‘ব্লুজের তৈরি করা জগদ্ধাত্রী চরিত্র যেন ব্লুজের সব চরিত্রকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে! নায়িকা মানেই ন্যাকামো কিন্তু জগদ্ধাত্রী চরিত্রটা ভীষণ স্ট্রং!’ব্লুজের জগদ্ধাত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

যে কোনো ধারাবাহিকের নায়ক অথবা নায়িকা চরিত্র বললে মনের মধ্যে একটা কনসেপ্ট তৈরি হয়ে যায়, ধারাবাহিকের নায়িকা মানে ন্যাকা বোকা চরিত্র, সে কিছুই বোঝে না ,সে নিপাট ভালো মানুষ, ভিলেন একটার পর একটা শয়তানি করে যায় আর সে মুখ বুজে, সহ্য করে যায় কখনো কান্নাকাটি করে, কিন্তু কখনোই ভিলেনের শয়তানি ধরতে পারেনা, উপরন্ত নিজে অপদস্ত হয়- এইরকমই চরিত্র মূলত দেখানো হয় বাংলা ধারাবাহিকের। তাই দর্শকও ভাবেন যে বাংলা ধারাবাহিকের নায়িকা মানেই চরিত্রটি বেশ দুর্বল। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে জি বাংলার জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিক পুরো আলাদা।
জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকে প্রথম থেকেই গল্পের কনসেপ্ট অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে আলাদা, এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় এমন একটি চরিত্র যে দ্বৈত ভূমিকায় কাজ করে, জগদ্ধাত্রী জগদ্ধাত্রী রূপে বাড়ির শান্তশিষ্ট মেয়ে, সাত চরে রা কারে না আর এই জগদ্ধাত্রী যখন ডাকাবুকো পুলিশ অফিসার হয়ে যায় তখন সে জ্যাশ সান্যাল, সে দুষ্টের দমন করে আর শিস্টের পালন করে, তার বন্ধু স্বয়ম্ভু কে পিতৃপরিচয় ফিরিয়ে দিতে স্বয়ম্ভুর মিথ্যে বউ সেজে স্বয়ম্ভুর সাথে যায় জগদ্ধাত্রী, এরপর নানা ঘটনা চক্রে স্বয়ম্ভুকে ভালবেসে ফেলে সে। এইরকম পরিস্থিতিতেই স্বয়ম্ভুর জীবন বিপর্যয় ঘটে, কিছু দুষ্কৃতি তাকে গুলি করে আর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় স্বয়ম্ভু, কোমায় পৌঁছে যায় সে।
তবে স্বামীর অসুস্থতায় হোক অথবা কেস সলভ সব ক্ষেত্রেই জগদ্ধাত্রীর চরিত্রটি অসাধারণ স্ট্রং করে তৈরি করা হয়েছে ধারাবাহিকে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই আলোচনা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ব্লুজের তৈরি করা জগদ্ধাত্রী চরিত্র যেনো ব্লুজের সব চরিত্র কে পেছনে ফেলে দিচ্ছে
সিরিয়ালের নায়িকা মানেই ন্যাকামো। কিন্তু জগদ্ধাত্রী চরিত্র টা খুব স্ট্রং”