বাংলা সিরিয়াল

‘যা কিছু হয়ে যাক এক বোন আরেক বোনের পাশে থাকবে বিজুরিকে এতদিন ভুল বুঝতাম! কিন্তু বিজুরি খারাপ নয় সে সন্ধ্যার ভালোই চাই; বিজুরি চাইতো সন্ধ্যা সংসারী হোক,বেগার না খাটুক; এই কারণেই এত খিটখিট করত!’সন্ধ্যার দিদির আসল রূপ এতদিনে উন্মোচিত হতে দেখে খুশি দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’। এই ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকটিকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে, যেন দেখানো হচ্ছে যে, ধারাবাহিকের নায়িকা সন্ধ্যা ও সন্ধ্যার বোন তারা দুই বোনে খুব ভাব, এমনকি সন্ধ্যাতারার ভাই ডাবলুর সাথেও দুই বোনের খুব ভাব কিন্তু সন্ধ্যা, তারার বড় বোন বিজুরিকে সব সময় খারাপ মনে হয়েছে। কারন সে সব সময় সন্ধ্যার সাথে খিটখিটে ব্যবহার করে, সে সন্ধ্যাকে সব সময় কথা শোনায়- এইসব দেখে মনে হয়েছে যে, সন্ধ্যার বিয়ের সম্বন্ধ গুলোও বোধহয় সেই ভেঙে দেয়। কিন্তু কথাটা সত্যি নয় আসলে সন্ধ্যা নিজেই তার বিয়ের সম্বন্ধ গুলো ভেঙে দেয় আর সন্ধ্যার বিয়ের সম্বন্ধগুলো সন্ধ্যার মা ও ভেঙ্গে দেয়। কারণ তার মেজো মেয়েই তার সংসারের হাল ধরেছে তার মেজো মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে কে এই সংসার চালাবে!-এই চিন্তায় সে সব বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দেয়।

কিন্তু বিজুরি কিন্তু আসলে সন্ধ্যার খারাপ চায়না? সেটা সন্ধ্যা তারা ধারাবাহিকের সাম্প্রতিককালের এপিসোড দেখলেই বোঝা যাবে, যেখানে বিজুরি সন্ধ্যার হাত নিজের মাথায় রেখে সন্ধ্যার থেকে কথা আদায় করে যে, সন্ধ্যা নীলকে ভালোবাসে কিনা? সন্ধ্যা সত্যি টা স্বীকার করলে বিজুরি খুশি হয়, আসলে সে বোনকে কথা শোনাতো কারণ, সে চায়নি তার বোন সন্ধ্যা সারাটা জীবন খেটে খেটে নষ্ট করুক, সে চেয়েছিল তার বোন সংসারী হোক। তাই সে যখন জানতে পারে যে তার বোন কাউকে ভালবেসেছে তখন সে আহ্লাদে আটখানা হয়ে বলে বসে, আমাদের মৃন্ময়ী আর চিন্ময়ী হয়েছে, ডানপিটে বোন আমার ভালবাসতে শিখেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“যা কিছু হয়ে যাক এক বোন আরেক বোনের পাশে থাকবেই।। আমাদের গল্পের বিজুরি আর সন্ধ্যা ও তাই।। এতদিন ধরে আমরা বিজুরী কে ভুল বুঝতাম ভাবতাম মেজদি কে সহ্য করতে পারে না ওর ভালো চায় না কিন্তু আজ দেখলাম ঠিক উল্টো সন্ধ্যা নিজের কথা ভাবে না বলে সে সব সময় খিটখিটে হয়ে থাকত।। কোনো বোন চাইবে না তার বোন সারাজীবন খেটে মরুক।। আজ যদি বড়দি সন্ধ্যা কে চেপে না ধরত মাথায় দিব্যি না দিত সন্ধ্যার মনের কথা কখন মুখ দিয়ে বেরত না।। কারণ সে শুধু আত্মত্যাগ করতে জানে।। কত সুন্দর করে বোনের চোখের জল মুছে দিলো।। প্রথম বার আমাদের সন্ধ্যার কাউকে মনে ধরেছে গো ওর ভেতরের মেয়ে মানুষ টা জেগে উঠেছে বলেই আনন্দে বোন কে জড়িয়ে ধরলো।।আমাদের বিজয়া মাঠান কে ছাড়িয়ে আনার কথা ও বললো।। নিজের জন্য ভাব মেজো।।এই দৃশ্য টায় সত্যিকারের দুই বোন লাগছিল।।চোখে জল চলে এসছিলো।। এত সুন্দর একটা বোনের সম্পর্ক দেখতে পেলাম।।খুব হৃদয়ছোঁয়া পর্ব হলো আজ।।দুই দিদি এভাবেই ভালোবাসার বাঁধনে জড়িয়ে থাকুক।।

Annwesha Hazra দিদি কে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু nei।। প্রতিদিন নতুন করে আবিষ্কার করছি দিদি কে এতটাই নিখুঁত অভিনয়।। আজ doyel দিদি ও আমাদের চোখে জল এনে দিয়েছে ।।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh