ভালোবেসেই অনুজরূপী টেররিস্টকে ধরিয়ে দিল গুড্ডি!আইনের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে যাতে তারা ঘর করতে পারে!মোড় ঘোরানো পর্ব গুড্ডিতে!
অবশেষে গুড্ডি ধারাবাহিকে একটি নতুন মোড় এলো, হুবুহু অনুজের মত চেহারা নিয়ে যে আগন্তুকটি এসেছিল সে যে আসলে অনুজ নয় আসলে টেরোরিস্ট,তা সবাই বুঝতে পারলেও বিন্দুমাত্র মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয় নি গুড্ডির, এমনটাই এতদিন ধরে দেখানো হচ্ছিল ধারাবাহিকে। গুড্ডি এই আগন্তুককে অনুজ বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলো এবং তার সাথে ঘর বাঁধবে বলে তাকে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলো, এই পুরো বিষয়টিতে প্রথম থেকেই বরাবর বিরোধিতা করে আসছিলো ঋতাভরি এবং ঋতুরাজ, তারা নিজেদের মতো পুলিশ স্টেশনে গিয়ে খোঁজ খবরও শুরু করে দেয়,এরপর পুলিশ থেকে তারা জানতে পারে যে,ওই আগন্তুক আসলে মারাত্মক একজন ক্রিমিনাল!- কিন্তু এত সব কিছুর পরেও গুড্ডির আচরণ ও আগন্তুকের প্রতি একদম নরম্যাল ছিলো এবং সে সবসময় ওই আগন্তুককে প্রটেক্ট করে যাচ্ছিলো, সবাই বলতে শুরু করেছিল যে প্রেমে অন্ধ হয়ে গেছে গুড্ডি, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে তার। কিন্তু না এই সবটাই আসলে তার প্ল্যান ছিলো, সে প্রথম থেকেই জানতো এই আগন্তুক আসলে একজন ক্রিমিনাল।
এরপর নিজের অসুস্থতার বাহানায় নিজে পায়ে হাঁটিয়ে অঙ্কুশ ভাটিয়াকে পুলিশের দরবার পর্যন্ত নিয়ে আসে গুড্ডি ও তাকে ধরিয়েও দেয় সে। সবাই তাকে বেইমান বলছে কিন্তু সত্যি কি সে বেইমান? তবে কেন সে বারবার বলছে যে সে যা করেছে তা ঐ আগন্তুকের ভালোর জন্য?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন যে “ আজ গুড্ডি যেভাবে এই আগন্তুককে ধরিয়ে দিল আমার মতে এটা আপাত দৃষ্টিতে গুড্ডিকে প্রতারক বলে মনে হলেও গুড্ডির এই লোকটির প্রতি ভালবাসা আছে তাই সে এই আগন্তুককে সম্পূর্ণ শুদ্ধ করে তবেই তার জীবনের সাথে জড়াবে। তাই বারবার বলছে, যে “আমি যা করছি আপনার ভালোর জন্যই করছি। আমাক মিস আন্ডারস্ট্যান্ড করবেন না।”
অনুজ যেমন গুড্ডিকে বাঁচাতে গিয়ে রণ কৌশল করতে গিয়ে ওকে বিয়ে করেছিল আজ গুড্ডিও তাই একে বাঁচাতে গিয়ে ভালোবাসাকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করলো, তবে এর মধ্যে গুড্ডির ভালোবাসার সত্যতা যথেষ্ট ভাবে জড়িয়ে আছে। আজ আগন্তুক গুড্ডি কে ভুল বুঝলেও একদিন সে নিশ্চয়ই ঠিক চিনতে পারবে গুড্ডি জানত এই আগন্তুকের এখন লাইফ রিস্ক আছে সাথে গুড্ডিরও আছে তাই একে আইনের বেড়াজালে আটকে আসল গ্যাংটাকে ধরবার চেষ্টা করবে। আমি চাই গুড্ডি নিজের কাজে সফলতা পাক আর এর সাথে তার ভালোবাসার লোকটিকেও ফিরে পাক.”
