‘পৃথিবীর একমাত্র নায়িকা স্বামীকে ঘনিষ্ঠ হতে না দিয়ে প্রাক্তনকে রাত উপহার দিয়েও নিজেকে সতী সাবিত্রী দাবি করে’গুড্ডির প্রতি বীতশ্রদ্ধ দর্শক!
যে কোনো ধারাবাহিক দেখতে দেখতে দেখা যায় যে দর্শকরা নায়ক নায়িকা চরিত্রের প্রতি ভীষণ পরিমাণে ভাবাবেগ সম্পন্ন হয়ে উঠছেন আর সেই ধারাবাহিকের খলনায়ক বা ভিলেনদেরকে অভিশাপ দিচ্ছেন। এই কারণেই এমনটা হয় যে নায়ক-নায়িকার কষ্টের সাথে তারা কোন না কোন ভাবে নিজেদেরকে রিলেট করতে পারেন, কিন্তু স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডি এই সমস্ত কিছুর থেকে ব্যতিক্রম। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ মানুষ নায়ক-নায়িকার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আছেন আর তারা পার্শ্বনায়ক অথবা খলনায়িকার পক্ষে আছেন।
কারণ গুড্ডি আর অনুজের গল্পটি প্রথমদিকে মানুষ নীতিগতভাবে সমর্থন করলেও পরবর্তীকালে এই ধারাবাহিক এমন ভাবে পরকীয়াকে প্রেজেন্ট করা হয় যে মানুষ এই ধারাবাহিককে কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। প্রতিমুহূর্তে প্রত্যেকটা মানুষ দাম্পত্য জীবনে কিছু না কিছু মেনে এবং মানিয়ে নিয়ে চলেন সেখানে খুব ভালো স্ত্রী এবং বর পাওয়া সত্ত্বেও ও অনুজ আর গুড্ডি তাদের বর্তমান স্ত্রী আর স্বামীদেরকে মন থেকে মানতে না পেরে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন – এছাড়া বিয়ের পরেও অনুজ-গুড্ডির সাথে একটা অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করেছিল, সেটা শিরিনের জায়গায় দাঁড়িয়ে কোন মেয়ের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না, অন্যদিকে যুধাজিৎএর মত একজন ভালো মানুষকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার পরেও গুড্ডি অনুজ এর সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যুধাজিতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলায় সে আপত্তি জানিয়েছে, অন্যদিকে অনুজ শিরিনের সন্তান পুবলুকে নিজের কাছে নিয়ে রাখতে চেয়েছে- এই সকল বিষয় দেখতে দেখতে গুড্ডি ধারাবাহিকের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন দর্শক! তারা যেন বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন এই ধারাবাহিকের প্রতি।
যুধাজিৎ যখন বারংবার গুড্ডিকে বলেছে যে, এইভাবে অনুজ এর সাথে যোগাযোগ না রাখতে তখনও উঁচু গলায় কথা বলেছে গুড্ডি, নিজের স্বেচ্ছাচারিতাকে স্বাধীনতা বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা দর্শক মানতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন তাই লিখেছেন,“পৃথিবীর একমাত্র নায়িকা, যে এক স্বামীর ঘর করে তাকে ঘনিষ্ঠ হতে না দিয়ে পূর্বের স্বামীকে রাতের পর রাত উপহার দেয়। তাও সে দাবী করে সে সতী সাবিত্রী।”, আরেকজন লিখেছেন যে গুড্ডি ধারাবাহিকে গুড্ডি এবং অনুজের মতো নায়ক নায়িকা হয়ে কেউ এত পরিমাণে গাল খায় নি। কিন্তু গুড্ডিই ব্যতিক্রম।