বাংলা সিরিয়াল

ডিভোর্সের বদলে বৃষ্টিতে রোম্যান্স সোহাগ-চাঁদের! প্লাস সাইজ নায়িকার আবেদনময়ী লুক দেখে ভিরমি খাবেন রবিনাও

বাংলা টেলিভিশনের যথেষ্ট পুরনো ধারাবাহিক হলো “সোহাগ চাঁদ”। টিআরপির অভাবে বহু ধারাবাহিক যেখানে বন্ধ হওয়ার পথে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে “সোহাগ চাঁদ” ধারাবাহিক এক বছর পূর্ণ করল কালার্স বাংলায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বিয়েটা হয়ে যাওয়ার কারণে দাম্পত্য জীবনে টালমাটাল অবস্থা সোহাগ আর চাঁদের। তারা যে কেন একে অপরকে ডিভোর্স দিতে চাইছে, সেটাই উকিলকে বুঝিয়ে উঠতে পারছে না সোহাগ আর চাঁদ।

আরও পড়ুন : প্রতি মাসে ‘দি বং গাই’-এর রোজগারের যাবতীয় অর্থ কোথায় যায় জানেন ?

বারবার ধরে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে সোহাগ আর চাঁদের। কারণ তাদের ডিভোর্সের কোন সঠিক কারণ নেই। এরই মাঝে নতুন টুইস্ট গল্পে। বউকে প্রথমবার চুমু খেলো চাঁদ। বউ সোহাগের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্তের চাঁদ। যা দেখে অবাক হবেন যে কেউ। প্রথমে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল কিস’, আর তারপর থেকেই যেনো স্বপ্নে বিভোর চাঁদ।

‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানে সোহাগের সঙ্গে রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাচ্ছে চাঁদ। সেই দৃশ্য যে টিভির পর্দায় বড় চমক সৃষ্টি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তারই কিছু এক্সক্লুসিভ ঝলক এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এলো। সোহাগ চাঁদ ধারাবাহিকের লিডিং রোলে রয়েছেন অন্বেষা চক্রবর্তী এবং অভিষেক বীর শর্মা। এবার বৃষ্টিতে ভিজে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটাবেন দুজনে।

আরও পড়ুন : প্রতারিত হয়েছেন অঙ্কুশ! কী লিখলেন সামাজিক মাধ্যমে?

অন্বেষা চক্রবর্তী নিজে রবিনার বড় ভক্ত। তিনি বলেন, “আমি তো দারুণ খুশি, যে আমি রবিনা ট্যান্ডনের আইকনিক ডান্স নম্বরটা পর্দায় রিক্রিয়েট করতে পেরেছি। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া, আমরা সাধারণ স্ক্রিনে যাদের আইটেম নম্বর করতে দেখি তাদের একটা মার্জিত চেহারার অধিকারী, সে জায়গায় একজন প্লাস সাইজ অভিনেত্রী আইটেম নম্বর করছে! বড় পদক্ষেপ ছিল”।

রোমান্টিক দৃশ্য তাই ফুটিয়ে তুলতে অনেক খাটতে হয় অভিনীত অভিনেত্রীদের। অন্বেষা এই প্রসঙ্গে জানান, “এই গানের শ্যুটে অনেক সেনচুয়াস মুভভেমন্ট ছিল, বোল্ড সিন ছিল যা আমি আগে কখনও করিনি। শাড়ির আঁচল খোলার একটা দৃশ্য শ্যুট করেছি। সেগুলো করতে গিয়ে অনেক কাণ্ড ঘটেছে।

অনেকবার আঁচল পুরো মুখের উপর চলে এসেছে উড়ে। বৃষ্টির সিকুয়েন্স ছিল, আমি আর আমার হিরো দুজনেই ঠাণ্ডায় কাঁপছিলাম। আরেকটা দৃশ্যে আমি খাটিয়ার উপর শুয়ে ছিলাম। কাট হওয়ার পর কিছু টেকনিক্যাল কারণে শট আটকে ছিল, ওদিকে বৃষ্টি পড়েই চলেছে আমার মুখে। অভিষেক হাত দিয়ে সেটা আটকাচ্ছিল”।

অন্বেষা আর অভিষেকের রোমান্টিক মুহূর্তের দৃশ্য নিয়ে পরিবারের কি মতামত? অন্বেষা বলেন, “আমি অনেকদিন আগেই বাবা-মা’কে হারিয়েছি। পরিবার বলতে, আমার স্বামী (সন্দীপন চক্রবর্তী)।

আজ আমি যেখানে রয়েছি সেটা শুধুমাত্র ওর সাপোর্টে। পর্দায় আমরা যখন অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখি অনেককিছু ভাবি, কিন্তু অভিনয়ের সময় পুরোটা টেকনিক্যালি করা হয়। কতটা জড়িয়ে ধরব, কোথায় হাতটা যাবে, কীভাবে ধরব সবটাই রিহার্সাল করা। সেটা টেকনিক্যাল প্রসেস”।

সহ অভিনেতা অভিষেকের সঙ্গে রসায়ন প্রসঙ্গে অন্বেষা জানিয়েছেন, “আমরা খুব হাসি-মজা করে কাজটা করি। আমাদের বন্ডিংটা খুব স্ট্রং। সেই কারণেই কেমিস্ট্রিটা খুব মজবুত। আমি তো মজা করে ওকে বলি, তোর সঙ্গে আমি যতটা ইনটিমেট, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে নই”।

একটু হেসে তিনি বলেন, “আমাদের তো প্রেমের সম্পর্ক নেই। স্ক্রিনে প্রেমটা তৈরি করি আমরা, সেটা একটা জাদু। অভিষেক আমাকে সেই কমফর্টটা দেয় বলেই আমার পক্ষে পসিবেল হয়েছে”।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh