি ফিরে পাওয়ার পরেও একটা ঘোরের মধ্যে থেকে তিতিরের কাছে যাওয়া বিষয়টা ঠিক ক্লিয়ার নয়। এর থেকে যদি দেখা তিতির ব্ল্যাকমেইল করে এটা করছে বা কোন রকম ওষুধ খাইয়ে লালনকে দিয়ে এটা করাচ্ছে তাহলে বোঝা যেত।
একজন নেটিজেন যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে,“ আসলে ওর স্মৃতি ফেরাটা এত অস্বাভাবিক হয়েছে যে মন মানতে চাইছে না…
তাও যদি একটা accident এ স্মৃতি ফিরে আসতো মানা যেত… ডাক্তার এমন চিৎকার করে কথা এর আগেও বলেছে…
সেই জন্য এখনো এটাই মনে হচ্ছে ও জেনে বুঝেই তিতিরের কাছে ছিল এখন ফুলের মৃত্যু হতে পারে তার কারণে এই দায়টা আজীবন বয়ে বেড়াতে পারবে না বলে শেষে এসেছে ছুটে..
Exactly এটাই মনে হচ্ছে.. মনে সেই দাগ টা কাটতে পারছে না এখন আর লালন যতই চেষ্টা করুক ওর প্রতি আবেগ টা আগের মত হচ্ছে না
কাল যে ডাক্তার ফুলের operation করেছে সেই ঠিক বলেছে “আবার একটা মেয়ের কপাল পোড়াতে যাচ্ছেন”
যতই মিষ্টি মিষ্টি, দুঃখ দুঃখ এর কথা বলো না কেন… সত্যি বলতে মন ছুঁয়ে যাচ্ছে না একদমই উল্টে বিরক্তিকর লাগছে..”