একসময় গাছের তলায় মেকাপ করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে! দীর্ঘ অভিনয় জীবনের উত্থান পতন জানালেন সুভদ্রা
![](https://www.kolkatajournal.com/wp-content/uploads/2023/12/Actress-Subhadra-Mukherjee-talked-about-the-ups-and-downs-of-her-acting-career.jpg)
সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়, বাংলা টেলিভিশনের জগতের একজন নামি অভিনেত্রী। শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেছিলেন এই অভিনেত্রী। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে অভিনয় দিয়ে নিজের জীবনের পথচলা শুরু করেছিলেন তিনি। সুভদ্রা মুখোপাধ্যায় এখন অবশ্য মায়ের চরিত্রে কিংবা মাতৃস্থানীয়া চরিত্রে অভিনয় করে।
একসময় কিন্তু তিনি লিডিং রোলে অভিনয় করতেন। এই মুহূর্তে জি বাংলায় নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক “আলোর কোলে” সিরিয়ালে পার্বতী নামক একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
আলোর কোলে ধারাবাহীকে যিনি খলনায়িকা রয়েছেন তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। তবে ওই চরিত্রটিতে বেশ কয়েকটি শেড রয়েছে। তিনি মেয়ের ভালোর জন্য যে কোন কিছুই করতে পারেন।
এমনকি অন্যায় করতেও পিছপা হন না। কাজের মাঝে একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন সুভদ্রা অর্থাৎ পর্দার পার্বতী। নিজের ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নতুন প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রী সবকিছু নিয়েই এদিন খোলাখুলি কথা বলেন তিনি।
সুভদ্রা বলেন, “দর্শক আমার ভগবান। দর্শকরা যেদিন আমায় ভুলে যাবেন সেদিন আমার আর কোনও মূল্য থাকবে না।” অভিনয় ছাড়া থাকতে পারবেন না বলেও এদিন জানান তিনি। এখন তিনি খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন ঠিকই, আদতে কিন্তু ভীষণ ভালো আর বড় মনের মানুষ সুভদ্রা।
মানুষের বিপদে-আপদে সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “কারোর অসুবিধায় আমি কিছু করতে পারলাম না, করতে পারবো জানতাম কিন্তু করলাম না। এমন দিন দেখার আগে যেন আমার মৃত্যু হয়ে যায়”।
আরও পড়ুন : “মা, মা-একটু হরলিক্স দাওনা মা…”, দাদাগিরির মঞ্চে সোহমের স্মৃতি ঝালিয়ে নিলেন দাদা
এদিন সুভদ্রা আরও জানান, “আমি ছোটবেলা থেকেই সবাইকে নিয়ে চলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ির সবাই, আমার বাইরের সবাই, আমার পাড়া-প্রতিবেশী যারা আছেন তাঁরা।
আমার পাড়া-প্রতিবেশী, আশেপাশের যারা আছেন তাঁদের কোনও সমস্যা হলে আমায় ফোন করে বলেন। আমি কেউই নয়। কিন্তু তাঁরা জানেন, মানুকে (আমার ডাকনাম) বলেছি মানেই ও কিছু না কিছু একটা করবে”।
সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সুভদ্রা বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে করতেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চান। তাঁর কথায়, “আমি যেন মানুষের সেবা করতে করতে মরি। এটা আমার এখন ইচ্ছে… মেয়েটার বিয়েটা এখন আমার একটা দায়িত্ব। তাছাড়া আমার আর এই মুহূর্তে কোনও দায়িত্ব নেই। ফলে আমার এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের কাজ করা”