ছোট পর্দার এত বড় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার পরেও নেই কোনো অহংকার! গড়িয়াহাটের একটি সাধারণ দোকান থেকে পুজোর শপিং করছেন স্বাগতা মুখার্জি, অভিনেত্রীর কথায় মুগ্ধ দর্শক

স্বাগতা মুখার্জি বর্তমানে টেলি পাড়ার এক জনপ্রিয় নাম। বিশেষত খলনায়িকা হিসেবে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু ছোট পর্দায় এত জনপ্রিয়তার পরেও অভিনেত্রীর মধ্যে কোন অহংকার বোধ নেই। একদম সাধারণ জীবনযাত্রায় পালন করেন তিনি। চলুন দেখিনি তাঁর সাধারণ জীবনযাত্রার একটা ছোট্ট নমুনা।
গড়িয়া হাটের একটি সাধারণ দোকানের শাড়ি কিনতে দেখতে পাওয়া যায় অভিনেত্রীকে। আর সেখানেই এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেন অভিনেত্রী। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “স্বাগতা দি আরতো মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন, প্রিপারেশন কি শুরু হয়ে গিয়েছে?” অভিনেত্রী বলেন, “মানে ওই আজকে শপিং করব এইরকম আমার সাথে হয় না। শুটিং এর গ্যাপে জ্ঞাপে আমাকে শপিং করতে হয়। মানে ধরো আজকে দুপুর দুটোয় ব্যাকআপ হয়ে গেছে তার মানে চলো শপিং করতে। কাছাকাছি কোন দোকান থাকলে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই শ্যামলী। আর পুজোর প্ল্যান যদি বলে তবে একটাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে খাবে, স্নান করে খাবে, দুপুরে যদি ঘুমোতে যাও তার আগে খাবে, সন্ধ্যেবেলা জাঙ্ক ফুড খাবে, রাতে বিরিয়ানি বা ঐ ধরনের কিছু খাবে, রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে আইসক্রিম খাবে, এইবার পুজোর মজা তুমি পাবে”।
তাহলে কি শুধু খাবে? পরবে সেটা? হ্যাঁ পড়ার জন্য তো অবশ্যই আছে, যেমন আমি নিজে শাড়ি পড়তে খুব পছন্দ করি। একটু এথেন্টিক কটনের শাড়ি আমার বেশি ভালো লাগে। ভারী শারী আমার পছন্দ হয় না বলেন অভিনেত্রী।
এবার এক প্রকার মজা করেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়? খাওয়া পড়া তো হল এবার পুজোর যে প্রেম প্রেম ব্যাপার সেটা নিয়ে আপনি কি বলবেন? অভিনেত্রী বলেন, পুজোর সময় তাকানো তো থাকে। কিন্তু আমাকে দেখে রীতিমত ভয় পান সকলে। ওইয ওই মহিলা, নয়তো স্বাগতা দিন ব্যস এতেই ভয়। প্রেমের পক্ষে সেটা অনুকূল নয়। আমার প্রেম বলতে খুব ভালো অভিনেতার থেকে মিউজিকাল মানুষের সাথে এসব ভালো হয়।
আবার অন্যদিকে তিনি বলেন, পূজোর প্ল্যান বলতে তেমন কিছু তার থাকে না। এবছর খুব বেশি শো নেই। অল্প কয়েকটা সু আছে সেগুলো আর নয় তো বাড়িতে বাবা মা আছে খুব অল্প সংখ্যক বন্ধুবান্ধব আছে তাদের নিয়ে আড্ডা। ব্যস অতটুকুতেই সীমাবদ্ধ আমার পুজোর প্ল্যান।