বাংলা সিরিয়াল

‘আলতা ফড়িং এর মত পোখরাজ সাইড হয়ে গিয়ে নায়ক হয়ে গেল ডক্টর গুহ! মোহদ্বীপ ফ্যানসরা হাতে চাঁদ পেলেও রাধিরাজ ফ্যানসদের মুখ ভার!’কী রয়েছে এক্কাদোক্কার প্রোমো তে?

‘এক্কাদোক্কার প্রোমো দেখে মোহদ্বীপ ফ্যানসরা হাতে চাঁদ পেলো কিন্তু রাধিরাজ ফ্যানসদের মুখ ভার!’এক্কাদোক্কার নতুন প্রোমো নিয়ে ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’। এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা রীতিমতো তুঙ্গে। এই ধারাবাহিকে নায়ক নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন সোনামণি সাহা ও সপ্তর্ষি মৌলিক। রাধিকা ও‌ পোখরাজের জুটিটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়ে ছিল। তাদের বিয়ে, বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে রাধিকার কোণঠাসা হয়ে যাওয়া, রাধিকাকে সকল অবস্থায় পোখরাজের সাহায্য করা ইত্যাদি দেখে দর্শকরা বলতে শুরু করেছিলেন আদর্শ হাজবেন্ড ম্যাটেরিয়াল ছেলে হলো‌‌ পোখরাজ। মাঝখানে রাধিকার তার বাপির জন্য লড়াই করার সময় পর্ব থেকে পোখরাজ আর রাধিকার মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলেও দর্শকরা শিওর ছিলেন যে এই জুটির মধ্যে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি ক্রমশ মিটে যাবে। কিন্তু সম্প্রতি কালের প্রোমো সেই আশায় জল ঢেলে দিল।

এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকে জনপ্রিয় অভিনেতা প্রতীক সেনের এন্ট্রি নেওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে একটা আলাদা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো, দর্শকদের মধ্যে এক অংশের মানুষ মোহর খ্যাত জনপ্রিয় জুটিকে আবার ডক্টর গুহ আর রাধিকার মাধ্যমে ফেরত পেয়ে নতুন করে আশায় দিন গুণছিলেন, সেই আশায় আরো বেশি দ্বিগুণ হয়ে দেখা যায় যখন কভার ফটো চেঞ্জ হয় এবং সেখানে প্রতীক সেনকে জায়গা দেওয়া হয় রাধিকার পাশে। কিন্তু তারপরও এক অংশের মানুষ বলছিলেন যে প্রতীক সাইড নায়ক, সম্প্রতি যে প্রোমোটি দেওয়া হয়েছে সেই প্রোমো দেখার পরে দর্শকরা বুঝতে পারছেন যে আসলে আস্তে আস্তে পোখরাজকে সাইড করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রোমোটি জুড়ে শুধু দুজনের উপস্থিতি রাধিকা আর ডক্টর গুহ।

রাধিকা কিছু পেশেন্টদের নিয়ে একটি নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে সেই নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্যে ডক্টর গুহ যখন নিজের রোগীকে দেখতে পায় তখন সেই রাধিকার উপর রেগে যায় এরপর রাধিকার সঙ্গে ডক্টর গুহর বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। এই পর্যায়ে ডক্টর গুহর হাতের থেকে ফুল পড়ে যায় রাধিকার মাথায়। যা দেখে সবাই বলছেন যে, এইবার রাধিকার সাথে ডক্টর গুহর মিল হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,
“এক্কাদোক্কার নতুন প্রোমো দেখে সোনাতিক/মোহদ্বীপ ফ্যানসরা‌ হাতে চাঁদ পেয়ে গেছে ভীষন খুশি খুব ভালো কথা। ভাগ্য দেবতা তথা লেখিকা তাদের সহায় আছেন সব ভালো হচ্ছে তাও ভালো কথা কিন্তু এই সময়েও আনন্দ না করে পোখরাজ স্বামী হিসাবে কতোটা অযোগ্য তা প্রমান করতে গোরুর রচনা লিখতে হবে???? তাও আবার আজাইরা???? কোন লজ্জায় শঙ্খের সাথে পোখরাজের তুলনা করেন?? একটুও বোধ নেই?মোহর ফ্যানসরা একটা ফিকশনাল শো তে নারীর আত্ম সন্মানের জন্য বড়ো বড়ো বুলি আওড়াতে থাকেন??? কি হয়েছিল আপনাদের সিরিয়ালে মনে নেই? তখন এই নারীর সন্মানের ব্যাখা গুলো মাঠে গোরু চড়াতে গেছিল???

আপনাদের প্রিয় জুটি ব্যাক করেছে তাই যেন তেন প্রকারেন পোখরাজ স্বামী হিসাবে কতোটা অযোগ্য প্রমান করার জন্য ২০ নম্বরের essay লিখতে হচ্ছে ।।।। তা পোখরাজ তো ভীষন খারাপ তো

আপনার প্রিয় জুটির মধ্যেও তো শুনেছি এমন অশান্তি ভুলবোঝাবুঝি হয়েছিল তাতে শঙ্খ মোহর কে অন্য এক পুরুষের সাথে এক ঘরে অবচেতন অবস্থায় থাকা নিয়ে সন্দেহ করেছিল তারপর মোহর রাস্তায় পায়ে পড়তে অবধি বাকি রাখেনি রাস্তার মাঝে ও। তাও শঙ্খ তাকে পা দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেছিল। এই কারনে মোহর আত্মহত্যা অবধি করতে গেছিল। এটা তো অনেক বড়ো অন্যায় আই গেস মিথ্যে সন্দেহ করার থেকেও অনেক বড়ো অন্যায় কাউকে indirectly ba directly মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। শাস্তি যোগ্য অপরাধ!!!!!

এছাড়াও আরও নানান ছোটো বড়ো ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে মোহর শঙ্খের মধ্যে পুরো সিরিয়াল টা জুড়েই। তখন হয় শঙ্খ নয় মোহর কেউ না কেউ ভুল করেইছে‌ অবিশ্বাস অপমান ও করেছে একে অপরকে।

শঙ্খ তো রাগ করে একটা বিয়ে থাকা সত্ত্বেও আর একটা বিয়ে করতে চলে গেছিল। এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্স!!!!

পোখরাজ তো খুব খারাপ তাই —

১. শঙ্খর মতোন পোখরাজ রাধিকা কে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেনি। এটা একটা দন্ডনীয় অপরাধ।
২. শঙ্খর মতোন পোখরাজ রাধিকা কে রাস্তায় লাথি মেরে দিয়ে সরিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়নি।
৩. শঙ্খর মতোন পোখরাজ একটা বিয়ে থাকা সত্ত্বেও শুধু মাত্র রাগ করে অন্য মেয়ে কে বিয়ে করতে চলে যায়নি।

পোখরাজ কি কি ভালো করেছে তা আমি আর লিখলাম না যা করেছে ভালোবাসার মানুষের জন্য করেছে তাই নিয়ে বরাই করার কিছু নেই। কিন্তু আপনারা তো ওর খারাপ টা নিয়েই পড়ে থাকেন তাই আপনাদের কথা মতোন ই মেনে নিলাম

পোখরাজ‌ সন্দেহ করেছে বলে, অবিশ্বাস করেছে বলে, ঠক যোচ্চর প্রচারক বলেছে বলে আর ও নানান খারাপ কথা বলেছে বলে ও স্বামী হিসাবে অযোগ্য মেনে নিলাম।‌

ডিভোর্স হয়ে গেছে নারীর সন্মান সবার আগে আর ফিরে যাওয়া উচিত না সব মেনে নিলাম তা আপনাদের এই নারীবাদী যুক্তি গুলো নিজের প্রিয় জুটির বেলা তে হাল্কা করে পতঞ্জলির বিষ খেয়ে টপকে গেছিল বুঝি????

এখন আপনাদের খুব মেয়েদের সন্মানের কথা মনে আসছে যেহেতু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি তার সাথে জড়িত তাই
তা তখন বিচার টা এক ই ছিল তো???? আই গেস না!সেই কারনেই আপনারা এখনও মোহদ্বীপ/সোনাতিকের ফ্যান তাদের নিয়ে মাতামাতি করেন।

কারন তখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ভালোবাসা জিতে গেছে আর দুজন ভালোবাসার মানুষ তাদের দোষ ত্রুটি মেনে নিয়েই একে অপরকে মানিয়ে নিয়েছে গ্ৰহন করেছে ক্ষমা করেছে বারবার। আমিও তাই বলবো। NOTHING AGAINST MOHOR SANKHA. ওরা একে অপরকে প্রবল ভাবে ভালোবাসতো তাই সব অন্যায় অপমান অভিমান ভালোবাসার মলমেই মিটে গেছে‌। তুলনা করতে শুরু করলেন তাই আমাকেও টানতে হলো।

শুধু একটাই কথা বলবো বাইরে থেকে একটা তৃতীয় ব্যাক্তির পক্ষে কোনো ঘটনাকে অনেকটাই জাজ করা যায় কিন্তু দুজন মানুষের মধ্যে যখন প্রবল ভালোবাসা থাকে একটা ট্রান্স কাজ করে তার ফলে অনেক বড়ো অন্যায় ও অনেক সময় অচিরেই ক্ষমা করে দেওয়া যায় আর অনেক ছোটো আঘাত ও কষ্ট দায়ক হয়। ভালোবাসলে ক্ষমা করা যায়। ভালোবাসা থাকলেই ক্ষমা করা যায় নচেত না।

রাধিকা পোখরাজের মিল হবে কি হবেনা সেটা লেখিকা নিজেই জানেন কিন্তু তাই বলে একান্ত অনুরোধ প্রিয় জুটির মিল চাই বলে এমন ব্যাখা দেবেন না যা আপনি নিজেও সবসময় apply করেন নি বা করতে পারবেন না। খুব হাস্যকর লাগে ! এইগুলো করে নিজেদের হিপোক্রিট আর নাই বা প্রমান করলেন।

পোখরাজ তো খুব খারাপ। ও তো কোথাও সিনেও নেই কাউকে বিরক্ত ও করছে না তাই ওকে এবার মুক্তি দিন। নিজেরা খুশি থাকুন অন্য কেও শান্তি দিন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“সিরিয়ালে নতুন নায়কের এন্ট্রি হতে না হতেই নায়ক-নায়িকার সর্টনেম তৈরী করে ফেলা গ্রুপ বাসি গন,কিন্তু যে যায় বলুক #রাধিরাজ নামটাই আমার কাছে বেস্ট লেগেছে,লেখিকা কি করবেন জানি না তবে যতই হিট জুটি হোক না কে #আলতা ফড়িং এর মতো যেন না করে,কারন #রাধিরাজ ও এই কদিনে অনেকের মনে জায়গা করে নিছে,
#এক্কাদোক্কা”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh