বাংলা সিরিয়াল

অবৈধ সম্পর্ক আর অবৈধ সন্তানের বাইরে লীনা পিসি কিছু লিখতে পারে বলে আমার মনে হয় না! জল থই থই দেখার ইচ্ছায় উবে গেল গল্পের মোড় দেখে বলছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসা তে প্রথম থেকে দেখানো হয়েছে যে কোজাগরী একজন সুখী গৃহিণী। পরিবারে তার যেমন আধিপত্য আছে তেমনি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য তাকে ভীষণ ভালোবাসে ভীষণ সম্মান করে এবং তার কথাকে প্রচন্ড গুরুত্বসহকারে শোনে।

তার স্বামী তাকে প্রচন্ড সম্মান করে চলেন ও তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা এবং চাহিদার যথেষ্ট গুরুত্ব দেন। কোজাগরী এমন একজন মানুষ যিনি বয়সকে তুড়ি মেরে বাঁচতে চায় তাই নিজের বয়সের কথা ভুলে সে সমস্ত রকম কাজে পার্টিসিপেট করে।

কিন্তু হঠাৎ করে দেখা যায় যে কোজাগরী রাস্তার ধারে একটা হোটেল খুলতে চায় আর এই বিষয়টা নিয়ে পরিবারের সাথে তৈরি হয় তার তীব্র মতবিরোধ। ছেলে বর শাশুড়ি সবার সাথে মতানৈক্য সৃষ্টি হয় তার এই বিষয়টি নিয়ে।

এরপরই গল্পে এক অদ্ভুত মোড় আসে যা মানতে পারছেন না দর্শক। জানা যায় যে কোজাগরির বর উদ্যলোকবাবুর একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। ময়ূরাক্ষী বলে একজনের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো এবং সেই সম্পর্কের ফলস্বরূপ তার খিলখিল নামের একটি মেয়েও আছে!

উদ্যলোকের বন্ধু অপরাজিতা এবার ময়ূরাক্ষীর সাথে দেখা করতে যায় এবং খিলখিল ও ময়ূরাক্ষীর বিষয়টা দেখানো হয়। কিন্তু চন্দন সেন এর মত একজন অভিনেতাকে এরকম একটি কালিমা লিপ্ত চরিত্রে মানতে পারছেন না দর্শক। তাই এই নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোলিং।

আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে মিশকা আর ইরা আসল সম্পর্ক! আড়াল থেকে সব শুনে অবাক সূর্য, তোলপাড় করা পর্ব

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“অবৈধ সম্পর্ক আর অবৈধ সন্তান এর বাইরে লীনাপিসি কিছু লিখতে পারে বলে আমার মনে হয় না!”

আরেকজন আবার চন্দন সেন এর মত একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষের এইরকম একটি চরিত্র করা নিয়ে নিজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, “ চন্দন সেন বরাবরই আমার ভীষন পছন্দের একজন অভিনেতা। আর মানুষ হিসেবেও উনাকে ভীষন শ্রদ্ধা করি। এর কারণ একটাই। দৃঢ়তার সঙ্গে উনি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে জানেন।

সিরিয়াল আমি খুব একটা দেখি না। তবে দুএকটা সিরিয়াল মাঝে মাঝে দেখি শুধু উনার অভিনয় দেখার জন্যই। বেশ কয়েক বছর আগে ইচ্ছেনদী দেখতাম। সেখানে চন্দনবাবুর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। কি দৃঢ়তা ছিল তার চরিত্রে। একজন আদর্শ মানুষ তথা আদর্শ পিতা, যে কোন অন্যায়ের সঙ্গে নিজেও আপোষ করেন না, মেয়েকেও সেই শিক্ষাই দেন।

জল থৈথৈ ভালোবাসাও দেখতে শুরু করেছিলাম চন্দনবাবু আর অপরাজিতা আঢ্যর অভিনয় দেখার জন্য। কিন্ত এই সিরিয়ালে শুরু থেকেই চন্দনবাবুর চরিত্রে সেই “ইচ্ছেনদী”র মত সততার দ্যুতি আর চরিত্রের সেই দৃঢ়তা দেখতে পাইনি।

আর এখন তো কাহিনী যেদিকে মোড় নিল, তাতে তো দেখার ইচ্ছেই উবে গেল। চন্দনবাবুর মত অভিনেতা তথা মানুষকে এর ভ্রান্তিযুক্ত চরিত্রে একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। সিরিয়ালটিতে তো দেখানোর মত আরও অনেক কিছু ছিল। এইরকম একটা নোংরা দিক কি না আনলে চলছিল না?”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh