বাংলা সিরিয়াল

‘গুনগুন, কোজাগরীর পর এইবার লালনকে মেরে ফেললেন? আর আপনার সিরিয়ার দেখবো না’-ধুলোকণায় লালনের মৃত্যু দেখে লীনা গাঙ্গুলীর লেখাকেই বয়কট করলো নেটিজেনদের একাংশ!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুনগুন-এ লীনা গঙ্গোপাধ্যায় দেখিয়েছিলেন গুনগুন মারা গেছে, এর আগে কোজাগরী ধারাবাহিক ও একইভাবে শেষ করেছিলেন,নায়িকা কোজাগরীর মৃত্যু দেখিয়ে। এইবার স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধুলোকণার ক্ষেত্রেও কি একই পথে হাঁটলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় প্রোমো দেখে সেই প্রশ্নই উঠছে দর্শকদের মনে। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে যে, সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে লালন। পাগলের মতো ফুলঝুরি তাকে খুঁজছে ‌।

এরপর দেখা যায় যে একজন পুলিশ আসে ফুলঝুরির কাছে ও জানায় তারা একটা বডি পেয়েছে সেই বডির সাথে লালনের পোশাক-আশাক মিলে যাচ্ছে। যদিও মুখটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে ‌‌। এরপর দেখা যায় ফুলঝুরি বডি সনাক্ত করতে যায় এবং বডি দেখে লালন বলে কাঁদতে শুরু করেন। যা দেখে সবাই এটাই ভাবতে শুরু করেন যে এবার তাহলে লালন মারা গেছে।

এক এক করে সব ধারাবাহিকে নায়ক নায়িকার মৃত্যু দেখাচ্ছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই চটে গিয়েছেন দর্শকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লিখেছেন তাদের মতামত। একজন যেমন ধুলোকনায় লালনের বডি সনাক্ত করার ওই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন,“ লিনাদির ভাগ্য এতো অসাধারন সব অভিনেতা অভিনেত্রী ওনার আন্ডারে কাজ করে আর ওনাদের ভাগ্য লিনাদির লেখনি পেয়ে

দুটোর কম্বিনেশন মানেই একটা অসাধারন লেভেল”

কেউ আবার লিখেছেন, “এই লেখিকার আর কিছু দেখবো না। যেই ভালোবাসবো তার serial কে তখনি নায়ক বা নায়িকা কে মারি।বয়কট এই বাজে লেখিকার।” একজন নেটিজেন আবার লিখেছেন,“ মানে কি লালন কে সত্যি সত্যি মেরে দিল। কি সব কাহিনি বানায় নায়িকা ছেড়ে খল নায়িকার সাথে বিয়ে হয়ে যায়। নায়ক নায়িকে মরে যায়।ফালতু সব কাহিনী”- তবে এইসব কথার প্রতিবাদ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন যে, “মাথার পিছন দিকটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ওটা লালন নয়। অন্য কেউ সেম জামা, সেম ব্রেসলেট আর মুখ তো চেনা যায়নি বিকৃত হয়ে গেছে।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh