বাংলা সিরিয়াল

এক বাবার জন্য লড়াই করতে বিয়ে কি এবার নিজের বাবার মুখোমুখি দাঁড়াবে ঝোড়া!মহার্ঘ্যর বাবার সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার করতে তবে রাজনীতিতে বাবার মুখোমুখি হবে সে!

দর্শকদের চাহিদার জন্যই ছোট পর্দায় আবার ফিরে এসেছে সৌজন্য গুনগুন জুটি। দর্শকরা তাদের ভালবেসে সৌগুণ বলে ডাকেন। এর আগে খড়কুটো ধারাবাহিকে কৌশিক এবং তৃনা ব্যাপক ভালোবাসা পেয়েছিলেন। তাই আবার তাদের পর্দায় ফেরানোর কথা ভেবেছেন ধারাবাহিক নির্মাতারা। আর গল্পের লেখিকা সেই লীনা গাঙ্গুলী। তবে এবারের গল্পের প্রেক্ষাপট কিছুটা আলাদা। শুরু হয় ত্রিকোন প্রেমের গল্প দিয়ে।

ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী সমুদ্র সেন নামে এক বড় পলিটিশিয়ানের মেয়ে ঝোড়া। যে মনেপ্রাণে ভালোবাসে স্রোতকে। আর তাকেই বিয়ে করতে চায়। কিন্তু সমুদ্র সেন নিজের রাজত্ব বজায় রাখতে তার ডান হাত মহার্ঘ্যর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেয়। সবার সামনে এই ঘোষণা করে দিলে স্রোত একদিকে যেমন রেগে যায়। তেমনি মহার্ঘকে ভুল বুঝতে শুরু করে ঝোড়া। সে ভাবতে থাকে তার বাবার রাজত্ব পাওয়ার লোভে এমন পরিকল্পনা করেছে সে।

হাজার চেষ্টার পরেও ঝোড়া এবং স্রোত এক হতে পারে না। মহার্ঘ্যর সঙ্গেই তার বিয়ে হয়। এখন তাদের নতুন সংসার শুরু হয়েছে। বিয়ের প্রথম রাতে দেখতে পাওয়া যায় তাদের মিষ্টি প্রেমালাপ। কিছুটা ভয় মহার্ঘকে জড়িয়ে ধরেছিল ঝোড়া। উল্টোদিকে তার মনে নতুন করে জুড়ে এসেছে এক ভয়। যার নাম কমলিকা। কমলিকা এবং মহার্ঘ্যর কোন একটা সম্পর্ক হয়তো ছিল কিন্তু সেটা ঝোড়ার জানা ছিল না। তাই ধীরে ধীরে মহার্ঘ্যর জন্য একটু করে দুর্বল হয়ে পড়ছে সে আর তাকে হারাবার ভয় পাচ্ছে। উল্টো দিকে স্রোত যখন মহার্ঘকে অপমান করেছিল তখন তার কথায় যথেষ্ট খারাপ লেগেছিল ঝোড়ার।

ধীরে ধীরে মহার্ঘর মতই তার পরিবারকে আপন করে নিচ্ছে সে। এমনকি প্রতিটা মানুষের সঙ্গে আস্তে আস্তে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে ঝোড়া। তার বাবার সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিকার করতে সরব হয়েছে সে। আর নিজের শ্বশুর মশাই কে ন্যায় দিতে এবার বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়াতে পারে এমনটাই আশা করছেন অনেকে। এই ঘটনায় বেশ সন্তুষ্ট দর্শক মহল। ধারাবাহিকের সংসারের সঙ্গে রাজনীতির এই মেলবন্ধন দেখার জন্য মুখে রয়েছেন বালিঝড় ধারাবাহিক ভক্তরা।

সেই নিয়ে এক মন্তব্য লিখেছেন এক নেটিজেন,’রাজনীতি আর সমাজ সেবার মধ্যে যে পার্থক্যটা আছে সেই সীমারেখাটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা আজ। ঝোরা আর মহার্ঘ্যর বাবার সম্পর্কটা খুব মন ছুঁয়ে যাচ্ছে। শ্বশুর বউমা না, এযেন বাবা মেয়েরই সম্পর্ক স্নেহ, ভালোবাসা সবটা মিলে মিশে আছে ঝোরার নিজের বাবার সাথে একটা দূরত্ব বরাবরই দেখিয়েছে কিন্তু শেষে বাবার ভালোবাসা পেল তার শ্বশুরের কাছ থেকে আস্তে আস্তে অতীতের সত্যি গুলো প্রকাশ পাচ্ছে হয়তো এই ঝোরাই মহার্ঘ্যর বাবার সাথে হওয়া অন্যায় এর প্রতিকার করতে সমুদ্র সেনের বিরুদ্ধে পলিটিক্সে আসবে। গল্পটা জমজমাট মোড় নিচ্ছে এবার’।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh