বাংলা সিরিয়াল

শিমুলকে মেরে মাথা ফাটালো পরাগ! কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে “নারী নির্যাতন”?

বাংলার বিতর্কিত ধারাবাহিক “কার কাছে কই মনের কথা”। প্রোমো দেখে মনে হচ্ছিল, পুরো গল্পটি জুড়ে, পাড়া-প্রতিবেশী বউদের সঙ্গে অন্য আরেক গৃহবধূর বন্ধুত্বের সম্পর্ককে তুলে ধরা হবে। তা অবশ্য অল্প বিস্তর দেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি দেখানো হচ্ছে, দজ্জাল শাশুড়ির মন গলিয়ে কিভাবে শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক মা-মেয়ের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। তবে সেই সব কিছুকে হার মানিয়ে এই ধারাবাহিকের সব থেকে বেশি প্রায়োরিটি দেওয়া হচ্ছে, নারী নির্যাতন আর তার প্রতিকারকে।

শাশুড়ির কথা শুনে এদিন শিমুল স্বামী পরাগের ঘরে আসে। মানিয়ে না নিলে, শিমুলের প্রতি পরাগের টান জন্মাবে না। এই কথা ভালো করে শিমুলকে বুঝিয়ে তাকে পরাগের ঘরে পাঠায় শিমুলের শাশুড়ি। শিমুলকে দেখেই রেগে আগুন পরাগ। আবারো শিমুলের ওপর জোরজবরদস্তি করতে থাকে পরাগ। এমনকি গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে। চুপ করে সহ্য না করে তার প্রতিবাদ জানাই শিমুল। সে একটা জানোয়ারের অধম, বলে সে। এরপর পরাগ রীতিমতো ক্ষেপে উঠে শিমুলকে পাওয়ার জন্য।

শিমুল পরাগকে বাধা দিতে গেলে, পরাগ তাকে ভীষণ জোরে ধাক্কা মেরে খাটের দিকে ঠেলে দেয়। কিন্তু বিছানায় পড়ার বদলে খাটের কোনায় গিয়ে পড়ে শিমুল। মাথা ফেটে যায় তার। এই অবস্থাতেই শিমুলের উপর অত্যাচার করতে শুরু করে পরাগ। পরাগের থেকে নিজেকে কোন রকমে বাঁচায় শিমুল।

এরপর শিমুল পরাগকে হুমকি দেয়, যেহেতু পরাগ শিমুলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, তাই এরপর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সে। পুলিশে যাবে, কোর্টে যাবে, জানায় শিমুল। পরাগের মতো এমন একজন নৃশংস মানুষের শিক্ষকের চাকরি করার কোন অধিকার নেই বলে শিমুল। এরপর ফেটে যাওয়া মাথা চেপে ধরে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায় শিমুল।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh