বাংলা সিরিয়াল

জোড়া বাড়িকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েও অপমানিতা শ্যামলী! কিঞ্জল না ফিরলে দুজনের ভুল বোঝাবুঝি মিটবে না! কোন গোপনে মন ভেসেছে দেখে বলছেন দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কোন গোপনে মন ভেসেছে – তে দেখা যাচ্ছে যে, পাহাড়ে একটা ভাতের হোটেল ছিল শ্যামলী র, নিজের রোজগারে সে সেখানে জীবন যাপন করতো কিন্তু ভাইদের সংসারে সর্বস্ব দেওয়ার পরেও জোটে নি এতটুকু সম্মান,তাই শেষ পর্যন্ত পাহাড় ছেড়ে এসে চলে আসে কলকাতায়।

কলকাতা তে সহায় সম্বল হীন শ্যামলীকে আশ্রয় দেয় অনিকেত । সবসময় শ্যামলী কে সাপোর্ট করে অনিকেত, এরপর অনিকেতের ভাই কিঞ্জল নিখোঁজ হয়ে যায় আর ঘটনাচক্রে সব দোষ গিয়ে পড়ে শ্যামলীর ঘাড়ে।

এরপর শ্যামলীর তুমুল হেনস্তা, জেল হেফাজত ও কোর্ট কাছারীর পর শ্যামলী নির্দোষ প্রমাণ হলে অনিকেত ও কিঞ্জলের মা শ্যামলীকে চূড়ান্ত অপমান করে, শ্যামলী তখন আত্মহত্যা করে এবং পুলিশ কিঞ্জলের মাকে অ্যারেস্ট করে, নিজের মাকে বাঁচাতে তখন কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ করে অনিকেত শ্যামলীর সাথে।

এরপর দেখা যায় যে, বিয়ের ঠিক পরেই অনিকেত বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, অনিকেতকে বিদেশে ফিরে যেতে হবে শুনে মামনি অসুস্থ হয়ে পরেছেন কিন্তু বিদেশে না যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই অনিকেতের কারণ সে ফিরে না গেলে এক কোটি টাকা কোম্পানি কে দিতে হবে।

আরও পড়ুন : মুখ বদল হচ্ছে কার কাছে কই মনের কথার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর! শীর্ষা না বিপাশা কার মুখ বদল হচ্ছে জানলে চমকে যাবেন আপনিও!

অন্যদিকে শ্যামলীর হোটেলে খেতে আসে বিদেশের এক বিখ্যাত গায়িকা তার সাহায্যে এই সমস্যার সমাধান করে ফেলে শ্যামলী। ধারাবাহিকে দেখা যায় শ্যামলী ও অনিকেতের দুজনের প্রতি দুজনের একটা অসম্ভব টান রয়েছে, শ্যামলী চোট পেলে অনিকেত ছুটে আসে, তাকে ওষুধ দেয় আবার তার যখন মনে পড়ে কিঞ্জলের কথা তখন শ্যামলীকে সে অপমান‌ও করে। দর্শক মনে করছেন যে, কিঞ্জল ফিরে এলে ওদের সম্পর্কটা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজ আবারও শ্যামলী জোড়া বাড়িকে আবারও এক চরম বিপদের মুখ থেকে বাঁচালো।বিয়ে বাড়িতে মাংস কম রান্না করে তৃষা অরু ফেঁসে গেলে,সেখান থেকে ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধি বার করে এই বিপদ থেকে বার করে আনতে সক্ষম হলো শ্যামলী

আর এতে খুশী হয়ে দাদু ভাই আর ঠাম্মি ঠিক করলো যে শ্যামলীকে servent কোয়ার্টার থেকে সরিয়ে গেস্ট রুমে থাকার ব্যাবস্থা করে দেবে,কিন্তু শ্যামলী তাতে কিছুতেই রাজি হলো না
কিন্তু অনিকেত সব কিছু বুঝতে পারছে,দেখতে পারছে কিন্তু শ্যামলীকে আজ ও কিঞ্জলের হত্যাকারি হিসাবে ই মনে করে আর তাই এতো কিছু করবার পরেও শ্যামলীর অপমানটাই কপালে জোটে।

তবে শ্যামলী বার বারই একটাই কথা বলে যে সে কিছু করে নি,সে অপরাধী নয়।আর সব সময় সে জোড়া বাড়ির, উপকারই করবে
দেখা যাক কবে কিঞ্জল ফিরে আসবে আর শ্যামলীর সাথে এই ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়ে সব কিছু ঠিক হবে”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh