‘রাধিকার থেকে পোখরাজ কোনদিন রঞ্জাবতীর মতো ভালোবাসা পায়নি আর কখনো পাবেও না’রাধিকা নয় রঞ্জাবতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!তবে কি লেখিকাও নায়িকা বদলের সিদ্ধান্ত নিলেন?
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক এক্কা দোক্কা তে বেশ কিছুদিন ধরে একটি নতুন চরিত্র এন্ট্রি নিয়েছে। চরিত্রটির নাম রঞ্জাবতী। আসলে পোখরাজকে তার ফ্যামিলির লোক তার কাকারাই কিডন্যাপ করায়,এইরকম অবস্থায় পোখরাজকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রঞ্জাবতী। এই রঞ্জাবতীর বাবা কিডন্যাপারদের সাথে কাজ করে, সে পোখরাজকে খাবার দিতে আসে এবং তখনই পোখরাজের সাথে তার আলাপ হয়।
ধারাবাহিকে দেখানো হয় পোখরাজ কে এই কিডন্যাপারদের ডেরা থেকে বাঁচানোর একটাই উপায়,তা হলো রঞ্জাবতীর সাথে পোখরাজের বিয়ে। রঞ্জাবতী যদিও বলেছে যে মুক্ত হয়ে যাওয়ার পর পোখরাজকে আর তার কোন দায় নিতে হবে না কিন্তু পোখরাজতো একজন বিবেকবান মানুষ,সে মনে মনে ভাবছে যে সে কীভাবে স্বার্থ ফুরোলে রঞ্জাবতীকে ছেড়ে দেবে? এমন সময় এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকের একটি নতুন প্রোমো এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, অবশেষে ছোট ভালবাসার টান অনুভব করে পোখরাজকে খুঁজতে বেরোল রাধিকা, অন্যদিকে সেই সময় পোখরাজ আর রঞ্জাবতীর বিয়ের নিয়ম হচ্ছে।
পোখরাজ সিঁদুর দানের আগে রঞ্জা কে বলছে এই বিয়ের প্রতি কিন্তু আমার কোন দায় নেই অন্য দিকে রঞ্জা বলছে, তুমি যাই বলো আমি মনে মনে জানবো তুমি আমার স্বামী। এরপর দেখা যায় রাধিকা পোখরাজকে খুঁজতে খুঁজতে হাজির হয়েছে গুন্ডাদের ডেরায়। কিন্তু এই প্রোমো দেখে দর্শকদের কী রিঅ্যাকশন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে, “এক্কাদোক্কার নতুন প্রোমো দেখে ভালো ও লাগছে আবার খারাপ ও লাগছে। রাধিকা পোখরাজ একে অপরকে ছোটো থেকে ভালোবাসে ওরা এক হোক এটাই চেয়েছি। কিন্তু কদিনেই রঞ্জাবতী কে পোখরাজের এতোটা যত্ন নিতে দেখে ওদের সমীকরণ টাও ভালোই লাগছিল। সিন গুলো বেশ মিষ্টি ছিল। পোখরাজের রাগ আর রঞ্জার মিষ্টি স্বভাব মিথ্যা বলবো না বেশ উপভোগ করছিলাম। আমার মনে হয় পোখরাজ এরকম ভালোবাসা কোনোদিনই রাধিকার থেকে পায়নি হয়তো পরেও পাবেনা।
তাই ওদের বিয়ে টা না হলেও চেয়েছিলাম ওদের একটা সম্পর্ক হোক রঞ্জাবতী নতুন জীবন পাক। প্রথম ভালোবাসা অনেক সময় ই সফল হয়না। রঞ্জা না হয় পোখরাজ কে আগের সম্পর্ক থেকে না পাওয়া গুলো দিয়ে ভরিয়ে দিতো। পোখরাজ ও আগের ভুল গুলো আর করতো না। হয়তো প্রথমেই ভালোবাসতে পারতো না কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দুর্বল তো হতোই। এমনটা হলে মন্দ কিন্ত হতোনা। এরপর যাই হোক রঞ্জাবতী কে নেগেটিভ না করা হোক পোখরাজের ভালো বন্ধু হয়ে অন্তত থাক। ওখান থেকে বেরিয়ে আসুক, ওদের হসপিটালে চাকরি দিক। একটা ভালো জীবন হোক। ”
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন আবার বলছেন এইসব দেখে লীনা গাঙ্গুলী না আবার নায়িকা বদলের সিদ্ধান্ত নেন।