বাংলা সিরিয়াল

‘গুড্ডি অপরাধীর পাশে দাঁড়াচ্ছে বলে তাকে জীবন থেকে বাদ দেবে ঋতুরাজ! প্রমাণ হলো ও শিরিনের ছেলে, অনুজের নয়!’অঙ্কুশকে নিয়েই সুখী হোক গুড্ডি চাইছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডিতে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, অনুজকে হারিয়ে ফেলার পর সারাটা জীবন পালিতা মেয়ে রেশমিকে নিয়ে কাটাতে চেয়েছিলো গুড্ডি, কাটিয়েও ছিল কিন্তু একটা সময় পরে করতে বুঝতে পারে যে রেশমি তার কাছে বড় হলেও তার মত আধুনিক মানসিকতার হয়ে উঠতে পারেনি তাই সারা জীবন নিঃসঙ্গ হয়ে থাকা গুড্ডি যখন শেষ জীবনে এসে অঙ্কুশ ভাটিয়ার মধ্যে নিজের স্যারজি অনুজকে খুঁজে পেয়ে নিজের মতো করে জীবন কাটাবার সিদ্ধান্ত নিলো তখন রেশমি জানালো যে সে তাকে ঘেন্না করে, এমনকি এই মাম্মামকে তার জীবনে দরকার নেই,এই মাম্মাম মরে গেলেও সে দুঃখ পাবে না- একথাও সে বলতে দুইবার ভাবে না। এরপরই গুড্ডি বুঝতে পারে যে জীবনে তার ‌ও সুখী হওয়ার অধিকার আছে তাই অঙ্কুশ কে নিয়ে সুখী হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে।

অঙ্কুশ যেহেতু অপরাধ জগতের সাথে যুক্ত ছিল তাই প্রথমেই তাকে আইনের দ্বারস্থ করে এরপর তাকে অগ্নি শুদ্ধ করে নিজের কাছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে আর সেই কারণে প্রথমে পুলিশের কাছে অঙ্কুশকে আত্মসমর্পণ করতে বলে তারপর অঙ্কুশের হয়ে সে নিজেই কেস লড়তে ময়দানে নামে। নিজের মনের মধ্যে থাকা যাবতীয় লড়াইয়ের কথা নিজের যাবতীয় সিদ্ধান্তের কথা এরপর সে অনুজের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে। অন্যদিকে দেখা যায় যে,ঋতুরাজকে একসময় নিজের ছেলের মত ভালোবাসতো গুড্ডি, সেও কিন্তু নিজের মামনির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করছে না, দর্শক এই বিষয়টাই বেশ হতাশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“আজ গুড্ডি কে বড্ড মায়াবি লাগছিল, কতোটা অসহায় লাগছিল ওকে দেখে।পুরো জীবনটা একজন ভালোবাসার লোক কে বুকে আগলে রেখে শুধু সংগ্রাম ই করেই চলেছে

অনেকেই বলবেন যে গুড্ডি নিজেই এই পথটা বেছে নিয়েছে।কিন্তু এটাই কি সত্যি।বহরু দা গুড্ডি কে বলে গেছিলেন যে গুড্ডি মা শিরিন দিদির পরিবার তোমার জন্যে অনেক করেছে,তুমি ওদের নুন খেয়েছো তাই কোনো দিন ও বেইমানি করবে না।আর বাবুজির এই কথাটার দাম রাখতে গিয়ে নিজের জীবনটাই বেসামাল হয়ে গেলো।শিরিন দিদির সংসার গড়ে দিতে গিয়ে নিজের সংসারটা যে কখন যে তাসের ঘরের মতন ভেঙে গেছে তা সে বুঝে উঠতেই পারে নি।

পাঁচ বছর পর উভয়ের কর্ম স্তলে দেখা হবার পর অনেক ঘাত প্রতিঘাত এর পর ওরা একটু মনের কাছাকাছি এসে একে অপরের পাশে থাকতে চেয়েছিল,একে অপরের প্রতি ভালোবাসা টা মুখে স্বিকার করতে চেয়েছিলো কিন্তু ভাগ্যের কি নিষ্টুর পরিহাস।এক রাতের নোটিসেই অনুজকে চলে যেতে হলো পৃথিবী ছেড়ে, চলে যেতে হলো গুড্ডি কে ছেড়ে।
অনুজ হীন জীবনে কতোই না লড়াই করে তাকে টিকে থাকতে হয়েছে এই পৃথিবীতে,আজ ও হচ্ছে।

আজ অনুজ রুপি অংকুশকে নিয়ে জীবনের বাকী পথ টা কাটাতে চায়।অংকুশকে নিরপরাধ প্রমান করতে চায়।

তাই আজ সে তার মনের মানুষের ছবির কাছে তার সব মনের কথা খুলে বলে।তার বাতি ঘরের আলো র দেখানো পথেই সে চলতে চায়।তাই সে অনুজ কে নতুন রুপে অংকুশকে জীবনে ফিরে পেতে চায়

‘তোমায় নতুন করে পাব বলে
হারাই ক্ষণে ক্ষণ
ও মোর ভালোবাসার ধন
ওগো তুমি আমার নও আরালে
তুমি আমার চিরকালের ক্ষণকালের’——–

রিতাভোরি র মুখে ছেলেদের দ্বিতীয় বার বিয়ে করলে কোন অসুবিধে হয় না এই কথাটা শোনা মাএ রিতু রাজ আঙুল তুলে ওঠে যে তার বাবার সম্মধে যেনো কিছু না বলা হয়।
আর মামনি একজন অপরাধীর পাশে দাড়াচ্ছে বোলে তাকে জীবন থেকে কেটে বাদ দেওয়া যায়।কি নিষ্টুরএরা

আজ এটা প্রমান হয়ে গেল যে রিতুরাজ এর উপর শিরিনের প্রভাব টাই পরেছে অনুজের নয়।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh