দেশের মাটিতে পা রাখলেন অনামিকা, কিন্তু ১২ বছর ধরে অতীতের এক ঘটনা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বিক্রমকে, কি কি অপেক্ষা করছেন অনামিকার জীবনে! রহস্যে রোমাঞ্চে ভরা ‘লালকুঠি’-র নতুন প্রোমো সামনে এলো
দেশের মাটি’ নামের ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকের খুব কাছের হয়ে উঠেছিল রাজা এবং মাম্পির জুটি । দর্শক তাদের জুটির নামকরণ করেছিল ‘রাম্পি’। সেই দর্শকের কাছে ফের দুটিতে জুটিতে হাজির হয়েছেন ‘লালকুঠি’তে নামক ধারাবাহিকে।খবরটা জানা মাত্রই আগ্রহের পারদ ঊর্ধ্বগামী ছিল অনুরাগীদের মধ্যে। শাশুড়ি বৌমার, চিরাচরিত দ্বন্দ্ব, রেষারেষি থেকে বেরিয়ে একেবারে রহস্য রোমাঞ্চ ভরপুর এক গল্প যে আসতে চলেছিল সেই কথা দর্শক বুঝেছিল ধারাবাহিকের প্রোমো দেখেই। প্রথম প্রোমোতেই মনে হয়েছিল কিছুটা ভৌতিক ব্যাপার তবে লালকুঠির কোনায় কোনায় লুকিয়ে ছিল রহস্য। দর্শকরা বেশ নেশা পেয়েছিলেন এই প্রোমো দেখে।
গল্পটা ছিল অনামিকা এক বিজনেস টাইকুনের মেয়ে । সে বিদেশ থেকে জুয়েলারি ডিজাইনের উপর কোর্স করে ফিরেছে । তবে এবার গল্পের এক নতুন মোড় যে আসতে চলেছে সেকথা জানা গিয়েছে গল্পের নতুন প্রোমো দেখে। যেখানে দেখা গিয়েছে অনামিকা দীর্ঘদিন পর দেশের মাটিতে পা রেখেছে। আর সে দেশের মাটিতে নেমেই প্রথমে মা এর সাথে কথা বলে নিচ্ছে। মা কে জানায় সে দীর্ঘদিন পরে নিজের মাটিতে পা রেখে তার খুব আনন্দ হচ্ছে। অন্যদিকে অনামিকার মা মেয়ের জন্য যে বেশ চিন্তিত হচ্ছেন এতদিন পর ফেরার জন্য সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে অনামিকা বেশ খুশির মুডেই রয়েছে দেশে ফিরে।
মায়ের সাথে কথা বলার পর্ব শেষ করেই গাড়ির ড্রাইভার ঝন্টু দা কে দেখে একেবারে আনন্দে চিৎকার করে ওঠে অনামিকা। তারপরেই আনন্দে তার থেকে বাড়ির সবার খোঁজ নিতে নিতে গাড়িতে উঠে বসার পরেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। গাড়ির বাইরে কেউ একজন যেনো অদ্ভুত ভাবে অনামিকা কে ফলো করার মতো করে তাকিয়ে দেখছে। যা দেখে সে একটু অস্বস্তিতে পড়ে। তারপর গাড়িতে যেতে যেতে রাস্তার মাঝে একটি মন্দিরের সামনে দাঁড়াতে বলে গাড়ির ড্রাইভার কে।
সেখানে নামতেই আবার সেই অদ্ভুত লোক টাকে এক পলক দেখতে পায় । যা দেখে সে কিছুটা হতচকিত হয়ে যায়। অন্যদিকে রাহুল অর্থাৎ পর্দায় বিক্রম লালকুঠি র সামনে বসে দীর্ঘ ১২ বছরের তাঁর কোনো স্মৃতির কথা হাতড়ে চলেছে এই দৃশ্য দেখানো হয়। ঠিক সেই সময় অনামিকা গিয়ে হাজির হয় বিক্রমের সামনে। এই প্রোমো দেখার পর দর্শকরা ইতিমধ্যেই ঠাওর করে ফেলেছেন ধারাবাহিক এবার জমজমাট হতে চলেছে। তবে তা দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে ধারাবাহিকে।
