বাংলা সিরিয়াল

‘বাড়ির কাজের লোকের এত ক্ষমতা! অতিথির সামনেই মালিককে অপমান করছে! এটা কোন যুগ পড়লো?কলিকাল কি শেষ হয়ে গেছে?’গুড্ডি অনুজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছে কাজের লোক পর্ব দেখে খিল্লি করছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’তে দেখা যাচ্ছে যে, প্রায় ১৮ বছর পরে হুবুহু অনুজ চ্যাটার্জীর মতো দেখতে একটি মানুষ চ্যাটার্জি বাড়িতে ফিরে এসেছে পুবলুর বৌভাতের দিন,এরপর ঋতাভরিকে দেখে তিনি বলেন যে, ঋতাভরির মতো দেখতে কাউকে তার মনে পড়ছে। ঋতাভরি আর ঋতুরাজ এরপর যখন অনুজ চ্যাটার্জির মতো হুবহু দেখতে মানুষটিকে গুড্ডির কাছে নিয়ে যায় তখন গুড্ডি যেন খরকুটোর মতো সেই মানুষটিকে আঁকড়ে ধরে এবং তাকে ধরে নতুন করে বাঁচতে চায়।

হুবহু অনুজের মতো দেখতে এই মানুষটার থেকে গুড্ডি অনুজের গায়ের গন্ধ পেতে শুরু করে তাই এই মানুষটিকে গুড্ডি নিজের ঘরে রাখতে চায়, এই মানুষটি আসলে অনুজ নয়, সে আসলে ভারত মাতার ক্ষতি করতে আসা একজন ছদ্মবেশী টেররিস্ট, যে একটা প্ল্যান কষে এখানে এসেছে এবং সেই কারণে সে গুড্ডির বাড়িতে এসে উঠেছে। কিন্তু গুড্ডি এই মানুষটিকে নিজের কাছে রাখার জন্য ঋতাভরি ঋতুরাজ এবং চ্যাটার্জী বাড়ির প্রত্যেকটি মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছে। গুড্ডির এইরকম আচরণকে তারা ব্যভিচার বলে গুড্ডিকে এইরকম আচরণ করতে মানা করছে কিন্তু গুড্ডি কারোর কোনো কথা শুনছে না, এমনকি নিজের পালিতা মেয়ে রেশমির কথাও শুনছে না।

কিন্তু দর্শক অবাক হয়ে যায় যখন রেশমির ঠিক করা কাজের লোক গুড্ডির অর্ডার মানতে নারাজ হয়। অতিথির জন্য তাকে রান্না করতে বলা হলে সে মুখের ওপর না বলে আর সেই কারণে গুড্ডি রান্না করতে যায়। দর্শক প্রশ্ন করছেন যে কলিকাল কি শেষ হয়ে গেছে যেখানে কাজের লোক বাড়ির মালিকের উপর কথা বলতে পারে?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“একজন বাড়ির কাজের লোকের এতটাই ক্ষমতা যে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তার সামনেই মালিক কে অপমান করছে۔ অতিথি কে শরবত দিতে বললে সে মুখের উপর না করে দিচ্ছে۔ তার জন্যে রান্না করতে বললে সে বলছে পারবো না۔ অতিথি নত হয়ে বলছে যে ঠিক আছে ম্যাডাম যা খাবে আমি ও সেটাই খেয়ে nebo

আমরা কোন যুগে বাস করছি
. . . এটা কোন যুগ পড়লো রে baba
কলিকাল কি শেষ হয়ে গেছে ???????????????????
. . . কেউ কি এই বিষয়ে কিছু janen

ঋতাভরী তার মাম্মাম এর জন্যে খুব ই চিন্তিত ۔তার শরীর নিয়ে তার অপারেশন নিয়ে খুব ই চিন্তায় আছে , কিন্তু এত বছর যার আদলে যার কোলে পিঠে বড়ো হয়ে উঠলো তার কাজের উপর এত টুকুনিও বিশ্বাস নেই যে মাম্মাম এমন কোনো অনৈতিক কাজ করতেই পারে না۔

গুড্ডি জীবনে একজন কেই স্বামী বলে মেনে ছিল আজ ও সেই লোকটিকে ই মনের মধ্যে নিয়েই বাঁচে۔۔ অনুজের চলে যাবার পর আরো বেশি করে অনুজের স্মৃতি কে বুকের মধ্যে আঁকড়ে বেঁচে আসছে۔ আর কারোর দিকে সে ফিরে তাকাই নি۔

কিন্তু এত দিন বাদে অনুজের মতন দেখতে একটি লোক এসেছে ۔জেক দেখে গুড্ডি হতবাক হয়ে গেছে۔ তবে সেই লোকটির কিছু মনে নেই বলে ওই লোক টি দাবি করছে۔۔

গুড্ডি তার স্মৃতি ফিরিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ۔তাই সেই চেষ্টা করতে গিয়ে গুড্ডি এই লোকটির মধ্যে অনুজের ই মিল খুঁজে পাচ্ছে۔খাওয়া দাওয়া,কিছু কথা যা বলছে তা সব ই অনুজের বলা কথা ই বলছে,এমন কি অনুজের গায়ের গন্ধটা ও অনুজের মতন ۔আর আয়ু কারণে গুড্ডি ওই লোকটির প্রতি খুব ই দুর্বল হয়ে পড়েছে যা ঋতাভরী মেনে নিতে পারছে না۔

মেনে না নিতে পারছে না বলে রিতা গুড্ডির সাথে এত বাজে এটি ঔদ্ধত্য পূর্ণ কথা বলছে যা সমীচীন নয় ۔

গুড্ডি যার কাছ থেকে সারা জীবন এত অপমানিত হয়েছে সেই পিনু বাবুর সর্ষে গলা মিলিয়ে গুড্ডির বিরুদ্ধে কথা বলছে যা রিতা র কাছ থেকে আসা করা যায় না۔ রিতা কে আরো সহনশীল হতে হতো ۔ মাম্মাম এর সম্মানের দিকে নজর করতে হতো۔একজন ডাক্তারি পাশ করা মেয়ের কাছ থেকে এই টুকু সহনশীলতা আমরা আশা করতেই পারি তাই না”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh