বাংলা সিরিয়াল

ভালো গান গেয়েও শুধুমাত্র রাজনীতি শিকার হয়ে পিছিয়ে গিয়েছেন কাবো, সারেগামাপার মঞ্চের সেই ভয়াবহ বিতর্কের অংশ সংগীতশিল্পী, কেমন ছিল অভিজ্ঞতা প্রথমবার মুখ খুললেন কাবো

সদ্য শেষ হয়েছে চলতি বছরের জি বাংলার(Zee Bangla) সারেগামাপা(Saregamapa) এর সিজিন। এই গানের রিয়ালিটি শো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনার পারদ ছিল গত ৮ মাস ধরে। রবিবার সন্ধ্যায় যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের বিজয়ী হয়েছেন পদ্মপলাশ হালদার এবং অস্মিতা কর। তারপর থেকেই একের পর বিতর্ক চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

কারোর কারোর মতে এবারে সারেগামাপায় যোগ্য বিচার হয়নি। পদ্ম পলাশের থেকে অনেক ভালো শিল্পী অ্যালবার্ট কাবো লেপচা(Albert Kabo Lepcha)। দর্শকদের বিচারেও তিনিই সেরা হয়েছেন। কিন্তু হাজারো বিতর্কের মাঝে যে শিল্পীকে নিয়ে এত সমালোচনা তিনি এতদিন চুপ ছিলেন। সম্প্রতি মুখ খুলেছেন হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা প্রতিবেদনে। একান্ত সাক্ষাৎকারে ধরা দিয়েছেন অ্যালবার্ট কাবো।

প্রথম প্রশ্ন রাখা হয় তার দীর্ঘ আট মাসের সফর নিয়ে। অ্যালবার্ট জানিয়েছেন,’আমি দর্শকদের ভালোবাসায় আপ্লুত। আমি যখন শিলিগুড়িতে প্রথম অডিশন দিয়েছিলাম সেদিন থেকে গ্র্যান্ড ফিনালে সফর আমার কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এত মানুষের ভালোবাসা এত আশীর্বাদ পাশাপাশি ফেসবুক ভিউয়ার্স চয়েসে সেরা পুরস্কার আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমি কৃতজ্ঞ।

একটুর জন্য বিজয়ী ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে, আফসোস হয় কী সারেগামাপা দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার জন্য। এমন প্রশ্নের মুখে একটুও ঘাবড়ে জাননি কাবো। তার উত্তর,’ আরে একদম নয়। আমার মধ্যে কোনরকম আফসোস নেই। জি বাংলা আমাকে যে প্ল্যাটফর্ম দিয়েছেন তাই আমার কাছে যথেষ্ট। আগে কেউ চিনত না অ্যালবার্ট কাবোকে। এখন আমাকে সবাই চিনছে জানছে সবটাই জি বাংলা সারেগামাপার দৌলতে। আমি সন্তুষ্ট। রানার্স আপ হওয়াটাও বড় ব্যাপার আমার কাছে। আমার কাছে বিচারকদের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। ওখানে যারা বিচারক ছিলেন সকলেই লেজেন্ড গুণী মানুষ আমি ওনাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত।

কিন্তু তিনি হেরে যাবার ফলে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ধন্দুমার কান্ড হচ্ছে সেই ব্যাপারটাকে নিয়ে কি ভাবছেন শিল্পী? মুচকি হেসে জানিয়েছেন,’ আসলে দেখুন এটা কিন্তু ওদের রাগ নয় ভালোবাসা। ওরা মন থেকে সাপোর্ট করেছিলেন আমাকে। চেয়েছিল আমি জিতি। তাই হয়তো মন খারাপের জায়গা থেকে এগুলো বলছেন তারা। আমিও দেখছি সেইসব কমেন্ট। তবে আগেই বললাম বিচারকদের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কাছে শেষ কথা। আমার মতে ওনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।

তবে কাবোর জার্নিটা বেশ অন্যরকম। কালিম্পং টুরিস্ট গাইড থেকে রাতারাতি রানার্স আপ সারেগামাপায়ের। কতটা বদলে গেল জীবন? পরিবর্তন যে তার জীবনে এসেছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। ৮ মাসে অনেক কিছু পাল্টে গেছে তার জীবনে। বিশেষ করে গ্র্যান্ড অডিশনের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের গান গেয়েছেন তিনি। তার কথা অনুযায়ী,’ আমি তো বাংলা গান বা আরও অনেক ধরনের গান গাইতাম না। সেগুলো শেখবার সুযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি সাধারণ যে জীবন কাটতো সেটাও পাল্টে গেছে। কারণ এখন লোকজন বাইরে বেরোলে চিনতে পারছে। সেলফির আবদার করছে, তাই হঠাৎ করে বাইরে বেরোনো একটু মুশকিল হয়ে পড়েছে’।

তবে তিনি বিবাহিত এমনটা যেন মন ভেঙেছে হাজার হাজার মহিলা ভক্তের। তাদেরকে কিভাবে সামলে ছিলেন? প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেছেন লাজুক কাবো। অনেকেই জানতেন না যে তিনি বিবাহিত। তবে শুরুর থেকেই তার স্ত্রী পূজা ছেত্রী সাহায্য করেছেন তাকে সমর্থন করেছেন তাকে। তবে মহিলা ভক্তদের কাছে হাতজোড় করে বলেছেন কারোর মন ভাঙ্গার উদ্দেশ্য তার ছিল না। যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন মন থেকে সরি বলছেন। আবার অনেকে তাকে বলেছে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করার দরকার কি ছিল! যদিও পুরো ব্যাপারটাকেই ভালোবাসা হিসেবেই দেখছেন কাবো।

ভবিষ্যতে কি পরিকল্পনা রয়েছে তার? সরাসরি জানিয়ে দিলেন,’ আপাতত প্রচুর শোয়ের ডাক পাচ্ছি। সবকিছু সামলাতে হচ্ছে। এর বাইরে নতুন গানের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। ছবির গান রয়েছে হাতে কিছু। অনেক বাংলা গানও রয়েছে। সবকিছু নিয়েই এগোচ্ছি। শীঘ্রই নিজের কিছু সিঙ্গেলস মুক্তি পাবে ইউটিউবে আমার অফিশিয়াল চ্যানেলে’।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh