৮০-র ওপর বয়স তবু চকাচক গানে নেচে ঝড় তুললেন অনামিকা সাহা!‘এই বয়সেও তার এই নাচ দেখে বোঝা যায় অভিনয়কে তিনি কতটা ভালবাসেন’বললেন নেটিজেনরা!
টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা একাধিক ছবিতে দাপটের সাথে মা, কাকিমার রোলে অভিনয় করেছেন, একসময় তিনি খল নায়িকার চরিত্রেও অভিনয় করতে শুরু করেন। তার অভিনীত বিন্দু মাসি চরিত্র তো ভীষণ রকম জনপ্রিয়। নব্বই দশক থেকে শুরু করে তার পরবর্তী সময়ে সেরা খলনায়িকা বলতে একমাত্র তার নামই যেন মাথায় আসতো। অনেকেই হয়তো জানেন না যে অভিনেত্রীর আসল নাম ঊষা সাহা। বহু বছরের পর জি বাংলা লালকুটি ধারাবাহিকের সুবাদে তাকে আবার আমরা পর্দায় দেখতে পাচ্ছি।
আশার আলো ছবিতে তিনি প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন যখন তখন সেই ছবির সহকারী পরিচালক তাকে বলে দিয়েছিলেন যে অচেনা জায়গায় নিজের আইডেন্টিটি অচেনা কারোর কাছে না বলতে। এরপর তাকে স্টুডিও পাড়ায় একজন ভদ্রলোক যখন নাম জিজ্ঞেস করে তখন তিনি কোনোভাবেই নিজের নাম বলছিলেন না। বিরক্ত হয়ে সেই ভদ্রলোক তখন বলেন “তুমি কি অনামিকা?” তখন অভিনেত্রী বলেন,“হ্যাঁ আমি অনামিকা।” এরপর থেকে উষা সাহা হয়ে ওঠেন অনামিকা। বিয়ের পরে শ্বশুর মশায় তাকে বলেই দিয়েছিলেন যে,এমন কোন চরিত্রে যেন তিনি অভিনয় করেন, যা তাদের দেখতে অসুবিধা হয়।
ছবির নায়িকা হলে অনেক সময় অনেক রোমান্টিক দৃশ্য থাকে, তাই তিনি মা কাকিমার রোলে অভিনয় করবার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের শরীরের মেদ বাড়িয়ে নেন, নিজের চেহারাকে স্থূলকায় করে গড়ে তোলেন। শ্বশুর মশায়ের অনুমতিতে আকাশবাণীতে রেডিও নাটক করে তিনি প্রবল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তার কণ্ঠস্বর অসাধারণ সুন্দর ছিল। এছাড়া বোম্বেতে যত নায়িকা টলিউডের বাংলা সিনেমা করতো, সে জুহি চাওলা থেকে শুরু করে নীলম হোক সকলের গলার ডাবিং অনামিকা করতেন।
এখানে ক্লিক করে ভিডিও টি দেখুন
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বহু বছর অভিনয় জগৎ থেকে যেন এক প্রকার উধাও হয়ে গিয়েছিলেন, বড় পর্দায় তাকে সেভাবে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি জি বাংলায় লালকুঠি ধারাবাহিকে বিক্রমের ঠাম্মির চরিত্রে তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল ছিল বিক্রম ও অনামিকার মেহেন্দির অনুষ্ঠান, যেখানে সবাই নাচ-গান করছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা নাচ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন। ‘হাই চকাচক হে তু, হাই চকাচক হুঁ মে’ গানে নাচ করেন তিনি। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে তাকে নাচতে দেখে সকলে অবাক হয়ে যান এবং তার সাথে এটাও বোঝা যায় যে এখনো অভিনয়কে তিনি কতটা প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন।