ভাইরাল

‘দল ক্ষমতা থেকে সরলেই পাড়ায় পাড়ায় এঁরা মাচা করে বেড়াবে’ – মঞ্চে তৃণমূলের দুই দাপুটে সদস্য কুনাল ঘোষ এবং সায়নী ঘোষকে দেখা গেল হিন্দি গানে ডুয়েট গাইতে! চরমট্রল সোশ্যাল মিডিয়ায়

অভিনয় জগতের বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে মাচা শো করতে আমরা হামেশাই দেখেছি। শুধু তাই নয় সেই মঞ্চ মাতাতে তাঁরা গিয়েছেন বহু গান। কখনো পেয়েছেন প্রশংসা তো কখনো নিন্দা। তবে এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দুই দাপুটে সদস্যকে দেখতে পাওয়া গেল মঞ্চে উঠে ডুয়েট গাইতে। স্বাভাবিকভাবে বেশ ভালো রকম অবাক হয়েছেন সকলেই।

কাঁথির মাজনা-তাজপুরের নজরুল মেলার উদ্বোধনী মঞ্চে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও যুব তৃনমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। কুনাল যখন বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেন তখন তাঁর এবং সায়নীর কাছে গান গাওয়ার অনুরোধ আসে। দর্শকের সেই অনুরোধ রাখতেই কুনাল এবং সায়নী ডুয়েট হিন্দি গান গেয়েছিলেন। প্রথমে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়নী নিজের বক্তব্য শেষ করার পর দুটি গান গেয়েছিলেন। এরপর কুনাল তাঁর বক্তব্য শেষ করার পর গান ধরেন। তখনই নিজে থেকে উঠে সায়নী গান ধরেন কুনালের সাথে।

এদিন স্টেজে কুনাল এবং সায়নী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অখিল গিরি, জ্যোতির্ময় কর, সুপ্রকাশ গিরি, তরুণ জানা, সুকুমার দে-সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। ডুয়েটের এই ভিডিয়ো সায়নী নিজেই শেয়ার করে নিয়েছেন তাঁর প্রোফাইলে। ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হেমন্ত-কণ্ঠী কুণাল ঘোষের সঙ্গে ডুয়েট’। যদিও রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ ধরনের কাজকর্ম দেখে বেশ কটাক্ষ করেছেন নেটাগরিকরা। একজন যেমন লিখেছেন, ‘দল ক্ষমতা থেকে সরলেই পড়ায় পাড়ায় এরা মাচা করে বেড়াবে… নিজেদের পেট চালানোর জন্য’। অন্য একজন লিখলেন, ‘দিদি জানেন যে আপনারা এত ভালো গান গান?’

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই সুপারহিট সিনেমা ‘প্রজাপতি’তে মিঠুনের অভিনয় নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন কুনাল। কুনালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মিঠুন চক্রবর্তী ছবিটা ডুবিয়েছে’। কিন্তু সেই সময় দলের অন্ধরের অনেকেই যেমন অভিনেতাদের থেকে শুরু করে আরো অনেকেই কুনালের এই মন্তব্যগুলিকে একেবারেই সমর্থনযোগ্য মনে করেননি কেউই। দলের অনেকেই এই সমস্ত মন্তব্যকে বিরোধিতাও করেছেন।

এই প্রসঙ্গকে নিয়ে সায়নী ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা ওঁদের দুজনের বিষয়। কুণাল ঘোষ আমাদের দলের মুখপাত্র, উনি যা বলেন, ভেবে বলেন। আর দেব আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ, অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দেব নিজের কাজ ভালো মতোই করেন। তাঁদের মধ্যে যদি কোনওরকম মতো বিরোধ হয়, সেটা তাঁরাই সামলাবেন। মিঠুন চক্রবর্তীর বিষয়ে আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ওঁর আমি বিরোধিতা করলেও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কথা বলার যোগ্যতা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের নেই’।

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh