‘ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কাজ করেছেন আয় তবে সহচরীতে! এরপর প্রযোজক পরিচালক তার শর্ত মানলে তবেই তিনি ছোট পর্দায় ফিরবেন!’-ধারাবাহিকের কাজে কেন অনিহা জমলো কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক আয় তবে সহচরীতে, নাম ভূমিকায় অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই ধারাবাহিক চলতে চলতে মাঝপথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এই ধারাবাহিক ছেড়ে তাকে যেতে হয়, পরে তাকে ছাড়াই সম্প্রচারিত হয়ে যায় আয় তবে সহচরী ধারাবাহিকের শেষ এপিসোড। তবে এই ধারাবাহিক চলাকালীন অভিনেত্রী একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন আয় তবে সহচরী ধারাবাহিকটি একটা ভিন্ন ধরনের ধারাবাহিক ছিলো যখন তিনি এই ধারাবাহিকটি সাইন করেছিলেন কিন্তু টিআরপি তলানিতে ঠেকায় ধারাবাহিকের মধ্যে পরকীয়া দেখানো শুরু হয় আর পরকীয়া দেখাতেই ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়তে থাকে। বর্তমানে অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, তিনি যদি ফের ছোট পর্দায় আবার কাজ করেন তাহলে প্রযোজক আর পরিচালককে তার শর্ত মানতে হবে তবেই তিনি আবার ধারাবাহিক করবেন।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান ছোট পর্দায় কাজ করার মানসিকতা তার নষ্ট হয়ে গেছে তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন,‘‘প্রথম পাঁচ মাস ধারাবাহিক চিত্রনাট্য মেনে চলে। যেই টিআরপি তলানিতে ঠেকে তখনই গল্পের গরু গাছে ওঠে। ও ভাবে কাজ করতে আর পারব না।’’তবে কি আর কোনদিনও ছোটপর্দায় ফেরা হবে না পর্দার সহচরীর?
বৃহস্পতিবার প্রজাপতি ছবির ট্রেলার মুক্তিতে এসে পর্দায় মিঠুন চক্রবর্তীর কন্যা কনিনীকা এই প্রসঙ্গে জানান, “ছোট পর্দায় যদি আমায় নিতেই হয় তাহলে প্রযোজক পরিচালককে আমার শর্ত মানতে হবে, তারা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করলে তবেই কাজ করার কথা ভাববো। না হলে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করার মত শারীরিক পরিস্থিতি আমার নেই, ছোট পর্দার পিছনে অত খাটবও না আর।”
একই সাথে অভিনেত্রী আরো বলেন যে, “ অভিনয় ছাড়া বাঁচবো না ফলে অভিনয় আমি করবোই পাশাপাশি আমারও কিছু ভালোলাগা মন্দ লাগা আছে সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে মত মেলে নি বলেই ধারাবাহিক পরমেশ্বরী ছেড়ে চলে এসেছিলাম।” এমনকি অভিনেত্রীর কথা অনুযায়ী তিনি সহচরী থেকেও বেরোতে চাইছিলেন কিন্তু কিছুতেই বেরোতে পারছিলেন না। এর ফলে প্রচন্ড মনোকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।
রোজ শুটিংয়ে যাওয়ার আগে চোখে জল আসতো তার, এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিনেত্রীর কথায়,“ ঈশ্বর যেন এভাবেই আমায় বাঁচালেন। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক জোড় হাতে এসে জানিয়েছিলেন তাদের জন্য আমার কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম আপনারা আমার কত বড় উপকার করলেন নিজেরাই জানেন না। জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্টুডিওয়ে যেতে হচ্ছিলো, আপনাদের সহযোগিতায় রোজের অপছন্দের কাজ থেকে মুক্তি মিলল।”