‘দিদি আপনি ভূ;ত দেখেছেন?’ প্রশ্ন হাউস হেল্পার দিদির, দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে এবার পরিচারিকারা! তাঁর মুখে এই গল্প শুনে রীতিমতো হতবাক রচনা

জি বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন শো দিদি নাম্বার ওয়ান। এবার এই শো এর মঞ্চে আরো কয়েকজন এমন দিদির উপস্থিত হয়েছেন যারা হয়তো সেই বাড়ির গৃহিনী নন কিন্তু বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব সামলান তারাই। কয়েকজন পরিচারিকা দিদিকে নিয়ে এই দিনের শো অনুষ্ঠিত হয়। তাদের জীবনের আড্ডা গল্প নিয়েই মেতে ওঠেন শো এর সঞ্চালিকা রচনা। এই দিনের এক প্রতিযোগী পরিচারিকা রীতু অধিকারী নিজের জীবনের কিছু অদ্ভুত অভিজ্ঞতা ফাঁস করেন। আর তাতেই অবাক রচনা।
শো এর শুরুতেই রীতুর প্রশ্ন, ‘দিদি আপনি ভূত দেখেছেন?’ কিন্তু সঞ্চালিকা রচনা বলে ওঠেন ‘না ‘। এরপরই ওই প্রতিযোগী বলেন, ‘আমরা দেখেছি।’ তারপরেই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেন রীতু, ‘সকালবেলা বেল মারতেই, দরজা খুললে দেখব মুখে মেকআপ করে, হাতে মেহেন্দি পরে দরজা খুলছে। বলবে, এইটা করে দাওনা গো! ওইটা করে দাওনা! একটু চা বসিয়ে দাওনা! আমি চা খাবো।’ পরিচারিকার এ কথাও বলেন যে, তার মালকিন বাড়িতে সবসময় সেজেগুজে থাকেন। কিন্তু তার মালকিন কিন্তু কোন হিরোইন না।
এরপরেই রচনা বলেন যে তিনি এত ভালো পরিচালিকা যে কিছু করতেই হয় না। উল্টো দিক থেকে মন্তব্য আসে, ‘মাইনে বাড়ানোর ক্ষেত্রে.. ব্যাস!’ এরপর তারা ভুলে যান এক বছরের পর মাইনে বাড়াতে হয়, তখন মালিকরা সব ভুলে যান। যদিও রীতু বলেন, ‘যখন সাহায্য়ের প্রয়োজন হয় তাঁরা সাহায্য করেন। টাকাপয়সা বা অন্য ক্ষেত্রে। কিন্তু মাইনে বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভুলে যান।’ রচনার বলেন, ‘গৃহিণী-পরিচারিকাকে একে অপরকে বুঝতে হবে’। গৃহিণী প্রতিযোগী মিতালী দেবীর মন্তব্য, ‘তাঁরা একে অপরের পরিপূরক।’ এর পর রচনা তাদের নিজের মধ্যে বোঝাপড়া নিয়ে নানান মিষ্টি মন্তব্য করেন।