‘মা হওয়ার কম্পিটিশন ছাড়া কি জীবনের আর কোন লক্ষ্য নেই দীপা আর উর্মির? একজন ডাক্তার হয়ে সূর্য কীভাবে এইসব মেনে নিচ্ছে’! কটাক্ষ শুরু হলো অনুরাগের ছোঁয়ার ভিডিওকে ঘিরে
বাংলা ধারাবাহিকে অনেক সময় এমন অনেক জিনিস দেখানো হয় যা দেখে মানুষরা চটে যান। কারণ ধারাবাহিকে যখন অত্যন্ত প্রাচীনপন্থী কোন বিষয়কে দেখানো হয়,তখন মানুষ তার সাথে নিজেকে রিলেট করতে পারে না। যুগের সাথে এগিয়ে চলা মানুষ চান তাদের জীবনের আধুনিক ভাবনা-চিন্তার প্রকাশ ঘটুক মেগা ধারাবাহিকে, কিন্তু টিআরপি বা অন্য কিছুর জন্য যখন প্রাচীনপন্থী ভাবনা চিন্তা উঠে আসে তখন মানুষ বিরক্ত হন। ঠিক যেমন অনুরাগের ছোঁয়ার সাম্প্রতিককালের ট্র্যাকটা মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে।
স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে দেখানো হচ্ছে যে নিজের পুত্রবধূরা কবে মা হবে সেটাও ঠিক করে দিচ্ছেন লাবন্য সেনগুপ্ত! এমনিতেই ধারাবাহিকের শুরু থেকেই লাবণ্য সেনগুপ্ত চরিত্রটাকে দর্শক মেনে নিতে পারেননি, কারণ ২০২২ সালে এসেও তিনি গায়ের রং দিয়ে মানুষের চরিত্র বিচার করেন,তারওপর তিনি যখন তার পুত্রবধূদের বলেন মা হওয়ার বিষয়ে, তখন দর্শকরা বিরক্ত হয়ে পড়েন।
বর্তমানে সেনগুপ্ত বাড়িতে একজন জ্যোতিষী এসে বলেন তিনি সেনগুপ্ত বাড়ির দুই ছেলের কুষ্টি বিচার করে দেখেছেন যে, তাদেরকে এক বছরের মধ্যেই বংশধর আনতে হবে। এই কথা শুনে লাবণ্য সেনগুপ্ত তার দুই ছেলের বৌমাকে চ্যালেঞ্জ দেন যে, দীপা ও উর্মির মধ্যে যে আগে মা হতে পারবে তাকেই সেনগুপ্ত পরিবারের উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা করবেন তিনি। এই প্রোমো শুনে দর্শকরা ক্ষেপে আগুন হয়ে গিয়েছেন। তাদের বক্তব্য দীপা আর উর্মির জীবনের কি একটাই লক্ষ্য মা হওয়া! তার দুই ছেলে ও বৌমা কখন সন্তান নেবে তাও তিনি ঠিক করে দেবেন! আর একজন ডাক্তার হয়েও সূর্য এসব কথা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছে!