বাংলা সিরিয়াল

‘স্রোতকে ফুলশয্যার কথাটা না বললেই পারতো ঝোরা’! না মহার্ঘ্য না স্রোত কাউকেই শান্তি দিচ্ছে না ঝোরা! দুজনের জন্যই খারাপ লাগছে দর্শকদের, বালিঝড়ের নায়িকা যেন ভিলেন হয়ে উঠছে দর্শকদের মনে

দেখতে দেখতে বেশ কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেল হয়ে গেল স্টার জলসা পর্দায় শুরু হয়েছে ধারাবাহিক বালিঝড়। যে ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন তৃনা সাহা, কৌশিক রায় এবং ইন্দ্রাশিষ রায়। ধারাবাহিক শুরুর থেকেই বোঝা গিয়েছিল এক ত্রিকোণ প্রেমের গল্প আসতে চলেছে। গল্পের মুখ্য হতে রয়েছেন তৃনা এবং ইন্দ্রাশিষ। তাদের মাঝে থাকবে কৌশিক।

প্রথম দিকে অনেকেই ভেবেছিলেন কৌশিকের চরিত্র হয়তো ধূসর। তবে যত দিন যাচ্ছে কৌশিক তথা মহার্ঘ্যই দর্শকদের পছন্দের তালিকায় উঠে আসছে। কিছু সংখ্যক দর্শক শুরুতেই চেয়েছিলেন তাদের সৌগুন জুটি যেন আবার ফিরে আসে। স্রোতকে নায়ক না করে যেন মহার্ঘ্য এবং ঝোরাই মুখ্য হয়ে ওঠে। দর্শকদের কথা কিছুটা ভেবে আপাতত ধারাবাহিক তেমনভাবেই এগিয়ে চলেছে।

ঝোরার বাবা যিনি বিখ্যাত পলিটিশিয়ান সমুদ্র সেন। তিনি কিছুটা বলপূর্বক বিয়ে দিয়েছেন মহার্ঘ্যর সঙ্গে নিজের মেয়ের। এমনকি ঝোরা নিজের বিয়ের দিন স্রোতের কাছে পালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত মহার্ঘ্যর সঙ্গেই মালামোদল হয় তার। আর এতে স্রোত ভীষণভাবে কষ্ট পেলেও চুপ থেকেছে। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে স্রোত এবং ঝোরা দুজনেরই এক বন্ধুর জন্মদিনে হাজির হয়েছে তারা। সেখানে ঝোরার সঙ্গে হাজির হয়েছে মহার্ঘ্য। মহার্ঘ্যকে দেখামাত্র তার সঙ্গে বছর জড়িয়েছে স্রোত। আর এর পেছনে কিছুটা হলেও দায় ঝোরা এমনটাই মনে করছেন দর্শক। আর এই জন্য ঝোরার উপর রেগেও যাচ্ছেন দর্শক।

সম্প্রতি এক ভক্ত সেই নিয়ে লিখেছেন,’স্রোতকে ফুলশয্যার কথাটা না বললেই পারতো ।স্রোতের জন্য সত্যি এবার খারাপ লাগছে।সে ঝোরার বিয়ের Announcement হওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ করেনি ।পলির জন্য ঝোরা ছুটে গেল আবার বিয়ে টা না করেই ফিরে এসে আবার যোগাযোগ করে।আবার এসে মহার্ঘ্যকে নিয়ে আসে, তার সাথে ফুলশয্যার কথাটা বলে ।আরে কত সহ্য করবে??? যতবার স্রোত সরে যাচ্ছে তত ঝোরা এগিয়ে আসছে ।কিন্তু অটল থাকতে পারছে না ।স্রোতের এই রাগ করাটা, ভুল বোঝাটা খুব স্বাভাবিকও।
স্রোত তার পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যেভাবে এখানে এলো আর আসার পর থেকে যা যা দেখে যাচ্ছে তাতে react করাটা স্বাভাবিক ।
স্রোতের চোখে মহার্ঘ্য দোষী। মহার্ঘ্যর জন্য স্রোত ঝোরাকে পায়নি । তাকে কথা শোনাবে এটাই স্বাভাবিক।
আর এখন তার প্রেমিকার মুখ থেকে তার ফুলশয্যার কথা শুনলে কার মাথা ঠিক থাকে।
স্রোত বারবারই সরে যেতে চেয়েছিল কিন্তু ঝোরা ছুটে ছুটে এসেছে।ঝোরা বারবার ফোন করে করে কথা বলে আর এখানে আসার আগে অবধি স্রোতকে মিথ্যে কথা বললো যে একা আসবে তারপর মহার্ঘ্যর ওপর রাগ, অবিশ্বাস তো হবেই ।
ঝোরা স্রোতকে ভালোবাসে জেনেও মহার্ঘ্য কেন ঝোরাকে বিয়ে করলো এটা সত্যিই সন্দেহের কারণ ।
এখানে সবাই যে যার জায়গায় ঠিক ।
স্রোতের অর্থনৈতিক দিক থেকে আর একটু শক্তিশালী দেখালে আরো প্রতিবাদী হতো চরিত্রটা।
স্রোত না ডাকলে ঝোরা আর নিজের থেকে যোগাযোগ করবে না। এদের সম্পর্কটা কোন দিকে যায় সেটাই দেখার
জমে উঠেছে এবার ‘।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh